বাইরের আওয়াজ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম হারের পরে ক্যাপ্টেন কোহলির স্ট্র্য়াটেজি আপাতত এটাই হতে চলেছে। পাশাপাশি কোহলি জানিয়ে রাখছেন, মাত্র একটা হারে পিছিয়ে আসার কোনও প্রশ্নই নেই। ক্রাইস্টচার্চে ভারত স্বমহিমাতেই খেলবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলি সাফ জানিয়ে রাখছেন, "আমাদের প্রথম কর্তব্য হল, বাইরের সমস্ত আওয়াজ থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখা। বাইরের লোকেরা আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করবে এই হার মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এটা কিছু বোঝানোর চেষ্টা করা হবে যে আমরা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে পরিষ্কার মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামতে পারব না। তবে আমরা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দল। যেকোনও দলকে হারানোর সামর্থ্য রাখি আমরা।"
পাশাপাশি ভারত যে নিজেদের রণকৌশল থেকে কোনওভাবেই সরে আসবে না, তা জানিয়ে রাখছেন কোহলি। তিনি জানিয়েছেন, "মানসিকভাবে খারাপ অবস্থায় থাকলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। তবে আমরা এমন দল নয় যে বাইরের সমালোচনায় বিচলিত হয়ে পড়ব। তবে এখান থেকে আমরা শেখার প্রক্রিয়া জারি রাখব।"
পরের ম্যাচ থেকেই ভারত যে আবার স্বমহিমায় ফিরবে, তা বলছেন ক্যাপ্টেন। সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলি বলছেন, "কোনও সন্দেহ নেই আমরা পরের টেস্ট জেতার প্রচেষ্টা করব। তবে আমাদের স্ট্র্যাটেজি থেকে সরে আসার কোনও প্রশ্নই নেই। ব্যাটিং, বোলিং, কিংবা ফিল্ডিংয়ে ইউনিট হিসেবে আমাদের যা যা করণীয়, সেই অনুযায়ী নিজেদের সেরাটা উজার করে দেব।"
দলের ব্যর্থতার পাশাপাশি সমর্থকদের উদ্বেগ। ক্যাপ্টেনের ব্যাটেও রান নেই। শেষ ২০ ইনিংসে একটাও শতরান হাকাতে পারেননি কোহলি। ওয়েলিংটনে দু ইনিংসে কোহলির সংগ্রহে যথাক্রমে ২ ও ১৯। তবে বিরাট দ্রুত জানাচ্ছেন, নিজের ফর্ম নিয়ে তিনি ভাবিত নন। "আমি দারুণ কণ্ডিশনে রয়েছি। ভাল ব্যাটিংও করছি। কখনও কখনও এমন হয় যে রান নিজেদের ব্যাটিং ফর্মের বহিঃপ্রকাশ হতে দাঁড়াতে পারে না। মাঝে মাঝে পরিকল্পনা অনুযায়ী, খেলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এটা বুঝতে হবে, যে একজন যে এতদিন ধরে খেলছে, তাঁর কাছে ২-৩ ইনিংস পরিকল্পনা মতো না হতেই পারে। ব্যাটিং ফর্মের তুলনায় ভাল কণ্ডিশনে থাকা প্রয়োজনীয়।"
Read the full article in ENGLISH