আইপিএলের টাইটেল স্পনসর নিয়ে ঘুম উড়েছে বোর্ডের। গত সংস্করণে ইন্দো-চীন সীমান্ত সংঘাতের কারণে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়িয়েছিল ভিভো। একবছরের জন্য বোর্ড কার্যত অর্ধেক অর্থে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গে। নির্ধারিত সময়ে আইপিএল অনুষ্ঠিত হলে মাস দুয়েক পরেই আইপিএল। তবে টাইটেল স্পনসর চূড়ান্ত নয়। ১৮ ফেব্রুয়ারিতেও সম্ভবত টাইটেল স্পনসর ছাড়াই নিলাম পর্ব সম্পন্ন করতে হবে বোর্ডকে।
ভিভো পাঁচ বছরের জন্য বোর্ডের সঙ্গে আইপিএলের টাইটেল স্পন্সরশিপে চুক্তি করেছিল। সবমিলিয়ে ২১৯৯ কোটি টাকার চুক্তির অঙ্ক।
আরো পড়ুন: ২২.৯ থেকে কমে হাতে মাত্র ১৯.৯ কোটি! নিলামের আগে ঘুম উড়ল সিএসকের
গত মরশুমের আগের দুই সংস্করণে ভিভো আইপিএলের প্রধান স্পনসর হওয়ায় ২০১৮ ও ২০১৯-এ বোর্ডকে দিয়েছিল যথাক্রমে ৩৬৩ ও ৪০০ কোটি। বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী ভিভোর থেকে বোর্ডের এখনো পাওনা ১৪৩৬ কোটি টাকা (৪৪০, ৪৮৪ এবং ৫১২ কোটি টাকা পরের তিন মরশুমে)।
তবে ইনসাইড স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, এখনও দেশের চীনা সীমান্তে সমস্যা লেগেই রয়েছে। তাই ভারতীয় বাজারে আপাতত ফিরতে চায় না খোদ ভিভোই। আইপিএলের টাইটেল স্পনসরশিপ চুক্তি ভিভো নতুন কোনো সংস্থাকে হস্তান্তর করতে পারে।
ভিভোর তরফে টাইটেল স্পন্সরশিপ হওয়ার জন্য বোর্ড পেত ৪০০ কোটি টাকা। তবে অতিমারীর পরিস্থিতিতে আরব মুলুকে অনুষ্ঠিত আইপিএলে টাইটেল স্পনসরশিপ পেয়ে ড্রিম ইলেভেন বোর্ডকে দেয় মাত্র ২২০ কোটি টাকা। মাত্র এক সংস্করণের জন্যই ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ভারতীয় বোর্ডের। এই মরশুমে নির্ধারিত সময়েই আইপিএল আয়োজন করে গত বছরের মত ক্ষতির মুখ দেখতে চায় না বোর্ড। সেই কারণে খুব শীঘ্রই টাইটেল স্পন্সরের জন্য টেন্ডার ডাকতে পারে বিসিসিআই। চুক্তির অঙ্ক থাকছে ভিভোর চুক্তির মতোই।
বোর্ডের তরফে ড্রিম ইলেভেনকে টাইটেল স্পনসর রেখে দেওয়ার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। যাতে চুক্তির অঙ্ক বাড়িয়ে তারা থেকে যায়। তবে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। বোর্ডের প্রধান লক্ষ্যই আপাতত ভিভোর কাছ থেকে যে পরিমান অর্থ (৪৪০ কোটি) বোর্ড পেত, তার কাছাকছি অর্থ জোগাড় করা।
গত মরশুমে ক্রিড এবং আনএকাডেমিকে টাইটেল স্পনসর ড্রিম ইলেভেনের সঙ্গেই চুক্তি করিয়েছিল বোর্ড। এবারেও অংশীদারিত্বে টাইটেল স্পনসর বিক্রি করার পথে হাঁটতে পারে বোর্ড।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন