Advertisment

চক্রান্তের শিকার, বলছেন বিসিবি প্রধান

বুধবারেই দিল্লিতে পা রাখার কথা বাংলাদেশের জাতীয় দলের। ৩ তারিখে প্রথম টি২০। তার আগে আরও বেশ কিছু ক্রিকেটার সরে দাঁড়াতে পারেন এই সফর থেকে। এমনই আশঙ্কা করছেন নাজমুল হাসান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bangladesh Cricket

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল (টুইটার)

ভারত সফর বানচাল করার ক্রমাগত প্রয়াস চলছে, এমনটাই মারাত্মক অভিযোগ জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ভারত সফরের আগেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটে। ক্রিকেটারদের কয়েক দফা দাবি মেনে নেওয়ার পরে শর্তসাপেক্ষে ক্রিকেটে ফিরতে রাজি হয়েছেন শাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা।

Advertisment

তবে সমস্যা নাকি এখনও মেটেনি। এমনটাই বলছেন বিসিবি প্রধান পাপন। তিনি বাংলাদেশের প্রথমসারির প্রচারমাধ্য়ম প্রথম আলোয় জানিয়েছেন, "ভারত সফরের এখনো আপনারা কিছুই দেখেননি। দেখেন না কী হয়। আমি যখন বলেছি, এটার মধ্যে একটা ষড়যন্ত্র আছে...। আপনারা আমাকে এত বছর ধরে চেনেন, কখনো ভুল বা মিথ্যা বলেছি? এ রকম কথা যদি আমি বলে থাকি, নিশ্চয়ই এটার মধ্যে কিছু একটা আছে। আমার কাছে তথ্য ছিল যে ভারত সিরিজ বানচাল হবে।"

আরও পড়ুন ইডেনেই হয়তো দিন-রাতের টেস্ট

কীভাবে তাঁর সন্দেহ দৃঢ় হল, সেই বিষয়ে জানাতে গিয়ে পাপন এনেছেন তামিম ইকবালের প্রসঙ্গ। সন্তানসম্ভবা স্ত্রী-র পাশে থাকতে তামিম ভারত সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এতেই সন্দেহ আরও বেড়েছে তাঁর। পাপন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "তামিম আমাকে প্রথমে বলেছিল ও ভারতের শেষ টেস্টটা খেলতে চাইছে না, কারণ ওই সময় ওর বাচ্চার ডেলিভারি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিটিং শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তামিম আমার রুমে গিয়ে বলল, ‘আমি যাব (ভারতে) না।’ আমি বললাম, ‘মানে কি, তোমার সঙ্গে তো কথা হলো শেষেরটায় থাকবে না। তাহলে এখন যাবা না কেন?’ ও তবু বলল, ও যাবে না। এখন সফরে যাওয়ার আগমুহূর্তে যদি শুনি আর কেউ যাবে না, তাহলে কেমন লাগবে?"

আরও পড়ুন ভারতে ডে-নাইট টেস্টের ব্য়াপারে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা করবে বিসিবি

বুধবারেই দিল্লিতে পা রাখার কথা বাংলাদেশের জাতীয় দলের। ৩ তারিখে প্রথম টি২০। তার আগে আরও বেশ কিছু ক্রিকেটার সরে দাঁড়াতে পারেন এই সফর থেকে। এমনই আশঙ্কা করছেন তিনি। নাজমুল হাসান সাফ জানিয়েছেন, "এমন ঘটনার পরে, আরও যদি বেশ কিছু ক্রিকেটার একদম শেষ মুহূর্তে সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়, তাতে আমি অন্তত অবাক হব না। শাকিবের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য ইতিমধ্যেই আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। এখন যদি ও সরে দাঁড়ায়, তাহলে শেষ মুহূর্তে নেতা কে হবে? তাহলে পুরো টিম কম্বিনেশনই বদলে ফেলতে হবে।"

ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের সামনে বিসিবি আরও কড়া হতে পারত, এমনটাও বলেছেন তিনি। প্রথম আলোর সাক্ষাৎকারে অকপট ভঙ্গিতে তিনি জানিয়েছেন, "আগে থেকে কিছু না জানিয়ে খেলা বন্ধ, এটা কোনো দিন হতে পারে! আমি মনে করি ওদের দাবি পূরণ করে আমি একটা অন্যায় কাজ করেছি। কোনোভাবেই উচিত হয়নি মানা। আমাদের বলা উচিত ছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার না করবে আর বোর্ডে আবেদন না করবে, আমরা তোমাদের সঙ্গে বসব না।"

সাকিব আল হাসান কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ বোর্ডের চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের স্পনসর রবি। অথচ শাকিবকে দেখা গিয়েছিল গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে। তবে এই কারণে যে শাকিব বড়সড় শাস্তির মুখে পড়বে, তা মানছেন না বিসিসি শীর্ষ কর্তা। তিনি সাক্ষাৎকারে খোলসা করে বলেছেন, "খেলোয়াড়দের আমরা বলেছিলাম ওরা কোনো টেলকোর সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না। যেন সামনের বছর টেলকোগুলো টিম স্পনসরের দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। তবু জেনেশুনে কি সাকিব এই বেআইনি কাজটা করতে পারে? আমি কি যা খুশি তা-ই করতে দেব ওদের! সময়টাও দেখুন। জানুয়ারিতে আমি নতুন স্পনসরের দরপত্রে টেলকোকে আর পাব না। বা এলেও ওরা কম টাকা দিতে চাইবে। এভাবে যে আমাদের ফাঁদে ফেলল, এতে ক্ষতিটা কার? এতে শুধু একজন খেলোয়াড় লাভবান হলো, কিন্তু আমার ক্রিকেট দলের কী হবে?"

পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, "ওকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ওর কোনো ব্যাখ্যা থাকলে সেটা আগে শুনি।"

Bangladesh Test cricket
Advertisment