ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। টুইট করেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন প্রীতি জিন্টার দলের মেন্টর। বীরুকে ২০১৬ সালে মেন্টর পদে নিযুক্ত করেছিল পাঞ্জাব। দু’বছরের সম্পর্কে ছেদ পড়ল এবার। আগামী মরসুমে বীরুকে আর কিংসের ডাগ-আউটে দেখা যাবে না। শেহওয়াগ টুইটারে লিখেছেন, “সব ভাল জিনিসই শেষ হয়। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি। দু’মরসুম ক্রিকেটার তিন মরসুম মেন্টর হিসেবে ছিলাম। কিংস ইলেভেনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শেষ হল। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দলটার ভবিষ্য়তের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।”
All good things must come to an end and I've had a wonderful time at Kings 11 Punjab, for 2 seasons as a player and 3 as a mentor. My association with Kings 11 comes to an end and I am thankful for the time I have had here and wish the team all the very best for the times ahead.
— Virender Sehwag (@virendersehwag) November 3, 2018
চলতি বছর আইপিএল-এর সময়ই কিংসের মালকিন প্রীতির সঙ্গে বীরুর মতপার্থক্যের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। জানা গিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারের পরেই প্রীতির সঙ্গে বাতানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শেহওয়াগ। টিমের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য দলের প্রাক্তন মারকুটে ওপেনারকেই আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন প্রীতি। যদিও বলিউডের নায়িকা পরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, এই ঘটনায় তাঁকে ‘ভিলেন’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। ক্রিকেটমহলের একাংশ মনে করছে যে, প্রীতির সঙ্গে ঝামেলার জেরেই পাঞ্জাব থেকে বেরিয়ে আসলেন শেহওয়াগ। কিন্তু নজফগড়ের নবাব সেকথা বলছেন না। মুম্বই মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেহওয়াগ বললেন, “কিংস ইলেভেন দলের সঙ্গে আনন্দেই ছিলাম। এটা ওদের সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আমার কোনও ভূমিকা নেই। আমার মনে হয় না যে, প্রীতির ঘটনার সঙ্গে আমার বেরিয়ে আসার কোনও সম্পর্ক আছে। ওরা যদি নতুন কোনও মেন্টর বা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর নিতে চায়, তাহলে সেটা ওদের ব্যাপার। আমাকে ফ্র্যাঞ্চাইজি মেইল মারফত জানিয়ে দিয়েছিল যে, আমার কোনও প্রয়োজন নেই সেখানে।”
আরও পড়ুন: আইপিএল ২০১৮: শেহওয়াগের সঙ্গে ঝামেলা, সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে তোপ প্রীতি জিন্টার
আইপিএল ইলেভেনে দুরন্ত দল করেছিল পাঞ্জাব। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ক্যাপ্টেনসিতে শুরুটাও ভাল করেছিল পাঞ্জাব। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ভাগ থেকে তারা সরে যেতে শুরু করে। ১৪ ম্যাচে ছ’টি জয় ও আটটি হারে সাত নম্বরে শেষ করেছিল পাঞ্জাব। এই দল শুরুর ছ’টা ম্যাচের মধ্যে পাঁচটাই জিতেছিল তারা। শেষ তিন বছরের খারাপ সময় কাটিয়ে অবশেষে প্লে-অফের মুখ দেখেছিল প্রীতির ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু শেষ আট ম্যাচের সাতটা হেরেই যবনিকা পড়ে যায় তাদের।