ব্য়াটে রান পাচ্ছেন না। অধিনায়ক হিসেবেও নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে দলের ত্রাতা হতে ব্যর্থ। বিরাট কোহলিকে এবার তাই সমালোচনার নিশানায় স্বয়ং ভেরি ভেরি স্পেশ্যাল লক্ষ্মণের। তৃতীয় দিন সাততাড়াতাড়ি কিউয়ি ব্যাটিংয়ের লেজ মুড়িয়ে ফেলার চিত্রনাট্য তৈরি হয়েও তা কাজে এল না বোলারদের ব্যর্থতায়। কাইল জামেসন, ট্রেন্ট বোল্ট এবং কলিন গ্র্যান্ডহোম নিউজিল্যান্ডের ইনিংস টেনে নিয়ে যান ৩৪৮-এ।
১৮৩ রানের লিড এখনও পেরিয়ে যেতে পারেনি ভারত। ৩৯ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ভারত ইতিমধ্যেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলেছে।
এমন অবস্থায় লক্ষ্মণ সাফ জানিয়ে দিলেন, "টিম সাউদিকে আউট করার পরে ভারত কার্যত নিউজিল্যান্ডকে রান করতে দিল। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ১০০ রানেরও লিডও পাবে না। তবে জামেসন ও কলিন গ্র্যান্ডহোমের পার্টনারশিপে নিউজিল্য়ান্ড ১৮৩ রানের লিড পেল। ভারত আক্ষেপ করতে পারে এটা ভেবে যে ওরা প্রচণ্ড রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েছিল। বিরাট যেভাবে ডিফেন্সিভ হয়ে পড়ল, তা ঠিক হয়নি। বিশেষ করে, নতুন বলে রণকৌশল তৈরি করার সময়ে।"
পাশাপাশি সম্প্রচারকারী চ্যানেলে ধারাভাষ্য করার সময়ে প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার বিরাটের ফিল্ডিং সাজানোর সমালোচনা করে আরও বলেছেন, "নতুন বলে কোহলি একদমই ফিল্ডিং সাজাতে পারেনি। বিদেশে খেলার সময়ে নতুন বল সবসময়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে ম্যাচে। চার ওভারের মধ্যেই কোহলি অশ্বিনকে আক্রমণে এনেছিল। যখন তোমার হাতে তিন পেসার রয়েছে, তাদেরই তো টেলএন্ডারদের বল করা উচিত। বিরাট কোহলি এই কৌশলেই ভুল করে টেস্ট হারাতে চলেছে।"
কোহলিকে লক্ষ্মণের আরও পরামর্শ, "আমার মনে হয়, কোহলিকে আরও বেশি শৃঙ্খলা ও ধৈর্য্য দেখানো প্রয়োজন। ও ভাল শুরু করার পরে এমনটাই মনে হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা বিরাটকে রান করার জন্য় একদমই সুযোগ দিচ্ছিল না। একমাত্র স্ট্যাম্প লক্ষ্য করা বলেই বিরাট রান করছিল। জায়গা পেলে কোহলি স্কোর করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে যখনই কোহলির শরীর লক্ষ্য করে শর্ট পিচড বল করা হচ্ছিল, সেটা কোহলির ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছিল।"
লক্ষ্মণের এই কড়া সমালোচনা কোহলি এখন কীভাবে নেন, সেটাই দেখার।