Former India head coach WV Raman: অ্যালার্জির জেরে তিনি প্রায় মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি করলেন ভারতীয় মহিলা দলের প্রাক্তন কোচ ডব্লিউভি রমন। তাঁর কথায়, 'হালকা অ্যালার্জি অ্যানাফিল্যাকটিক শকে পরিণত হয়েছিল!' ভারত-আয়ারল্যান্ড সিরিজে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ছিলেন রমন। তার আগে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চেন্নাইয়ে ভারতের মহিলা দলের প্রাক্তন প্রধান অ্যালার্জির সমস্যায় পড়েন।
তামিলনাড়ুর প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বর্তমানে ধারাভাষ্যকারের কাজ করেন। তিনি জানান, ভাইরাল সংক্রমণের জেরে ডাক্তারের কাছে গেছিলেন। সেই সময়ই তীব্র অ্যালার্জিতে তিনি মৃত্যুর মুখে পৌঁছে যান। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া এক্স (ভূতপূর্ব টুইটার)-এ রমন পরামর্শ দেন, শরীর কী সংকেত দিচ্ছে, সেই দিকে সকলের মনোযোগ দেওয়া উচিত।
রমনের কথায়, 'গত মঙ্গলবার ভাইরাল সংক্রমণের পর আমি ডাক্তারের কাছে গেছিলাম। তিনি কয়েকটি ওষুধ লিখে দেন। একঘণ্টা পর, আমি খাবার খেয়ে ওষুধগুলো খেয়েছিলাম। দুই ঘণ্টা পরে, আমি লক্ষ্য করলাম আমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আমবাত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। আমি ডাক্তারকে ফোন করলাম। তিনি আমাকে হাসপাতালে যেতে বললেন। আর, ওষুধ বা খাবার থেকে হওয়া অ্যালার্জি রুখতে ইনজেকশন নেওয়ার পরামর্শ দিলেন। সেই নির্দেশ মানতে দেরি করেছিলাম। এরপরই মুখে কিছুটা রক্তের স্রোত অনুভব করলাম। বাধ্য হয়ে আমাকে হাসপাতালে ছুটতে হয়।'
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা রমন ভারতের হয়ে ৩৮টি ম্যাচে ১,০০০-এরও বেশি রান করেছেন। তিনি জানান, হাসপাতালে যাওয়ার সময় তিনি যখন গাড়ি চালাচ্ছিলেন, সেই সময় বুকে ব্যথা অনুভব করেন। রমনের কথায়, 'কোনওমতে ৩ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়েছি। পথে, বুকে ব্যথা হচ্ছিল। হাসপাতালে পৌঁছনোর পর, ডাক্তার ইনজেকশন দেন। তারপর আমার অবস্থা আরও খারাপ হয়। আমি ডাক্তারকে জানাই, চিকিৎসার পরও আমার অবস্থা কেন আরও খারাপ হচ্ছে? এরপর প্রায় ৪৫-৬০ সেকেন্ডের মধ্যে আমি মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যাই। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। কয়েক মিনিট পরে জ্ঞান ফেরে। চিকিৎসার পরিভাষায় অ্যালার্জিতে অ্যানাফিল্যাকটিক শক হয়েছিল!'
আরও পড়ুন- হার্দিককে কেন নেতৃত্ব থেকে সরানো হল! টিম ইন্ডিয়ার অন্যায় নিয়ে সরব এবার কার্তিক
ঘটনায় চেন্নাইয়ের কেএল হাসপাতালের ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রমন। যাইহোক রমন এখন সুস্থ বলেই জানিয়েছেন। ১০-১৫ জানুয়ারি, রাজকোটে ভারত- আয়ারল্যান্ড মহিলা ওয়ানডে সিরিজে ধারাভাষ্যও দিয়েছেন। তাঁর কথায়, 'বন্ধুরা, জীবন ক্ষণস্থায়ী। যে কোনও সময় মৃত্যু হতে পারে। দমবন্ধ হয়ে যেতে পারে। নিজের শরীরের বার্তাকে উপেক্ষা করবেন না। ভাগ্য আর ঈশ্বরের কৃপা অবশ্যই প্রয়োজন। দয়া করে আপনার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং ডাক্তারদের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে আগেভাগে জানিয়ে রাখুন।'