Mohun Bagan Former Footballer Chidi Edeh: মোহনবাগানে (Mohun Bagan) এমন কিছু বিদেশি ফুটবলার অতীতে খেলতে এসেছেন, যাঁরা চিরকালের জন্য সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মনের মণিকোঠায় চিরতরে জায়গা করে নিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন চিমা ওকোরি, সবুজ তোতা হোসে রামিরেজ ব্যারেটো, সোনি নর্ডে, ওডাফা ওকোলি, কাটসুমি ইউসা-সহ বহু তারকা ফুটবলার।
সেই তালিকায় নিজের স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছেন নাইজেরিয়ার ফুটবলার চিডি এডে। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবেই সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন চিডি। কিন্তু মোহনবাগানে (Mohun Bagan Super Giants) তাঁর কীর্তি স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে ডার্বির (Kolkata Derby) ইতিহাসে। সেই সাফল্য আর কোথাও পাননি তিনি। সেই কারণেই তিনি সবুজ-মেরুন জনতার নয়নের মণি। কিন্তু কোথায় হারিয়ে গেলেন তিনি, এখন কোথায় রয়েছেন, কী করছেন? আজ জানব তাঁকে নিয়ে।
২০০৭ সালে গোয়ার ক্লাব ডেম্পোয় প্রথম পা রাখেন চিডি। আই লিগে ডেম্পোর হয়ে খেলেন ১৫টি ম্যাচ খেলেন। করেছিলেন ৮টি গোল। সেইসঙ্গে ডেম্পোকে প্রথমবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি। সেইবছর ডেম্পোর হয়ে এএফসি কাপেও খেলেছিলেন। ২০০৯-১০ মরশুমে তিনি ডেম্পো ছেড়ে যোগ দেন মোহনবাগানে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সবুজ-মেরুন সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে ওঠেন চিডি। কলকাতা ডার্বিতে তাঁর অসামান্য হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে যুবভারতীতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে বদলা নিয়েছিল মোহনবাগান। সেই ম্যাচে একাই ৪ গোল করেছিলেন চিডি। লাল-হলুদ ব্রিগেড এত বড় ব্যবধানে কোনওদিন সেই ডার্বির আগে হারাতে পারেনি মোহনবাগান।
আরও পড়ুন বাইচুংয়ের সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল বিপক্ষের আতঙ্ক! এখন কোথায় ইস্টবেঙ্গলের 'গোলমেশিন'?
সেইদিন থেকে তাঁকে মাথায় তুলে নাচতে থাকেন মোহনবাগানিরা। ২০১২-১৩ মরশুমে চিডি ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) যোগ দেন। লাল-হলুদ জার্সিতে সেবার ময়দান কাঁপিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে এএফসি কাপে ইস্টবেঙ্গল অপ্রতিরোধ্য ফর্মে ছিল। তাঁর অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন চিডি। আই লিগে পঞ্চম ফুটবলার হিসাবে চিডি ১০০ গোল করেছিলেন। ২০১২ সালের ফে়ডারেশন কাপেও সোনার বুট পেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন ছিলেন বিপক্ষের ডিফেন্সের ত্রাস, ইস্টবেঙ্গলের 'প্রাণভ্রমরা' এখন কোথায়, কী করছেন?
২০১৫ সালে তিনি ভারত ছেড়ে চলে যান মালয়েশিয়ার কেডাহ এফএ ক্লাবে। সেখানেও নজর কাড়েন তিনি। ১৬ ম্যাচে ১৪টি গোল করেন মালয়েশিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। পাশাপাশি ৬টি অ্যাসিস্ট আসে তাঁর কাছ থেকে। ২০১৮ সালে আবার ভারতে ফেরেন চিডি। যোগ দেন আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজল এফসি ক্লাবে। কিন্তু মাত্র ২ মাসেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় পাহাড়ি ক্লাবের সঙ্গে। তার পর ভারতীয় ফুটবল থেকে হারিয়ে যান চিডি। ট্রান্সফার মার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, আইজলের পর আর কোনও ক্লাব পাননি চিডি। আনুষ্ঠানিক ভাবে ফুটবলকে বিদায় না জানালেও গত ৭ বছর ধরে ফুটবল থেকে দূরেই রয়েছেন ৩৭ বছরের নাইজেরিয়ান তারকা ফুটবলার।