East Bengal Footballer Yusif Yakubu: ভারতীয় ফুটবলে দাপিয়ে খেলে গিয়েছেন বহু বিদেশি ফুটবলার। অনেকেই সাফল্য পেয়েছেন, আবার কেউ কেউ ফ্লপ হয়ে হারিয়ে গিয়েছেন কালের গর্ভে। তবে সফল বিদেশিদের সংখ্যাই বেশি। এমনই একজন ফুটবলার ছিলেন ইউসুফ ইয়াকুবু। ভারতীয় ফুটবলে 'বুড়ো ঘোড়া' বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। যেরকমই পরিস্থিতি হোক, বিপক্ষে যেই থাকুক না কেন, গোল করার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। খেলেছেন একাধিক ক্লাবে। সেই ইয়াকুবু এখন কোথায়, কী করছেন, সেই প্রশ্ন মনে জাগতে পারে। আজ জানব তাঁকে নিয়ে।
ঘানার ফরোয়ার্ড ইউসুফ ইয়াকুবু ভারতীয় ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর বয়স বাড়লেও ফুটবল বুদ্ধি এবং গোলের খিদে ছিল মারাত্মক। বয়সে তুলনায় প্রবীণ ইয়াকুবু কিন্তু তরুণ ফুটবলারদের সহজেই টেক্কা দিতেন। নিজের সেরা সময়ে ছিলেন বিপক্ষের ত্রাস। তাঁকে আটকাতে হিমশিম খেতেন প্রতিদ্বন্দ্বী টিমের ডিফেন্ডাররা। সেটপিস হোক বা পেনাল্টি, সবরকম ভাবেই গোল করার অসামান্য ক্ষমতা ছিল তাঁর মধ্যে।
আরও পড়ুন ছিলেন বিপক্ষের ডিফেন্সের ত্রাস, ইস্টবেঙ্গলের 'প্রাণভ্রমরা' এখন কোথায়, কী করছেন?
২০০০ সালে ভারতে পা রাখেন ইয়াকুবু। ভারতে খেলেছেন ২০১৪ সাল পর্যন্ত। এই পুরো সময়কালে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্স থেকে ভারতীয় ফুটবলে হাতেখড়ি তাঁর। ২০০১ থেকে ২০০৫ মরশুম পর্যন্ত খেলেন গোয়ার এই পারিবারিক ক্লাবে। চার্চিলের হয়ে ১০৩টি ম্যাচে গোল করেন ৬৫। ২ বার সেরা গোলদাতা হয়েছিলেন ইয়াকুবু।
চার্চিলের পর তাঁর গন্তব্য হয় মাহিন্দ্রা ইউনাইটেডে। ২০০৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এই অফিস ক্লাবে খেলেন তিনি। মাহিন্দ্রার জার্সিতে জেতেন জাতীয় লিগ এবং ফেডারেশন কাপ। ২০০৮ মরশুমে তিনি যোগ দেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে (East Bengal FC)। ২০০৮-০৯ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হয়ে আই লিগে মোট ৯টি গোল করেন। বাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল বিপক্ষের আতঙ্ক। ডার্বি থেকে শুরু করে কলকাতা লিগ, আই লিগ সবেতেই সাফল্য পেয়েছেন ইয়াকুবু। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জেতেন ফেডারেশন কাপ। দুই মরশুম খেলে তিনি করেছিলেন ২০টি গোল। ২০১০ সালে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে যোগ দেন সালগাওকরে। সেখানে এক মরশুমে ১৫টি গোল করেছিলেন ইয়াকুবু।
আরও পড়ুন ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের 'নয়ন মণি', ২ বারের সোনার বুট জয়ী, লাল-হলুদ তারকা এখন কোথায়?
২০১২ থেকে ২০১৪ মরশুমে মুম্বাই এফসি-তে খেলেন তিনি। সেখানে ৩৭ ম্যাচে করেন ১৮ গোল। ২০১৪ সালে ফুটবলকে বিদায় জানান ইয়াকুবু। ক্লাব পাল্টেছেন, পাল্টেছে জার্সিও। কিন্তু গোল করার ক্ষমতা অটুট ছিল তাঁর। অবসর নেওয়ার পরও ফুটবল থেকে দূরে থাকেননি ইয়াকুবু। এখন ফুটবল এজেন্ট হিসাবে কাজ করেন তিনি। তরুণ ফুটবলার, অনামী কোচদের দল পেতে সাহায্য করে থাকেন।