Advertisment

দলে মৌলবি ঢুকিয়ে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়েছেন! বড় অভিযোগে বিদ্ধ জাফর, আব্দুল্লা

দলের ক্রিকেটাররা অভিযোগ করেছেন, দলের মধ্যে মৌলবিকে নিয়ে এসেছেন কোচ জাফর। জাফর আবার বলেছেন, গোটা ঘটনা ইকবাল আব্দুল্লার মস্তিষ্কপ্রসূত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

উত্তরাখন্ড দলে এবার সাম্প্রদায়িক বিতর্ক মাথা চাড়া দিল। স্পিনার ইকবাল আব্দুল্লা জানিয়ে দিলেন, দলের ম্যানেজার ড্রেসিংরুমে মৌলবীকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন শুক্রবারের নামাজের জন্য। সদ্য কোচ ওয়াসিম জাফর উত্তরাখন্ড দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে ড্রেসিংরুমে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর পাশাপাশি জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে।

Advertisment

পাল্টা ওয়াসিম জাফর জানিয়েছেন, দলের আধিকারিক এবং নির্বাচকরা অযোগ্যদের দলে সুযোগ দিচ্ছে। তীব্র এই বিতর্কের পর উত্তরাখন্ড ক্রিকেট সংস্থার সচিব মহিম ভার্মা প্রেস বিবৃতি পাঠিয়ে দাবি গোটা ঘটনায় দলের ম্যানেজার নভনীত মিশ্রকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।

আরো পড়ুন: হারের পর কুম্বলেদের ওপর ঝাল মেটালেন কোহলি, প্রকাশ্যে উগরে দিলেন ক্ষোভ

মহিম ভার্মা আরো জানিয়েছেন দলের ক্রিকেটাররা অভিযোগ করেছেন, দলের মধ্যে মৌলবিকে নিয়ে এসেছেন কোচ জাফর। জাফর আবার বলেছেন, গোটা ঘটনা ইকবাল আব্দুল্লার মস্তিষ্কপ্রসূত। তারপরেই ইকবাল আব্দুল্লা অভিযোগের তির ম্যানেজারের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন।

ইকবাল আব্দুল্লা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে বলেছেন, "আমরা শুক্রবারের নামাজ মৌলবিকে ছাড়া আদায় করতে পারি না। বিকেল ৩.৪০-এ অনুশীলন শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা নামাজ আদায় করেছিলাম। আমি প্রথমে ওয়াসিমভাই কে জিজ্ঞাসা করি যদি কোনো মৌলবিকে নিয়ে আসা যায়। উনি আমাকে দলের ম্যানেজারের অনুমতি নিতে বলেন। আমি নভনীত মিশ্র-র সঙ্গে কথা বলি। উনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, 'কোনো সমস্যা নেই। ধর্ম এবং প্রার্থনা সবার আগে। ম্যানেজারের অনুমতি পাওয়ার পরই মৌলবিকে নিয়ে আসি।"

ঘটনা হল, ঘটনার সিরিয়াসনেসে রীতিমত স্তম্ভিত উত্তরাখন্ড ক্রিকেট। বায়ো বাবল নিয়ম ভঙ্গ বিষয় নিয়েই আপাতত সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জাফরের পাশে অবশ্য দাঁড়িয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে যুব বিশ্বকাপ জেতা ইকবাল আব্দুল্লা, "ওয়াসিমভাই সবসময় দলকে আগে রাখেন। ওর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ একদম ঠিক নয়। ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। ও ভীষণ ব্যথিত। ক্যাম্পের সময় আমরা একাধিক স্লোগান ব্যবহার করতাম। গান গাইতাম- বারবার হা, বোলো ইয়ার হা। একদিন- জো বোলে সো নিহাল, তো অন্যদিন, জয় শ্রীরাম। তারপর একজন একদিন বলল, "গো গ্রিন" বলা উচিত। অন্য একদিন বলা হল, চলো উত্তরাখন্ড, চলো হৃষিকেশ। ওয়াসিমভাই বলেছিল, আমাদের উত্তরাখন্ড স্লোগান নিয়েই টিকে থাকতে হবে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

cricket BCCI
Advertisment