বিশ্বকাপের পরে সাময়িকভাবে দ্বৈত অধিনায়কত্ব চালু করার পরিকল্পনা করেছিল বিসিসিআই। তবে পরে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে বোর্ড। সীমিত ওভার এবং টেস্ট ক্রিকেটের জন্য পৃথক অধিনায়ক নিয়োগ করার পরামর্শ ভেসে এল স্বয়ং যুবরাজের কাছ থেকে। কয়েকঘণ্টা আগেই নিজের অবসর নিয়ে বিস্ফোরক ঘটিয়েছিলেন যুবি। বলে দিয়েছিলেন, টিম ম্যানেজমেন্টের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেই ক্রিকেট ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
তারপরেই আরও একবার স্প্লিট ক্যাপ্টেন্সি চালু করার কথা বলে বিতর্ক উসকে দিলেন তারকা বাঁ হাতি। এক্ষেত্রে টেস্টের জন্য বিরাট কোহলি এবং সীমিত ওভারের জন্য রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করার কথা বললেন তিনি। একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে যুবির বক্তব্য, "আগে ক্রিকেটে কেবলমাত্র দুটো ফর্ম্যাট ছিল। সেটা সামলাতে অধিনায়কের সমস্যা হত না। তবে এখন তিন ফর্ম্যাটে খেলা হয়। যদি নেতৃত্ব নিয়ে বিরাটের উপরে চাপ তৈরি হয়, তাহলে সাীমিত ওভারের জন্য অধিনায়ক হিসেবে অন্য কাউকে ভাবা যেতেই পারে। ২০১৯ সালেই বিশ্বকাপ। এর আগে বেশ কিছু টি২০ থেকে বিরাটকে বিশ্রাম দিয়ে রোহিতকে ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল। সেখানে কিন্তু রোহিত সাফল্যের সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে।"
পাশাপাশি যুবরাজ আরও বলেছেন, "টিম ম্যানেজমেন্টকে ঠিক করতে হবে, বিরাট কতটা ওয়ার্কলোড নিতে পারবে। ওদের কি সত্যিই টি২০-র জন্য অন্য কোনও অধিনায়কের কথা বিবেচনা করছে কিনা। পুরোটাই বিসিসিআইয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার উপর নির্ভর করছে। বিরাট কয়েকবছর ধরেই সেরা ব্য়াটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে। কীভাবে বিরাট নিজের ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করবে, এটা পুরোটাই টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত।"
আরও পড়ুন বিস্ফোরক যুবরাজ, বললেন টিম ম্য়ানেজমেন্টের চাপই তাঁর অবসরের কারণ
পাশাপাশি টেস্টেও রোহিতকে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে খেলানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন জাতীয় দলের একসময়ের ফ্ল্যামবয়েন্ট ক্রিকেটার। যুবরাজ বলে দিচ্ছেন, "রোহিত শর্মাকে কেরিয়ারের শুরু থেকেই টেস্টে ওপেনার হিসেবে খেলানো উচিত ছিল। ওকে এক ম্যাচ খেলিয়ে বসিয়ে দেওয়া হত। তারপরে বলা হত, রোহিত টেস্টে খেলতে পারছে না। যদি কাউকে ন্যূনতম ১০ টেস্ট না খেলানো হয়, তাহলে কী করে তাঁর কাছ থেকে পারফরফরম্যান্স আশা করে!"
আরও পড়ুন রোহিত টেস্ট একাদশের বাইরে, ভাবতেই খারাপ লাগছে: রাহানে
এরসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, "যদি এখন রোহিতকে টেস্টে ওপেন করানো হয়, তাহলে ওকে বলা হয়, কম করে ৬টা টেস্টে দলে ওর জায়গা পাকা। জাস্ট নিজের খেলা খেল। তাহলে কেউ কিছু বলবে না। লোকেশ রাহুলকে তো অনেক সুযোগ দেওয়া হল। তাই যেই ওপেনার হোক, তাঁকে কম করে ৬টা টেস্টে খেলানো হোক। যাতে নিজেকে নির্দ্ধিধায় প্রকাশ করতে পারে সেই ক্রিকেটার।"