Advertisment

যুবরাজের নামে থানায় এফআইআর! গ্রেফতারির আশঙ্কা তুঙ্গে

কলসন অভিযোগ করে জানিয়েছেন, রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে কথা বলার সময় অন্য এক ক্রিকেটারের বিষয়ে বলার সময় দলিতদের প্রতি অবমাননা সূচক মন্তব্য করে বসেন যুবরাজ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দলিতদের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের কারণে এবার যুবরাজ সিংয়ের নামে এফআইআর দায়ের করল হরিয়ানা পুলিশ। যুবরাজের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক আইনজীবী। তার আট মাস পরে হরিয়ানা পুলিশের এই পদক্ষেপ। এফআইআর সরাসরি তারকা ক্রিকেটারের নামে।

Advertisment

গত বছর জুনে হানসি-র আইনজীবী রজত কলসন হিসার জেলার হানসি থানায় অভিযোগ করেন তারকা ক্রিকেটারের নামে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে কলসন রবিবার জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির আদিবাসী এবং তফসিলি উপজাতি আইনের ১৫৩, ১৫৩ এ, ২৯৫, ৫০৫ ধারা লঙ্ঘন করেছেন যুবরাজ।

আরো পড়ুন: আকাশ থেকেই কোহলিদের দেখতে পেলেন মোদি! নিজেকে ‘ক্রিকেট ভক্ত’ প্রমাণ করলেন

কলসন অভিযোগ করে জানিয়েছেন, রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে কথা বলার সময় অন্য এক ক্রিকেটারের বিষয়ে বলার সময় দলিতদের প্রতি অবমাননা সূচক মন্তব্য করে বসেন।

কলসন হানসি থানায় নিজের দায়ের করা অভিযোগপত্রে লিখেছেন, "সোশ্যাল মিডিয়ায় সংশ্লিষ্ট ভিডিওটি লাখো লাখো মানুষ দেখায় দলিতদের ভাবাবেগ আহত হয়েছে।"

ঘটনা অবশ্য গত এপ্রিল মাসের। সেই সময় ভারতীয় দলের বর্তমান ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসেছিলেন যুবি। সেখানেই যুজবেন্দ্র চাহালের টিকটক ভিডিওর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যুবি জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য করে বসেন, সম্ভবত বিষয়টির গুরুত্ব না বুঝেই।

আরো পড়ুন: একি ক্যাচ নিলেন পন্থ! বিস্ময়ে থ স্টেডিয়াম, দেখুন ভিডিও

সেই সময়ে বিষয়টি নজর এড়িয়ে গেলেও সেই ভিডিওর বিতর্কিত ক্লিপটি কিছুদিন আগেই ফের একবার ভাইরাল হয়। এতেই চটেছেন সমর্থকরা। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রোহিত শর্মা এবং যুবরাজ হাসতে হাসতে চাহালের সঙ্গে তামাশা করছেন। এর জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়াজ উঠে গিয়েছে, ‘যুবরাজ ক্ষমা চাও!’ ইতিমধ্যেই হ্যাশট্যাগ সমেত ‘যুবরাজ মাফি মাঙ্গো’ শব্দবন্ধনী টুইটারে ট্রেন্ডিং, এবং বেশ কয়েক হাজার বেশি পোস্টও করা হয়েছে এই বিষয়ে।

এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যাওয়ায় যুবরাজ ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন কিছুদিন আগে। টুইটারে যুবরাজ লেখেন, “আমি যখন বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন আমাকে ভুল বোঝা হয়। যেটা একদমই অনভিপ্রেত। যাই হোক, একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে যদি কারোর সেন্টিমেন্ট অথবা অনুভূতিতে অনিচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত দিয়ে থাকি, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”

পাশাপাশি, তিনি আরো লিখেছিলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কখনই জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ধর্মে বৈষম্যতে বিশ্বাস করিনি। আমি জীবনে মানুষদের কল্যাণকর কাজে নিয়োজিত হতে চাই। সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি, জীবনকে সম্মান করতে হয়। প্রতিটা মানুষকে শ্রদ্ধা করতে হয়।”

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Yuvraj Singh
Advertisment