Advertisment

'জাতিবিদ্বেষী' মন্তব্যের জেরে মামলা দায়ের, ক্ষমা চাইলেন যুবরাজ

দলিতদের বিরুদ্ধে আপাত জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় যুবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে। জনৈক আইনজীবী যুবরাজের নামে অভিযোগ করার পরেই তদন্তে নামে হরিয়ানা পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
yuvraj singh chahal case

যুবরাজ সিং, ফাইল ছবি

অবশেষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন যুবরাজ সিং। জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। তারপরেই শুক্রবার ক্ষমা চাওয়ার পথে হাঁটেন তিনি। টুইটারে যুবরাজ লেখেন, "আমি যখন বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন আমাকে ভুল বোঝা হয়। যেটা একদমই অনভিপ্রেত। যাই হোক, একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে যদি কারোর সেন্টিমেন্ট অথবা অনুভূতিতে অনিচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত দিয়ে থাকি, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"

Advertisment

পাশাপাশি, তিনি, আরো লেখেন, "আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কখনই জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ধর্মে বৈষম্যতে বিশ্বাস করিনি। আমি জীবনে মানুষদের কল্যাণকর কাজে নিয়োজিত হতে চাই। সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি, জীবনকে সম্মান করতে হয়। প্রতিটা মানুষকে শ্রদ্ধা করতে হয়।"

ঠিক কী হয়েছিল?

দলিতদের বিরুদ্ধে আপাত জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় যুবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে। হানসির আইনজীবী রজত কাসলান যুবরাজের নামে অভিযোগ দায়ের করার পরেই তদন্তে নামে হরিয়ানা পুলিশ। হানসি থানার পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট লোকেন্দর সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "কোনও এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি। তবে আমরা তদন্ত করছি।"

আইনজীবী রজত কালসান নিজের অভিযোগে বলেন, "সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখো লাখো মানুষ এই ভিডিওটি দেখেছেন। এই ভিডিওয় দলিতদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।" ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কালসান জানান, বুধবার ডিএসপি পর্যায়ের এক অফিসার ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় অভিযোগ নথিভুক্ত করেছেন। লিখিত অভিযোগপত্রের সঙ্গে ক্লিপিংয়ের ডিভিডি-ও জমা করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা এই ক্লিপিংটি খুঁটিয়ে দেখেছেন।

ঘটনা অবশ্য গত এপ্রিল মাসের। সেই সময় ভারতীয় দলের বর্তমান ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসেছিলেন যুবি। সেখানেই যুজবেন্দ্র চাহালের টিকটক ভিডিওর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যুবি জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করে বসেন, সম্ভবত বিষয়টির গুরুত্ব না বুঝেই। সেই সময়ে বিষয়টি নজর এড়িয়ে গেলেও সেই ভিডিওর বিতর্কিত ক্লিপটি কিছুদিন আগেই ফের একবার ভাইরাল হয়। এতেই চটেছেন সমর্থকরা। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রোহিত শর্মা এবং যুবরাজ হাসতে হাসতে চাহালের সঙ্গে তামাশা করছেন। এর জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়াজ উঠে গিয়েছে, 'যুবরাজ ক্ষমা চাও!' ইতিমধ্যেই হ্যাশট্যাগ সমেত 'যুবরাজ মাফি মাঙ্গো’ শব্দবন্ধনী টুইটারে ট্রেন্ডিং, এবং ৩০ হাজার বেশি পোস্টও করা হয়েছে এই বিষয়ে।

এই প্রথমবার নয়, এর আগেও অযাচিত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন যুবরাজ। পাকিস্তানি ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদির ফাউন্ডেশনের জন্য ভারতে প্রচার করতে গিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন বাঁহাতি সুপারস্টার। তারপরে আফ্রিদির কাশ্মীর ও মোদী-সংক্রান্ত মন্তব্যের পর পাক তারকাকে টুইটারে সমালোচনা করে ড্যামেজ কন্ট্রোল-এর চেষ্টা করেছিলেন। এর মধ্যেই জড়িয়ে গেলেন নয়া বিতর্কে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment