বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও শহিদ আফ্রিদির একটাই মিল। ভারত-পাকিস্তানের দুই স্টার ব্যাটসম্যান কেরিয়ারে কোনও বোলারকে রেয়াত করেননি। বাইশগজে শাসন করেছেন দু’জনে। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে মোহিত করেছেন ক্রিকেটবিশ্বকে।
ইউসি ব্রাউজার আয়োজিত একটি চ্যাট-শো-তে অংশ নিয়েছিলেন শেহওয়াগ-আফ্রিদি। কুইন্টডটকম সেই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে ইউটিউবে। এই অনুষ্ঠানে এসেই ইন্দো-পাক ক্রিকেটার তাঁদের কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম বললেন। লাইভ ভিডিও চ্যাটে বীরু জানালেন যে, তিনি একজন বোলারকেই ভয় পেতেন। তিন কিংবদন্তি পাক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। বীরু বললেন, “শোয়েব আখতার একমাত্র বোলার, যাকে আমি ভয় পেতাম। বুঝতেই পারতাম না কোন বলটা জুতোয় এসে লাগবে আর কোন বলটা মাথায়। আর ওর অনেক বাউন্সার আমায় মাথায় লেগেছে। কিন্তু ওর বলে মেরেও মজা পেতাম।”
আরও পড়ুন: আফ্রিদির সঙ্গে সর্বাধিক ছক্কার যুগ্ম মালিকানা এখন গেইলের
অন্যদিকে আফ্রিদি জানিয়েছেন যে, তিনি কাউকেই ভয় করেননি। কিন্তু শেহওয়াগ ছিলেন ব্যতিক্রমী। পাকিস্তানের লালা বললেন, “আমি কাউকে ভয় পাইনি কখনও। কিন্তু শেহওয়াগকে বল করাটা কঠিন ছিল।” শেহওয়াগ জানিয়েছেন যে, ২০০৭-এর টি-২০ বিশ্বকাপ ও ২০১১-র ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জেতার মুহূর্তই তাঁর জীবনের সেরা। বীরু বলেছেন যে, ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপের সময় কেউই প্রত্য়াশা করেননি যে, এরকম একটা তরুণ দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গিয়ে সাফল্য পেতে পারে। আর ২০১১-তে ভারতই আয়োজক দেশ ছিল। এর আগে কোনও আয়োজক দেশ বিশ্বকাপ পায়নি। ফলে এটার মাহত্ম্য তাঁর কাছে অন্যরকম ছিল। আফ্রদির কাছে ২০০৯ টি-২০ বিশ্বকাপ জেতাই তাঁর জীবনের সেরা ঘটনা। আফ্রিদির মতে শ্রীলঙ্কার ঘটনার পর পাকিস্তান ক্রিকেট কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। ফলে এই জয় তাঁদের দেশের মনোবল বাড়িয়েছিল।