ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলতি জামাইকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা করেছিলেন হনুমা বিহারী। শেষটা করলেন জসপ্রীত বুমরা। বিহারী হাঁকালেন সেঞ্চুরি আর বুমরা হ্য়াটট্রিক সহযোগে একাই তুলে নিলেন হাফ-ডজন উইকেট। বুমরার সৌজন্য়েই ভারতের ৪১৬ রানের জবাবে উইন্ডিজ মাত্র ৮৭ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ফেলল।
হরভজন সিং, ইরফান পাঠানের পর তৃতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে বুমরা টেস্ট ক্রিকেটে হ্য়াটট্রিকের স্বাদ পেলেন। কিন্তু বুমরার এই হ্য়াটট্রিকের পিছনে অবদান রয়েছে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির। তিনি যদি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্য়ালেঞ্জ না জানাতেন তাহলে বুমরার কেরিয়ারের প্রথম টেস্ট হ্যাটট্রিক অধরাই থেকে যেত।
আরও পড়ুন: বিহারীর সেঞ্চুরি, বুমরার হ্য়াটট্রিক, চালকের আসনে টিম ইন্ডিয়া
তখন উইন্ডিজ ইনিংসের ৯ নম্বর ওভার। দুই এবং তিন নম্বর বলে ড্য়ারেন ব্র্য়াভো ও শামরাহ ব্রুকসের পরপর দু'বলে ফিরিয়ে হ্য়াটট্রিকের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন বুমরা। রস্টন চেজকে তিনি ইয়র্কার লেন্থে বল করেন। চেজ গতিতে পরাস্থ হন। বল এসে লাগে তাঁর প্য়াডে। সঙ্গে সঙ্গে উইকেট কিপার ঋষভ পন্থ আর স্লিপে দাঁড়ানো কোহলি আউটের জন্য় জোরাল আবেদন করেন।
-->
অজি আম্পায়ার পল রেইফেল তা নাকচ করে দেন। আম্পায়ারের সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড কথা বলার পরেই কোহলি রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন। টিভি আম্পায়ার জানিয়ে দেন যে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল। কোহলির আবেদন যথার্থ। আর এরপরেই গ্য়ালারিতে ভারতীয় ফ্য়ানেরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।
আরও পড়ুন: জীবনের সেরা র্যাঙ্কিং স্টোকসের, প্রথম দশে এলেন বুমরা
২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম ভারতীয় বোলার হিসাবে টেস্ট হ্য়াটট্রিক করেন হরভজন। এর ঠিক পাঁচ বছর পর বাঁ-হাতি পেসার ইরফান হ্য়াটট্রিক পান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করাচিতে। ঘটনাচক্রে পাঠানই প্রথম বোলার হিসাবে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ওভারেই হ্য়াটট্রিক করেন। বুমরা ৪৪ তম বোলার হিসাবে এই নজির গড়লেন। এর আগে ২০১৭ সালে টেস্টে হ্য়াটট্রিকের স্বাদ পেয়েছিলেন ব্রিটিশ স্পিনার মইন আলি। ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই নজির গড়েন তিনি।