ক্যামেরার সামনে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে শান্তশিষ্ট রাহুল দ্রাবিড়কে। তারপরেই সেই বিজ্ঞাপনী বিডিও ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রশ্ন ওঠে গিয়েছে, দ্রাবিড় কি বাস্তবে কোনোদিন মেজাজ হারিয়েছেন? সেই ঘটনাই এবার জানালেন স্বয়ং বীরেন্দ্র শেওয়াগ। বলে দিলেন, ধোনির ওপর একবার খাপ্পা হয়ে উঠেছিলেন দ্রাবিড়।
দ্রাবিড়ের বহু আলোচিত বিজ্ঞাপনী ভিডিওর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শেওয়াগ এক ঘটনার কথা প্রকাশ করেছেন। সেই সময় জাতীয় দলে নবাগত ছিলেন ধোনি। সেই আনকোরা ধোনিকেই ই ইংরেজিতে বিদ্ধ করেছিলেন দ্রাবিড়।
আরো পড়ুন: ১২ লক্ষ টাকা জরিমানা ধোনির! নিয়ম ভাঙতেই বড় শাস্তির মুখে মহাতারকা
ক্রিকবাজ-এর এক ভিডিওয় শেওয়াগ আশিস নেহেরাকে বলেন, "আমি নিজে দ্রাবিড়কে মেজাজ হারাতে দেখেছি। সেই সময় আমরা পাকিস্তানে ছিলাম। ধোনি তখন জাতীয় দলে একদম নতুন। ধোনি একটা ভুল শট খেলে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে আউট হয়েছিল গিয়েছিল। দ্রাবিড় সেই কারণে ব্যাপক রেগে গিয়েছিল ওঁর ওপর। 'তুমি কি এভাবেই খেল? ম্যাচটা ফিনিশ করে আসা উচিত ছিল তোমার! দ্রাবিড়ের মুখ থেকে ইংরেজির ফুলঝুরি শুনে আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। এর অর্ধেক আমিও বুঝতে পারিনি।"
এরপরে সেই ঘটনা ব্যক্ত করে শেওয়াগ আরো জানান, "পরে যখন ধোনি ব্যাট করতে নেমেছিল, দেখলাম ও খুব বেশি আক্রমণাত্মক শট খেলছে না। আমি ওঁর কাছে গিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাই। ও তখন জানায়, দ্রাবিড়ের কাছ থেকে বকা খেতে ও এর চায় না। 'আমি আস্তে আস্তে ম্যাচ ফিনিশ করে তবে যাব', জানায় ও।"
আরো পড়ুন: ধোনিকে কাঁধে হাত রাখতে দিও না! পন্থকে তোলপাড় করা পরামর্শ গাভাসকারের
সেই আলোচনাতেই শেওয়াগ জানান, ধোনি কি কখনো ফোন কলের রিপ্লাই দেন কিনা। শেওয়াগ জানান, তৎকালীন বোর্ড সচিব ধোনিকে একটা বিশেষ ফোন উপহার দিয়েছিলেন। যা কেবলমাত্র সরকারি যোগাযোগের জন্যই ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগত ফোনে ধোনিকে কখনই পাওয়া যায় না।
যাইহোক, ক্রেড-এর বিজ্ঞাপনে দ্রাবিড় কার্যত বাকরুদ্ধ করে দিয়েছেন ক্রিকেট ভক্তদের। ১৫ সেকেন্ডের কম ভিডিওয় দ্রাবিড়কে দেখা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠতে। পাগলের মত পাশের গাড়ির কাচ ভাঙা, কফি ছোঁড়া- কী করেননি তিনি! সেই বিজ্ঞাপন যিনি পরিচালনা করেছেন আয়াপ্পা কেএম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "এরকম প্রতিক্রিয়া দেখে আমরা অভিভূত। দ্রাবিড়ের চরিত্রের কালো দিক আমরা তুলে ধরেছি যার সম্ভবত অস্তিত্বই নেই।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন