Charlie Griffith bouncer incident: ক্রিকেটের শুরুর দিন থেকেই ব্যাটিং সবসময় ঝুঁকির কাজ। আধুনিক যুগে প্যাড ও হেলমেট থাকার পরও এই ঝুঁকি পুরোপুরি কমেনি। যদিও এখন গুরুতর বা প্রাণঘাতী চোটের সংখ্যা কমে গেছে, ১৯৬২ সালে ভারতের তরুণ অধিনায়ক নরি কন্ট্রাক্টর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলার চার্লি গ্রিফিথের বলে এমনভাবে আহত হয়েছিলেন যে তিনি আর কখনও ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলতে পারেননি।
১৯৬১-৬২ এর ভয়ঙ্কর ক্যারিবিয়ান সফর
বাঁহাতি ব্যাটার নরি কন্ট্রাক্টর ১৯৫৫-৫৬ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক করেন। ১৯৬০-৬১ মরশুমে তিনি ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হন। এক বছর পর তাঁর নেতৃত্বেই ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়লাভ করে। এরপর তাঁকে ১৯৬১-৬২ ক্যারিবিয়ান সফরের জন্য দলনেতা নির্বাচিত করা হয়, কিন্তু এই সফরেই তিনি জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা পান।
আরও পড়ুন বুমরাহকে ছেঁটেই ফেলল BCCI! ইংল্যান্ড সফরে টিম ইন্ডিয়ার ভার কার কাঁধে দিতে চায় বোর্ড?
ককটেল পার্টিতে কী হয়েছিল?
প্রথম দুই টেস্টে হারের পর ভারত তৃতীয় টেস্ট খেলতে বার্বাডোজ পৌঁছায়। ম্যাচের আগে দুই দলের মধ্যে এক ককটেল পার্টির আয়োজন করা হয়। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ফ্রাঙ্ক ওরেল সরাসরি ভারতীয় অধিনায়ককে সতর্ক করেন। ভারতীয় দল আগেই চোট সমস্যায় জর্জরিত ছিল, তাই ওরেল বলেন, "আউট হওয়া বেশি ভাল, চোট খাওয়ার চেয়ে।" তিনি চার্লি গ্রিফিথের আগ্রাসী বোলিংয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, "সে ১৮ বছরের এক ব্যাটারের মাথায় বল মেরেছে কিন্তু কখনও ক্ষমা চায়নি, তাই সাবধান!"
ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রক্তদান করে জীবন বাঁচালেন
আহত নরি কন্ট্রাক্টরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রথম রক্তদাতাদের মধ্যে ছিলেন প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেল। এরপর চন্দু বোরডে, বাপু নন্দকর্ণি এবং পলি উমরিগরও রক্তদান করেন। এর ফলেই নরি কন্ট্রাক্টরের প্রাণ রক্ষা হয়। এই ঘটনার স্মরণে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ১৯৮১ সাল থেকে প্রতি বছর ৩ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিষ্ঠা দিবসে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে, যা ‘ফ্রাঙ্ক ওরেল দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন রান নিতে গিয়ে মোবাইল পড়ল পকেট থেকে, ব্যাটারের কুকীর্তি ফাঁস Viral Video-তে
ক্রিকেট ইতিহাসের এই ঘটনাটি শুধু মাঠের লড়াই নয়, খেলোয়াড়দের মানবিকতারও এক অনন্য নিদর্শন!