পাকিস্তানের সর্বকালের অন্যতম, থুড়ি শ্রেষ্ঠ বোলার। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কোচিং করিয়েছেন। তবে কখনই পাকিস্তানের জাতীয় দলের কোচের ভূমিকায় দেখা যায়নি। কেন, সেই কথাই এবার খোলসা করলেন ওয়াসিম আক্রম।
Advertisment
আইপিএলেই কেকেআরে কোচিং করিয়ে গিয়েছেন। পাকিস্তান সুপার লিগে করাচি কিংসের কোচ হিসেবেও দেখা গিয়েছে কিংবদন্তি পেসারকে। তবে পাকিস্তানের জাতীয় দল থেকে সর্বদাই দূরত্ব বজায় রেখেছেন তিনি। কোনো সন্দেহ নেই, হাসান আলি, শাহিন আফ্রিদিরা প্রবাদপ্রতিম তারকাকে কোচ হিসেবে পেলে নিজেদের আরো বোলিং আরো ধারালো করে তুলতে পারবেন। তবে অদূর ভবিষ্যতেও পাকিস্তানের জাতীয় দলের কোচ হওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই আক্রমের।
ক্রিকেট পাকিস্তান-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম আক্রম জানিয়েছেন, "শুধু পাকিস্তান নয়, যেকোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফে যুক্ত হওয়ার হলে বছরে নূন্যতম ২৫০-৩০০ দিন দলের সঙ্গে থাকতে হবে। পাকিস্তানে নিজের পরিবার ছেড়ে এতদিন থাকতে কোনোদিনই পারব না। তবে কোনো বোলার যদি আমার সাহায্য চায়, তাঁদের যেকোনো সময় সাহায্য করতে আমি প্রস্তুত।"
সেই সঙ্গে পাকিস্তানের কিংবদন্তি সমালোচনা করেছেন যেভাবে বর্তমান ক্রিকেটাররা কোচের সমালোচনা করেন। "দ্বিতীয়ত, আমি নির্বোধ নই। মাঝে মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরে আসে কীভাবে একজন ক্রিকেটার কোচেদের মুণ্ডুপাত করে। কোচেরা নিশ্চয় মাঠে নেমে ক্রিকেট খেলবে না। একজন কোচের ভূমিকা হল পরিকল্পনা তৈরি করা। আর দল হারলে অনেকক্ষেত্রেই কোচেদের দায়ী করা হয়। এটা ঠিক নয়। কোচেদের বিরুদ্ধে কোনো খারাপ মন্তব্য আমি বরদাস্ত করব না।" বলেছেন টেস্টে ৪১৪টি এবং ওয়ানডেতে ৫০২ উইকেট শিকারীর মালিক।
আক্রম কারোর নাম না বললেও তাঁর ইঙ্গিত যে মহম্মদ আমিরের দিকে, তা বলাই বাহুল্য। অবসরের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে পাক পেসার জাতীয় দলের কোচ মিসবা উল হক এবং বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসকে তুলোধোনা করছেন। এমনকি অবসর ভাঙার শর্তও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি- কোচিং স্টাফ বদলাতে হবে।
আইপিএলে তিনি আর কোচিং না করালেও আসন্ন পিএসএলে তাঁকে ফের করাচি কিংসের বোলিং কোচ হিসাবে দেখা যাবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন