/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/24/3opMXSrSfD4luBW5CYKI.jpg)
Aarti Ahlawat-Virender Sehwag: আরতি অহলাওয়াত ও বীরেন্দ্র শেওয়াগ। (ছবি- ইনস্টাগ্রাম)
Aarti Ahlawat-Virender Sehwag divorce: ঘর ভাঙছে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগের। তাঁর ডিভোর্সের জল্পনা ছড়াতেই শেওয়াগের স্ত্রী নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যক্তিগত করে নিয়েছেন। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে বীরেন্দ্র শেওয়াগকে আনফলো করা হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে শেওয়াগের স্ত্রী আরতি অহলাওয়াতের ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ফলোয়ার আছে। জল্পনা সত্যি হলে শেওয়াগের ২০ বছরের দাম্পত্যের অবসান ঘটবে।
২০০৪ সালে বিয়ে হয়েছিল শেওয়াগ ও আরতির। তাঁরা ছেলেবেলার বন্ধু। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, এই যুগল বেশ কয়েকমাস আলাদা থাকছেন। তাঁদের ডিভোর্স হয়েছে। এটা সত্যি যে দীর্ঘদিন এই যুগলকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়াতেও একসঙ্গে তাঁদের দেখা যায়নি। শেওয়াগ তাঁর পরিবারের ব্যাপারে বরাবর খোলামেলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ছেলের সঙ্গে ছবিও শেয়ার করেছেন বহুবার। বড় ছেলে আর্যবীর ও মা কৃষ্ণার সঙ্গে শেওয়াগকে দিওয়ালি পালন করতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু, সোশ্যাল মিভিয়ায় প্রকাশিত ছবিগুলোয় ছোট ছেলে বেদান্ত ও স্ত্রী আরতির সঙ্গে শেওবাগকে দেখা যায়নি।
তবে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে স্ত্রীর সঙ্গে ছবি শেওয়াগ সরাননি। ইনস্টাগ্রামে আরতির সঙ্গে তাঁর শেষ ছবি ২০২৩ সালের এপ্রিলের। ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল শেওয়াগ-আরতির ২০তম বিবাহবার্ষিকী ছিল। তার কোন ছবি কিন্তু শেওয়াগ প্রকাশ করেননি।
বীরেন্দ্র শেওয়াগ ও আরতি অহলাওয়াতের প্রেমের গল্প শুরু হয় ১৯৮০-এর দশকে। সেই সময় তাঁরা পারিবারিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শেওয়াগের খুড়তুতো ভাই আরতির পিসতুতো বোনকে বিয়ে করেছেন। সেই সময় সেহওয়াগের বয়স ৭, আরতির ৫। তাঁরা ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন। বড় হওয়ার সঙ্গেই শেওয়াগ আর আরতির ভালোবাসা বাড়ে। ২১ বছর বয়সে শেওয়াগ তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আরতি রাজি হন। তাঁদের সম্পর্ক পরিণতি পায় ২০০৪ সালের ২২ এপ্রিল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাসভবনে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/24/ljtXaly1FxBq9dOnUbGN.jpg)
আরতির জন্ম ১৯৮০ সালের ১৬ ডিসেম্বর। নয়াদিল্লির মেয়েটি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৈত্রেয়ী কলেজ থেকে কমপিউটার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করেছেন। তার আগে লেডি আরউইন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভারতীয় বিদ্যা ভবনে তিনি লেখাপড়া করেছেন। জনসমক্ষে না থাকলেও শেওবাগের ক্রিকেট কেরিয়ারে আরতি বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলেই তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি।
আরও পড়ুন- আমাদের এ দলে খেলতে হয়, অন্যরা সরাসরি জাতীয় দলে! বাংলার বঞ্চনার এবার সরব কিংবদন্তি বাঙালি
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর বীরেন্দ্র শেওবাগ জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির অ্যান্টি-ডোপিং আপিল প্যানেলের দায়িত্বে আছেন। এই দম্পতির একসময়ে দৃঢ় বন্ধন সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক লক্ষণগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তাঁদের সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে। তবে, শেওবাগ বা আরতি কেউই বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। কিন্তু, তাঁদের ব্যক্তিগত চলাফেরা, জনসাধারণকে জল্পনা-কল্পনা করতে বাধ্য করছে।