AIFF controversy: ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের (Indian Football Team) কোচ হওয়ার জন্য বার্সেলোনা ও স্পেনের কিংবদন্তি জাভি হার্নান্ডেজ (Xavi Hernandez) আবেদন করেছিলেন, এমনই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। শুধু ভারতীয় ফুটবল মহল নয়, এই খবর পৌঁছে যায় আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও। তবে ঘটনার নেপথ্যের আসল গল্প যেন রীতিমতো সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।
বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, জাভি তাঁর ‘নিজের’ ই-মেল আইডি থেকে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (AIFF) সরাসরি আবেদনপত্র পাঠান জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য। সেই ই-মেলের ভিত্তিতেই তাঁর নাম বিবেচনায় নেওয়া হয়। এমনকি AIFF-এর জাতীয় ডিরেক্টর সুব্রত পাল এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, “এটা ঠিক যে জাভির নাম আবেদনকারীদের তালিকায় ছিল।”
ফেডারেশন সূত্র উদ্ধৃত করে জানানো হয়, আবেদনপত্রে কোনও যোগাযোগ নম্বর ছিল না। যদিও টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য মন্তব্য করেন, “ধরেই নেওয়া যাক, জাভি আগ্রহী। কিন্তু তাঁকে আনা এক বিশাল বাজেটের বিষয়। সেটা বাস্তবসম্মত নয়।”
আরও পড়ুন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা এবার ভারতের কোচ! এক খবরেই ভারতীয় ফুটবলে বিস্ফোরণ
কিন্তু এই গোটা ঘটনার মোড় ঘুরে যায়, যখন ফুটবল বিশ্বের নির্ভরযোগ্য ক্রীড়া সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, “AIFF-এর সঙ্গে জাভির কোনও যোগাযোগ হয়নি।”
এরপরই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, আসলে ১৯ বছর বয়সি এক ভারতীয় যুবক ভুয়ো ইমেল আইডি (xaviofficialfcb@gmail.com) ব্যবহার করে AIFF-কে একটি ভুয়ো মেল পাঠান, যাতে দাবি করা হয় যে সেটি জাভির তরফ থেকে পাঠানো।
এই ইমেল সংক্রান্ত একটি ভিডিওও পোস্ট করেন এক ক্রীড়া সাংবাদিক, যিনি ওই যুবকের সঙ্গে কথাও বলেন। ভিডিওতে মেলের বিবরণও সামনে আসে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ফেডারেশনকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, জাভির নাম ব্যবহার করে AIFF নিজেদের ‘গুরুত্ব’ বাড়াতে চেয়েছিল। যদিও সম্ভবত তা একেবারেই সত্য নয়।
তবুও, এই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি ফেডারেশনের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমনিতেই পরিকাঠামো, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও খেলোয়াড় উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে AIFF দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনার মুখে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হল এই ‘জাভি-মেল কেলেঙ্কারি’।
এখন প্রশ্ন একটাই, AIFF কীভাবে এত বড় একটা মেল যাচাই না করেই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিল? এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ভবিষ্যতে ফেডারেশনের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।