Mohammed Shami didn't play in 1st T20: ভারত-ইংল্যান্ড টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে কেন খেললেন না বাংলার পেসার মহম্মদ শামি? এই প্রশ্নে জল্পনা ম্যাচের পরদিনও অব্যাহত। ভারত ইডেনে এই প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জয়ী হয়েছে। এই ম্যাচেই ১৪ মাস পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা ছিল বাংলার বোলারের। ভারতের হয়ে শামির শেষ ম্যাচ ছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। শেষ টি২০ ছিল ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ।
অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর জসপ্রীত বুমরার চোট ধরা পড়েছে। তারপরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কয়েক সপ্তাহ আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শামি প্রত্যাবর্তন করলেন। কিন্ত, তারপরও দেখা গেল ইডেনের ম্যাচে শামিকে নামাল না টিম ম্যানেজমেন্ট। এই ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞ ফাস্ট বোলার বলতে ছিলেন অর্শদীপ সিং। সিম বোলারের দায়িত্ব সামলেছেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও নীতীশকুমার রেড্ডি।
আর, তাতেই প্রশ্ন উঠেছে, শামিকে কেন প্রথম একাদশে নেওয়া হল না? শামি কি ফিট ছিল না? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ শামি তো এই টি২০ ম্যাচেই পেতে পারত? ইংল্যান্ড ইডেনের ম্যাচে চার জন বিশেষজ্ঞ ফাস্ট বোলার নিয়ে নেমেছিল। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার আকাশ চোপড়ার দাবি, শামি এখনও ১০০% ফিট নন।
চোপড়া খেলা চলাকালীন টুইটারে লিখেছেন, 'শামি খেলছেন না। স্পষ্টতই আজকের জন্য ১০০% ফিট নন। ভারত ফ্রন্টলাইন পেসারদের মধ্যে কেবল অর্শদীপকে নিয়েছে। হার্দিক-নীতীশ বাকিটা সামলাবেন। ইংল্যান্ড কিন্তু, ৪ জন পেসারই নামিয়েছে। দুই অধিনায়ক পিচকে নিজেদের মত করে দেখছেন।'
চোপড়া একথা বললেও ম্যাচের আগে শামির কোনও চোট কিন্তু দেখা যায়নি। বুধবার টসের আগে তিনি ওয়ার্ম-আপে বোলিং করেন। ফলে, তিনি ফিট নন, একথা বলা যাবে না। তাহলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ম্যাচে কেন তিনি খেললেন না? অবাক করার মত ব্যাপার হলেও এটা নাকি ভারতের কৌশলই ছিল। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে যখন এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি বলেন, 'আমরা নিজেদের শক্তির ওপরই নির্ভর করতে চেয়েছিলাম।'
এই ম্যাচে ৩৪ বলে ৭৯ রান করেছেন অভিষেক শর্মা। তিনি বলেন, 'গোটা ব্যাপারটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। তারা যেটা ঠিক মনে করেছে, সেটাই করেছে।' ম্যাচ-পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক একথা জানান। তারপরই বিশেষজ্ঞদের ধারণা হয়েছে, টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে শামির বাদ পড়ার পিছনে গৌতম গম্ভীরের হাত রয়েছে।
শামির মতো বিশেষজ্ঞ বোলার না রেখে, পিচ দেখে তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার এবং একজন ফ্রন্টলাইন পেসার নিয়ে 'বাজবল'-এর বিপক্ষে 'গ্যামবল' খেলেছেন গম্ভীর। তাঁর সিদ্ধান্ত কার্যকর বলেই প্রমাণিত হয়েছে। ভারতীয় স্পিনারদের বলে ১২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড মাত্র ৬৭ রান করেছিল। জস বাটলার ছাড়া, বরুণ চক্রবর্তী, রবি বিষ্ণোই এবং অক্ষর প্যাটেলদের কোনও ইংরেজ ব্যাটার খেলতে পারেননি।
আরও পড়ুন- রঞ্জিতে ফিরে ব্যাট হাতে ভিখিরি দশা রোহিত-গিল-পন্থদের, ফ্লপ একের পর এক সুপারস্টার
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রথম টি২০ ম্যাচে শামিকে বাদ দেওয়ার কারণ, গম্ভীর দেখেছেন যে টি২০-তে শামির পারফরম্যান্স আহামরি নয়। তাঁর ১১ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে শামি ২৩টি টি২০ ম্যাচ খেলে ২৪টি উইকেট নিয়েছেন। প্রতি ওভারে ইকোনমি রেট ১.৯। তার ওপর তিনি ১৪ মাস পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন। ফলে, তাঁর বলে বেধড়ক ঠেকাতে পারে জস বাটলাররা। ৩৪ বছর বয়সি ভারতীয় পেসার ম্যাচ শুরুর আগে সাইড নেটে আধঘণ্টা বল করেছেন। সেই সময় দেখা গিয়েছে যে তাঁর বাম হাঁটুতে ভারী স্ট্র্যাপিং। বল করার সময় বারবার দেখা যাচ্ছিল যে শামি কাত হয়ে বল ছুড়ছেন। সূত্রের খবর, নেটে একটু বেশি খাটাখাটি করলেই শামির হাঁটু ফুলে যাচ্ছে। যা তাঁকে মাঠে নামানোর ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে।