Vitality T20 Blast no ball: বোলাররা পপিং ক্রিজের বাইরে চলে যাওয়ার কারণে অথবা তাদের ব্যাকফুট রিটার্ন ক্রিজের অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করার কারণে বা কোমরের উচ্চতার ওপরে বল ডেলিভারির কারণে প্রায়শই নো-বলের মাধ্যমে তিরস্কার করা হয়। তবে, ভাইটালিটি ব্লাস্ট ২০২৪-এর তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ইনিংসের ১৪তম ওভারে যা ঘটল, সেটা বিরল।
সাইফ জাইব, সন্ধ্যার তাঁর তৃতীয় ওভারে, একটি সুন্দর ফ্লাইটেড ডেলিভারি করেছিলেন। ব্যাটার টম কোহলার-ক্যাডমোর বলের ফ্লাইটের কাছে হার মানেন। উইকেটরক্ষক লুইস ম্যাকম্যানাসও একঝলকের মধ্যে বেলগুলোয় বল স্পর্শ করিয়ে দেন। তবে, নর্থহ্যাম্পটনশায়ার তাদের ব্যাটারের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল। সেই কারণে আউটের সিদ্ধান্ত পরীক্ষার জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠান হয়।
রিপ্লেতে বারবার দেখা যাচ্ছিল যে, বল পাওয়ার আগে উইকেটরক্ষকের গ্লাভস স্টাম্পের লাইনের সামনে রয়েছে এবং ব্যাটারকে স্টাম্পিং আউট করেছে। আবার, দেখা যায় যে ব্যাটার সময়ের মধ্যেই ক্রিজের ভিতরে ব্যাকফুট টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই অবস্থায় টিভি আম্পায়ার ডেভিড মিলনস, তাঁর দলকে তাঁকে দেখানো কয়েকটি ফ্রেম রিওয়াইন্ড এবং দ্রুত ফরোয়ার্ড করার জন্য অনুরোধ করেন। এরপর মূল্যায়ন হিসেবে মাঠের আম্পায়ারকে এটিকে 'নো-বল' ঘোষণার নির্দেশ দেন।
A very rare type of no ball 👀 pic.twitter.com/j5QYoDeihC
— Vitality Blast (@VitalityBlast) September 5, 2024
টম কোহলার-ক্যাডমোর এই আউটের ক্ষেত্রে বেঁচে যাওয়ার পরের বলটায় বিরাট ছক্কা হাঁকান। ফলে, উইকেটরক্ষকের ভুলটা শেষ পর্যন্ত নর্দাম্পটনশায়ারের জন্য বেশ ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। প্রশ্ন হল, উইকেটকিপিং এবং স্টাম্পিং সম্পর্কে ক্রিকেট আইন কী বলে? এমসিসি (Marylebone Cricket Club) (যে সংস্থা খেলার জন্য আইন নিয়ন্ত্রণ করে) আইন ২৭.৩ অনুসারে স্টাম্পার অবশ্যই স্টাম্পের লাইনের সামনে দাঁড়ানো উচিত নয়। অথবা তাঁর শরীরের কোনও অংশ বা স্টাম্পের সামনে গ্লাভস থাকতে পারবে না। যখন বোলার বল ডেলিভারি করে সেই সময়টার জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য। যদি উইকেটরক্ষক তা করেন এটি খেলাকে প্রভাবিত করে। আম্পায়ার তাকে নো-বল বলতে পারেন।
আরও পড়ুন- মুশিরের সেঞ্চুরিতে হতাশায় চুরমার গিল! মাঠেই মেজাজ হারালেন শুভমান, দেখুন ভিডিও
এমসিসির আইন ২৭.৩.১ বলে, 'উইকেট-রক্ষক স্ট্রাইকারের প্রান্তে উইকেটের সম্পূর্ণ পিছনে থাকবেন। যে মুহূর্ত থেকে বল খেলায় আসে যতক্ষণ না বোলারের দেওয়া একটি বল স্ট্রাইকারের ব্যাট বা ব্যক্তিকে স্পর্শ করে বা স্ট্রাইকারের প্রান্তে উইকেট পাস না করে বা স্ট্রাইকার চেষ্টা করার পর পাস করে না যায়, ততক্ষণ উইকেটরক্ষক সম্পূর্ণভাবেই উইকেটের পিছনে থাকবেন।' আর আইন ২৭.৩.২ বলে, 'উইকেটরক্ষক এই আইন লঙ্ঘন করার ক্ষেত্রে, স্ট্রাইকারের শেষ আম্পায়ার বল ডেলিভারির পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নো বল ডাকবেন এবং তার সংকেত দেবেন।' এক্ষেত্রেও সেই নিয়ম প্রযোজ্য হয়েছে।