ভারত: ২১৭/১০ (প্রথম ইনিংস)
আরসিবিতে কোহলির সতীর্থ। আইপিএল খেলার মাঝেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে নিজেকে প্রমাণের জন্য ফোকাস করে রেখেছিলেন। সেই কারণে আইপিএল খেলার সময়েও ডিউক বলে অনুশীলনে কোহলিকে বোলিং করতে চাননি তিনি। আর সাউদাম্পটনের মেঘলা আবহাওয়ায় টিম ইন্ডিয়ার কাছে নেমেসিস হয়েই ধরা দিলেন কোহলির বন্ধু জেমিসন। একাই পাঁচ উইকেট দখল করে ভারতের ইনিংসকে শেষ করে দিলেন। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত অলআউট হয়ে গেল ২১৭ রানে। আর ভারতকে ধ্বংস করে শিরোনামে কাইল জেমিসন।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ভারত ১৪৬/৩ তুলে মাঠ ছেড়েছিল। মন্দ আলোর কারণে তাড়াতাড়ি ফুলস্টপ ফেলে দেওয়া হয়েছিল খেলায়। তৃতীয় দিন ভারতের ইনিংসের যথারীতি সূচনা করেন কোহলি-রাহানে। দুজনে যথাক্রমে ৪৪ এবং ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। আগের দিনের মত রোদ না উঠলেও সাউদাম্পটনে মেঘের আনাগোনা ছিল। আর মেঘলা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় যথারীতি শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে দেয় কিউয়ি সিমাররা।
আরো পড়ুন: রাহানেকে পাত্তা না দিয়ে রিভিউ নষ্ট! আউট হতেই প্রবল সমালোচনার মুখে কোহলি
কোহলি বোল্টের চ্যালেঞ্জ ভালভাবে সামলালেও বিপদে পড়েছিলেন তাঁর আরসিবি সতীর্থ কাইল জেমিসনকে খেলতে গিয়ে। দীর্ঘদেহী পেসার রোজ বোলে সঠিক লাইন লেংথে রাহানে-কোহলিদের চাপে রাখছিলেন। আর তাঁর হাত ধরেই ভারতীয় ইনিংসের ধস নামে।
আগের দিনে দারুণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাটিং করলেও কোহলি জেমিসনকে সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন। আর ভারতীয় ইনিংসের ৬৮ তম ওভারেই কোহলিকে সাজঘরে পাঠান কিউয়ি স্পিডস্টার। ব্যক্তিগত ১৬তম ওভারে জেমিসনের হালকা সুইং মেশানো বল আছড়ে পড়ে কোহলির প্যাডে। আর আবেদনের সঙ্গেসঙ্গেই আম্পায়ার আউটের নির্দেশ দিয়ে দেন।
কাইল জেমিসন বিরাট কোহলির (৪৪) পরেই আউট করেন ঋষভ পন্থকে (৪)। অফস্টাম্পের বাইরে হালকা সুইং মেশানো বল করেছিলেন। কোনো ফুট মুভমেন্ট ছাড়াই ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ আউট হয়ে যান পন্থ। আক্রমণাত্মক এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিজের স্বভাববিরুদ্ধভাবে রক্ষণশীল ভাবেই খেলছিলেন এদিন। প্রথম রান করতেই নিয়ে নেন ২০ বল।
পন্থ এবং কোহলিকে আউট করেই জেমিসন আট দশকের পুরোনো রেকর্ড ভাঙলেন হ্যাম্পশায়ার বোলের স্টেডিয়ামে। পন্থ এবং কোহলিকে আউট করার সঙ্গেই জেমিসনের উইকেটসংখ্যা দাঁড়ায় ৪২-এ। প্রথম ৮ টেস্ট খেলার পরে নিউজিল্যান্ডের হয়ে এত টেস্ট উইকেট কেউ নিতে পারেননি। ৩০-৪০ এর দশকে খেলা নিউজিল্যান্ডের বোলার জ্যাক ক্রলি এই তালিকায় সেরা স্থানে ছিলেন (৮ টেস্টে খেলার পর ৪১ উইকেট)। রবিবার সেই রেকর্ড পেরিয়ে গেলেন জেমিসন।
এদিকে ফার্স্ট সেশনেই নীল ওয়াগনারের শর্ট বলের ফাঁদে আউট হন হাফসেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থাকা অজিঙ্কা রাহানে (৪৯)। রবিচন্দ্রন অশ্বিন (২২) সাউদির বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে ফেরার পর ভারত লাঞ্চ ব্রেকে ছিল ২১১/৭। দ্বিতীয় সেশনে বুমরা (০) এবং ইশান্ত শর্মাকে (৪) ফিরিয়ে নিজের পাঁচ উইকেট দখল সম্পন্ন করেন। জাদেজাকে (১৫) আউট করেন বোল্ট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন