Advertisment

ক্লাবের তাঁবু থেকে বিশ্বরেকর্ড, মুম্বই পেল নয়া ব্যাটিং স্টার

ছ'বছর আগের ঘটনা। মুম্বইয়ের বিখ্যাত আজাদ ময়দানের মুসলিম ইউনাইটেড ক্লাব তাঁবুতে এক মাঠের কর্মীর সঙ্গে থাকত যশস্বী। যদিও এর আগে সে একটা দুধের দোকানে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখান থেকে তাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Yashasvi Jaiswal

যাশ্বভী জয়সোয়াল (এক্সপ্রেস ফোটো, ফাইল চিত্র)

বুধবার বিশ্বরেকর্ড করেছেন মুম্বইয়ের ১৭ বছরের ওপেনার। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে দ্বি-শতরানের নজির গড়েছে যশস্বী জয়সওয়াল। বেঙ্গালুরুতে বিজয় হাজারে ট্রফিতে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ১৫৪ বলে ২০৩ রানের ইনিংস খেলেছে সে।

Advertisment

ছ'বছর আগের ঘটনা। মুম্বইয়ের বিখ্যাত আজাদ ময়দানের মুসলিম ইউনাইটেড ক্লাব তাঁবুতে এক মাঠের কর্মীর সঙ্গে থাকত যশস্বী। যদিও এর আগে সে একটা দুধের দোকানে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখান থেকে তাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। যশস্বী ফুচকা বিক্রি করেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে।

আরও পড়ুন: কনিষ্ঠতম হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরান যশস্বীর

এখন এই রেকর্ডের পর যশস্বীর ওপরেই যাবতীয় লাইমলাইট। মনে করে হচ্ছে, ভবিষ্যতে সেই হতে চলছে আরব সাগরের তীরবর্তী শহরের আরেক বড় ব্যাটসম্যান। আপাতত যশস্বীর এনডোর্সমেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ওপেনার ওয়াসিম জাফর। ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জাফর বলছেন, "ওর মধ্যে একটা জেদ দেখেছি। আজকাল খুব কম দেখা যায় এটা। আর এই জেদ তাদের মধ্যেই থাকে যাদের মাথায় শুধু একটাই লক্ষ্য থাকে।"

যশস্বীর বাবা উত্তরপ্রদেশ থেকে তাকে টাকা পাঠাতেন ঠিকই। কিন্তু যশস্বীর পক্ষে সম্ভব ছিল না মুম্বইয়ের মতো শহরে সেই টাকা দিয়ে জীবনযাপন করা। কিছু না খেয়েই বহু রাত কাটিয়ে দিয়েছে সে। আর দু'পয়সা রোজগারের জন্য যশস্বীকে আজাদ ময়দানের রামলীলায় ফুচকা বিক্রি করতে হয়েছে। গত এক বছর ধরে জাফর নিয়েছেন যশস্বীর দায়িত্ব। তার কোচ জওয়ালা সিংই তাকে মাথা গোঁজার ঠাই করে দিয়েছেন। এই কোচ আবার জাফরের দীর্ঘদিনের বন্ধু।

যশস্বীর ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস সাজানো হয় ১৭টি চার ও ১২টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। বিজয় হাজারের ইতিহাসে এর আগে কোনও ব্যাটসম্যান এক ইনিংসে এত ছক্কা হাঁকাতে পারেননি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে যশস্বী বলছে, "আগে আমি ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলতাম। ওয়াসিম ভাই এসে আমাকে বলে, আমি যেন সোজা খেলার চেষ্টা করি। একবার ছয় মারার পর খেলাটাই খুলে যায়, তারপর অনায়াসে স্ট্রাইক রোটেট করি। আমি ক্রিকেটে ওয়াসিম ভাইয়ের মতো সমাধান খুঁজে পাচ্ছি। ওঁর মতো ধৈর্য্য রাখারও চেষ্টা করছি।"

Read the full story in English

cricket
Advertisment