আসন্ন আইপিএল-এ খেলা হবে না মুস্তাফিজুর রহমানের। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাদের অন্যতম সেরা বোলারকে এই টুর্নামেন্টে খেলার সবুজ সঙ্কেত দিল না। মুস্তাফিজুর পেলেন না 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)। জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের শুরুতেই মুস্তাফিজুরকে সেদেশের বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল যে, আগামী দু’বছর সে যেন নিজেকে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-২০ লিগের জন্য ফাঁকা না-রাখে। তাঁকে জাতীয় কর্তব্যই পালন করতে হবে।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে বসছে ২০১৯ আইপিএল-এর নিলাম। তার আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে এটা বড় ধাক্কা। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটার দেওয়ার ক্ষমতার জন্যই আলাদা একটা নাম করে নিয়েছে। ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আইপিএল জেতানোয় অন্যতম বড় অবদান ছিল মুস্তাফিজুরের। ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৭-তে হায়দরাবাদের হয়ে একটি মাত্র ম্যাচই খেলেছিলেন। চলতি বছর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনবারের চ্য়াম্পিয়ন দলের হয়ে সাতটি মাত্র ম্য়াচ খেলেই থামতে হয়েছিল তাঁকে। চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান তিনি।
আরও পড়ুন: IPL 2019: দর কমালেন যুবি, খেলবেন না ম্যাক্সওয়েল-ফিঞ্চ
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়াও অ্যাশেজ ও বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে অ্যারন ফিঞ্চ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আইপিএল-এর জন্য ছাড়েনি। ২ মে থেকে তাদের জাতীয় শিবিরে যোগ দিতে হবে। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদেরও ২৫ এপ্রিলের মধ্যে দেশে ফিরতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে তারিখটা ১০ মে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়দের জন্যও এই নিয়ম লাগু হবে। বিসিসিআই এখনও আইপিএল-এর নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি। কিন্তু মনে করা হচ্ছে যে, আইপিএল-এর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণের একটা সংঘর্ষ লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে ভেন্যুর আংশিক বা পুরো পরিবর্তন ঘটতে পারে।আসন্ন নিলামে ১০০৩ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৮০০ জনই নতুন। তাদের মধ্যে ৭৬২ জন ভারতীয়। বিদেশের রয়েছেন ২৩২ জন। আগামীকালই খেলোয়াড়দের সংক্ষিপ্ত তালিকা পেশ করার শেষ দিন।