জিনেদিন জিদান, নামটা শুনলেই প্রথমে মাথায় চলে আসে একজন কিংবদন্তি ফুটবলারের কথা। আর তারপরেই ভাবাবে কোচ হিসেবে তাঁর সাফল্য। তিন মাস আগে রিয়াল মাদ্রিদকে টানা তৃতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতান জিদান। আর তার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই রিয়ালের কোচের পদ থেকে সরে আসেন তিনি। প্রায় সকলকে চমকে দিয়েছিল জিদানের আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত।
আজ জিজু অতীত। কিন্তু ‘লস ব্ল্যাঙ্কোস’দের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে জিদানের নাম। সম্প্রতি উয়েফার ওয়েবসাইটে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জিদান। স্মৃতিচারণা করছেন রিয়াল নিয়েই। রিয়ালে ফুটবলার ও কোচ হিসেবে এতগুলো বছর কাটানোর পর জিদানের একটাই অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই ক্লাবে সব জিততে হয়। তিনি বললেন. “রিয়ালের কোচ বা ফুটবলার, এখানে সব জিততেই হয়। আমার কাছে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোনও ফারাক নেই। আমি প্রতিটা ম্যাচের জন্য একভাবে প্রস্তুতি নিতাম। দেখতাম সেটা কোন প্রতিযোগিতা।” জিদান আরও জানিয়েছেন যে, তাঁর দল কখনও সন্ত্রস্ত ছিল না। দলের খেলোয়াড়দের গুণগত মান এতটাই ভাল যে, তাঁরা জানত কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হয়। জিদানের মতে তাঁর কাজ ছিল দলটাকে শান্ত রাখা।
আরও পড়ুন: Zidane Resigns from Real: আকস্মিক কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিদান!
২০১৬-র জানুয়ারি মাসে রাফায়েল বেনিতেজের জুতোয় পা গলান জিজু। ২০১৪ থেকেই রিয়ালের যুব দলের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রিয়ালের ইতিহাসে অন্যতম সফল কোচ হিসেবেই থেকে যাবে তাঁর নাম।রিয়ালকে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দুটি ক্লাব বিশ্বকাপ, দুটি উয়েফা সুপার কাপ, একটি লা লিগা ও একটি স্প্যানিশ সুপার কাপ সমেত ন’টি ট্রফি দেন তিনি।
বর্তমান রিয়াল দলটা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জিদান। করিম বেঞ্জিমার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জিদান। জানিয়েছেন তাঁর আক্রমণাত্মক ফুটবলের অঙ্গ ছিলেন বেঞ্জিমা। রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও ক্যাপ্টেন সের্জিও র্যামোসকে তিনি মাঠের ও ড্রেসিংরুমের অধিনায়ক হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন। জিজুু বললেন,” দু’জনেই প্রাণশক্তিতে ভরপুর। র্যামোস একজন প্রকৃত নেতা। ড্রেসিংরুমে ওর উপস্থিতি কথা বলে। অন্যদিকে রোনাল্ডো সতীর্থদের অনুপ্রেরণা দেয় মাঠে ভাল খেলার জন্য। একে অপরের পরিপূরক।’’