টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা যুবরাজ সিং। তা নিয়ে কোনো দ্বিমতই নেই। ৩৯ বছরের তারকা অবশ্য টেস্ট নয়, সীমিত ওভারের ফরম্যাটেই বেশি আলো ছড়িয়েছেন। লাল বলের ক্রিকেটে অনেকটাই অনুজ্জ্বল তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটে স্বর্ণযুগে শচীন, শেওয়াগ, ভিভিএস লক্ষ্মণ, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জমানার কারণেই হয়ত টেস্ট ক্রিকেটে বেশি সুযোগ পাননি ফ্ল্যামবয়েন্ট তারকা।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পরিণতিবোধ দেখালেও টেস্টে বহু অপেক্ষা করতে হয়েছে পাঞ্জাব তনয়কে। বড় বড় নামের আড়ালে চাপা পড়ে গিয়ে যুবরাজ টেস্টে খুব বেশি সুযোগ পাননি। তবে যে ক'টি ম্যাচে সুযোগ জুটেছে, তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি।
আরো পড়ুন: কোচ রামনকে ছাঁটাইয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ সৌরভ! সরাসরি জানালেন অসন্তোষ
ঝলমলে কেরিয়ার সত্ত্বেও টেস্ট ক্রিকেটে বেশি সুযোগ না পাওয়া এখনো জ্বালা পোড়ায় যুবরাজ সিংকে। অবসরের এতদিন পরেও। উইজডেন ইন্ডিয়ার ফেসবুক পেজে সম্প্রতি একটি অপিনিয়ন সার্ভে করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসা করা হয়, কোন ক্রিকেটার আরো বেশি টেস্টে খেলতে পারতেন। তবে এই পোস্টের নিচেই আবির্ভাব স্বয়ং যুবরাজ সিংয়ের। ফ্যানেদের সঙ্গেই যুবরাজ কমেন্টে লিখলেন, "হয়ত আগামী জন্মে। যখন আমাকে টানা সাত বছর দ্বাদশ ব্যক্তি হয়ে কাটাতে হবে না।" তাঁকে একের পর এক ম্যাচে বাইরে বসিয়ে রাখায় টিম ম্যানেজমেন্টকে একহাত নিলেন তারকা অলরাউন্ডার, তাতে সন্দেহ নেই।
সবমিলিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে ৪০টি টেস্ট খেলেছেন যুবরাজ সিং। তিনটে সেঞ্চুরি এবং এগারোটি হাফসেঞ্চুরি সমেত করেছেন ১৯০০ রান। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যেভাবে তিনি বিধ্বংসী ফর্মে অবতীর্ণ হতেন, টেস্টে বরাবরই নিজের প্রতিভার ছায়া হয়ে থেকেছেন। তবে অনেকেরই যুক্তি, আরো বেশি সুযোগ পেলে হয়ত, নিজের প্রতিভার সুবিচার করতে পারতেন তিনি।
যাইহোক, ২০১৭-র মাঝামাঝি যুবরাজ জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবার খেলেন। তারপর বুটজোড়া তুলে রাখেন ২০১৯-এ। সাদা বলের ক্রিকেটে দেশকে একাধিক সাফল্য এনে দিয়েছেন সুপারস্টার। ২০০৭, ২০১১ দুই ফরম্যাটে জোড়া বিশ্বকাপ জয়ে যুবরাজের অবদান ভোলার নয়। এছাড়াও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দু-বার আইপিএলও জিতেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন