মার্চ মাসের ২৯ তারিখে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস, মার্চের ৩০-এ দ্বিতীয় ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, মার্চ ৩১-এ আরসিবি বনাম কেকেআর! এমনই একটা সম্ভাব্য সূচি দেওয়া হয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। ২০ দিন আগে। তবে এখনও আইপিএলের চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করতে পারল না আইপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল।
রটে গিয়েছিল যে এপ্রিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা ও দিল্লিতে বেশ কিছু কনক্লেভ ও কনফারেন্স রয়েছে। সেই কারণে আয়োজনের সমস্যা হতে পারে।
রাজস্থান রয়্যালসকে নিয়েও সমস্যা রয়েছে। রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজি এবার বেশ কিছু ম্যাচ উত্তর পূর্ব ভারকের গুয়াহাটিতে খেলতে চেয়েছিল। তবে তাঁদের শহর বদলানোর বিপক্ষে জয়পুর আদালতে আবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে আইপিএল-এর আয়োজকদের এসব কিছু নয়, সমস্যা অন্যত্র। প্রথম থেকেই আইপিএল কর্তৃপক্ষ চাইছে একই দিনে যাতে দুটো ম্যাচ যথাসম্ভব কম রাখা হয়। এখানেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। সময়-সূচি নির্ঘন্ট নিয়ে আরও বিশদে ভাবতে হচ্ছে।
দ্বিতীয় কারণ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত অলস্টার ম্যাচ। ভাবা হয়েছিল আইপিএলের প্রথম ম্যাচের চারদিন আগে এই ম্যাচ আয়োজন করা হবে। তবে ঘটনাচক্রে, আইপিএলের ঠিক আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের প্রধান ক্রিকেটারদের এই ম্যাচ খেলার জন্য ছাড়তে মোটেই রাজি নয়। এতে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভাবতে হচ্ছে আরও একটা বিষয়। মার্চের ১৮ ও ২১ তারিখে এশিয়া একাদশ বনাম বিশ্ব একাদশ ম্যাচ আয়োজন করবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানেপ জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই ম্যাচ আয়োজন করা হচ্ছে। বোর্ড সভাপতি আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বেশ কিছু ভারতীয় ক্রিকেটার সেই ম্যাচে অংশগ্রহণ করবে।
এখনও ঠিক নেই যে সেই ম্যাচের জন্য চার নাকি পাঁচ কতজন ভারতীয় ক্রিকেটার অংশগ্রহণ করবে। সেই ম্যাচে ক্রিকেটার ছাড়া নিয়েও আপত্তি জানাতে পারে সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। কারণ, ক্রিকেটারদের সেই ম্যাচে ছাড়লে বিজ্ঞাপনী প্রচারের দিকটি ধাক্কা খেতে পারে।
মুম্বই মিরর-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সব বিষয় বিবেচনা করার জন্যই আইপিএলের সূচি এখনও প্রকাশ করতে পারেনি বিসিসিআই। তবে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি যাই হোক না ডাবল হেডার (একই দিনে দুটি ম্যাচ) ম্যাচের সংখ্যা কমানোর প্রতিশ্রুতি এবার রাখবে বিসিসিআই।