ভারত: ২১৭/১০, ১৭০/১০
নিউজিল্যান্ড: ২৪৯/১০, ১৪০/২
পারল না ভারত। লজ্জার ইতিহাস গড়ে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চাম্পিয়নশিপ থেকে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। নিউজিল্যান্ডের সামনে টার্গেট ছিল ১৩৯ রানের। সেই রান মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই তুলে দিল কিউয়িরা। ইতিহাস গড়ে নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব জিতল ৮ উইকেটে।
আর চাপের মুখে নিউজিল্যান্ডকে রান তাড়া করে জিততে সাহায্য করল অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (৫২) এবং রস টেলরের (৪৭) দুরন্ত পার্টনারশিপ। ৪৪ রানে দু-উইকেট হারিয়ে কিউয়িদের প্রাথমিকভাবে ঝটকা দিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে তারপরে শুধুই উইলিয়ামসন এবং রস টেলরের জুটি। হাজার চেষ্টা করেও এই জুটি ভাঙতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া।
ভারত প্রথম ইনিংসে ২১৭ করার পরে নিউজিল্যান্ড ৩২ রানের লিড সমেত ২৪৯ তুলেছিল। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে একসময় বেশ ভালো পজিশনে ছিল। গতকাল দিনের শেষে ৬৪/২ ছিল ভারত। ক্রিজে ছিলেন স্বয়ং কোহলি এবং চেতেশ্বর পূজারা।
আরো পড়ুন: WTC ফাইনালে লজ্জার রেকর্ড টিম ইন্ডিয়ার! কলঙ্কের সাক্ষী থাকল সাউদাম্পটন
সেখান থেকে যে ভারত এভাবে শোচনীয়ভাবে আত্মসমর্পন করবে, বোঝা যায়নি। আকাশে মেঘ ছিল না রিজার্ভ ডে-তে। ব্যাটিংয়ের জন্য পিচও অনেকতা সহজ হয়ে এসেছিল। এমন পরিস্থিতিতেই ফের একবার চোক করে গেল টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং।
দিনের শুরুতেই জোড়া ঝটকা দেন কাইল জেমিসন। পরপর দু-ওভারে ফিরিয়ে দেন কোহলি এবং চেতেশ্বর পূজারাকে। সেই যে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে ধস নামল, তা আর মেরামত করা যায়নি। ঋষভ পন্থ একা সাধ্যমত ৪১ করে গেলেন। তবে অন্য প্রান্তে সাহায্য না পেয়ে সেভাবে মেলে ধরতে পারলেন না নিজেকে।
জেমিসন যে ধংসের সূচনা করেছিলেন, তা শেষ করেন বাকি দুই কিউয়ি পেসার- সাউদি এবং বোল্ট। দুজনের নামের পাশে দিনের শেষে যথাক্রমে ৪টে এবং ৩টে শিকার।
আরো পড়ুন: কেরিয়ারের শেষ দিনে ভাঙল আঙ্গুলও, তবু মাঠ ছাড়লেন না কিউয়ি তারকা! চোখে জল সকলের
ভারত ১৭০-এ থেমে যাওয়ার পরে নিউজিল্যান্ডের কাছে টার্গেট দাঁড়িয়েছিল ১৩৯। চাপের মুখে সেই টার্গেট পূরণ করে নায়ক সেই কেন উইলিয়ামসন। কোহলি যেখানে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ। সেখানে কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে দু ইনিংসে বেরোল ৪৯ এবং ৫২। কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তা প্রমাণ করে দিলেন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মত মঞ্চে। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করলেন রস টেলর (৪৭ নট আউট)।
কিউয়ি ইনিংসের শুরুতেই অশ্বিন দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং টম ল্যাথামকে ফিরিয়ে ম্যাচে রেখেছিলেন ভারতকে। তারপর আর ব্রেক থ্রু আসেনি। নিউজিল্যান্ডেরও ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি।
২০১৯-এর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারের বদলা হিসাবে দেখা হচ্ছিল ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালকে। তবে কোহলির নেতৃত্বে আইসিসি টুর্নামেন্টে সেই চোকার্স হয়েই রয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন