হোয়াইটওয়াশ কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। চতুর্থ দিনে প্রথম ঘণ্টাতেই ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার লেজ ছেঁটে ফেলে ৩-০ করে ফেলতে পারে। এর মধ্যেই ফের দুঃসংবাদ ভারতীয় স্কোয়াডে। আঙুলে চোট পেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ম্যাচের মাঝেই পরিবর্ত হিসেবে নামতে হল ঋদ্ধিমান সাহাকে। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের ২৭তম ওভারের ঘটনা। সেই সময় বল করছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
স্ট্যাম্প করতে গিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। তবে আঙুলে চোট পেয়ে বসেন বাঙালি তারকা উইকেটকিপার। চোটে কাতরাতে কাতরাতে মাঠ ছাড়তে হয় ঋদ্ধিমানকে। আগেই সামান্য চোটে আঙুলে টেপ বেঁধে খেলছিলেন ঋদ্ধিমান। তবে দ্বিতীয়বার একই জায়গায় চোট লাগায় আর কোনও রিস্ক নেননি তিনি। তাঁরই পরিবর্ত হিসেবে খেলার সুযোগ আসে ঋষভ পন্থের কাছে। চলতি টেস্টে সিরিজে একটি ম্যাচেও খেলেননি পন্থ। তবে আচমকাই ঋষভ শেষ লগ্নে খেলতে নামেন। প্রসঙ্গত, টেস্ট ক্রিকেটে এটাই ভারতের প্রথমবার পরিবর্তনের নজির।
তারপরেই বিসিসিআইয়ের তরফে টুইট করে জানানো হয়, ঋদ্ধিমানের পরিবর্ত হিসেবে খেলতে নামছেন ঋষভ পন্থ। চলতি সিরিজে দুরন্ত উইকেটকিপিংয়ের নমুনা রেখেছেন ৩৪ বছরের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। পুণেতে ডেব্রুইনের দুরন্ত ক্যাচ তালুবন্দি করে প্রশংসিতও হয়েছেন সর্বত্র। আখ্যা দেওয়া হয়েছে সুপারম্য়ান ঋদ্ধিমান বিশেষণেও। চোটের কারণেই ভারতের জার্সিতে খেলতে পারেননি কয়েকমাস। তবে ফের চোট পাওয়ায় শঙ্কা আরও জোরালো হল।
অবশ্য শুধু ভারতীয় স্কোয়াডেই নয়। পরিবর্ত ক্রিকেটারল দেখা গেল দক্ষিণ আফ্রিকান স্কোয়াডেও। ইনিংসের নবম ওভারে উমেশ যাদবের বল ডিন এলগারের হেলমেটে আছড়ে পড়েছিল। তারপরে কানকাশনের সমস্যা হওয়ায় মাঠ ছাড়েন তিনি। আইসিসির কনকাশন নীতি মেনে সঙ্গেই সঙ্গেই ঝুঁকি না নিয়ে নামানো হয় ডে ব্রুইনকে। পরিবর্ত হিসেবে খেলতে নেমে তিনি আপাতত দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। দিনের শেষে ব্যক্তিগত ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন নর্ৎজে।