Malvika Bansod: The Computer Engineer Fighting for an Olympic Dream – Can India’s IT Giants Support Her?: বিশ্ব ব্যাডমিন্টনে ভারতের পিভি সিন্ধু এক বড় নাম। সেই তুলনায়, ২৩ বছর বয়সি মালবিকা বানসোদ এখনও বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সার্কিটে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিতই নন। এই বয়সেই যেখানে সাইনা নেহওয়াল ও পিভি সিন্ধুরা অলিম্পিক এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতেছিলেন, সেখানে মালভিকা এখনও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্যই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও তিনি অন্যদের চেয়ে একটু হলেও আলাদা। কারণ, তিনি শুধু একজন প্রতিভাবান ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ই নন। মালবিকা শিক্ষাক্ষেত্রেও অনন্যা। একজন পেশাদার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার!
নাগপুরের মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া মালবিকার ক্রীড়াজগতের প্রতি ভালোবাসার জন্ম হয়েছে তাঁর ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় দাদার থেকে। কিন্তু, পরিবারের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায়, তাঁর চলার পথ বারবার ধাক্কা খেয়েছে। তাঁর মা, একজন দাঁতের ডাক্তার। মেয়ের শারীরিক প্রস্তুতির জন্য তিনি কোনও পুষ্টিবিদ বা ম্যাসাজ থেরাপিস্ট মালবিকাকে দিতে পারেননি। যতটা পেরেছেন, নিজে এই ব্যাপারে যাবতীয় দায়িত্ব সামলেছেন। মেয়ের পুষ্টি আর ম্যাসাজ থেরাপি নিজেই করেছেন।
তাতেই সাফল্য এনে দিয়েছেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এই ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। সম্প্রতি অল ইংল্যান্ড ওপেনে তিনি দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন। তার আগে চিনে হারিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তথা প্যারিস অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী গ্রেগোরিয়া মারিস্কা তুনজুংকে। তবে, মালবিকা এরপরও ভারতের একনম্বর ব্যাডমিন্টন তারকা নন। তিনি এখনও সিন্ধুকে হারাননি। বরং, তাঁর বয়স ২৩ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে 'লেট ব্লুমার' হিসেবেই বিবেচনা করছে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন মহল।
তাতে অবশ্য বিচলিত নন, এই ব্যাডমিন্টন তারকা। তিনি এখন প্রথাগত কোচিং সিস্টেমের বাইরে গিয়ে সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই লক্ষ্যে তিনি বর্তমানে কোচ বিগনেশ দেবলেকরের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে মালবিকার বর্তমান পয়েন্ট ২৮। তাঁর আরও উন্নতির জন্য প্রয়োজন। এজন্য দরকার একজন পার্সোনাল ট্রাভেলিং ফিজিও এবং ট্রেনার।
আরও পড়ুন- 'শরিয়ত বিরোধী', শামির মেয়ের হোলি খেলায় চটে লাল মৌলানা
আর, এজন্যই তাঁর অর্থ দরকার। প্রয়োজন স্পনসরশিপ। কিন্তু, সমস্যা হল যে মালবিকা এখনও পর্যন্ত কোনও ফান্ডিং জোগার করতে পারেননি। তার মধ্যেই তিনি স্বপ্ন দেখছেন ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে খেলার। কিন্তু, সেই স্বপ্ন পূরণ করতে গেলে তাঁকে পাহাড় পরিমাণ বাধা অতিক্রম করতে হবে। এটাই ভাবাচ্ছে এই ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের ঘনিষ্ঠদের।