East Bengal Footballer Mike Okoro: একসময়ে তিনি ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নয়নের মণি। গোলের বন্যায় একের পর এক ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। বেশ কিছু বছর আগে বিদায় জানিয়েছেন লাল-হলুদ জার্সিকে। এহেন ফুটবলারকে ভুলেই গেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তাঁকে যে তাঁর প্রিয় ক্লাব এভাবে ভুলে যাবে তা বোধহয় কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। তিনি হলেন মাইক ওকোরো। ইস্টবেঙ্গলের আসিয়ান কাপ জয়ের অন্যতম নায়ক। প্রায় ১৮ বছর আগে শেষবার লাল-হলুদ জার্সিতে খেলেছিলেন ওকোরো। কিন্তু আজ তিনি কোথায়, কেন অ্যালভিটো, মেহতাব, ওমোলোদের মতো তাঁকে দেখা যায় না ইস্টবেঙ্গলের কোনও অনুষ্ঠানে?
তাঁর পুরো নাম মাইক এমানুয়েল ওকোরো। নাইজেরিয়ার এই ফুটবলার এক সময় লাল-হলুদ জার্সিতে ময়দান কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। ২০০২ সালে প্রথমবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দেন তিনি। মাঠে নামার পর থেকেই লাল-হলুদ সমর্থকদের মন জয় করেছিলেন তিনি। তার পরের বছরই আসিয়ান কাপে খেলতে নামে ইস্টবেঙ্গল। ওই টুর্নামেন্টে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন তিনি। ওই বছর ২৬ জুলাই বেক তেরো সাসানা ক্লাবের বিরুদ্ধে আসিয়ান কাপের ফাইনালে প্রথম গোল এসেছিল ওকোরোর পা থেকে। আসিয়ান কাপের ফাইনাল ৩-১ গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল।
২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওকোরো ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ৩৭ ম্যাচে ২০ গোল করেছিলেন। এরপর ২০০৫ সালে ফের একবার ইস্টবেঙ্গলে কামব্যাক হয়েছিল তাঁর। কিন্তু লাল-হলুদে কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস ওকোরোর খুব একটা স্মরণীয় ছিল না। ১২ ম্যাচ খেলে একটাই গোল করেছিলেন। তার পর স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে ছেড়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তার পর তিনি ধীরে ধীরে ইস্টবেঙ্গলের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যান। কিন্তু আবার কয়েক বছর তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। আসিয়ান জয়ের নায়ককে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উদযাপনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ওকোরোর বিস্ফোরক কথা নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছিল তখন।
আরও পড়ুন ইস্টবেঙ্গলের কাটা ঘায়ে নুন মমতার, কাদের দেখে শিখতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
এখন প্রশ্ন হল, সেইসময়কার অনেক প্রাক্তন ফুটবলারকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে দেখা যায়। অ্যালভিটো, বাইচুং, ওমোলোরা ক্লাবে আসেন। কোনও অনুষ্ঠান হলে দেখা যায় তাঁদের। কিন্তু ওকোরোকে দেখা যায়নি। তিনি এখন কোথায় রয়েছেন, কী করছেন তিনি? এখানে বলে রাখি, ২০১৬ সালের ১ জুলাই ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে বুটজোড়া তুলে রেখেছেন ওকোরো। আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিজের পরিবারকে নিয়ে থাকেন ইস্টবেঙ্গলের বহু কীর্তির সাক্ষী।