রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তিন মাস আগেই আইসিসির তরফে সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছিল নেপাল ও জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটকে। দুবাইতে বোর্ড মিটিংয়ের পরে সেই শাস্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল আইসিসির তরফে। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর জানান, "দেশের ক্রিকেটের পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জিম্বাবোয়ের ক্রীড়ামন্ত্রীকে। জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের জন্য ওঁর কাজ করার ইচ্ছে এই বার্তাতেই পরিষ্কার। আইসিসি বোর্ডের নিয়মনীতি মেনে চলার বিষয়েও জানিয়েছেন।"
নির্বাসনের পরে জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট জুড়ে হতাশা নেমে এসেছিল। অনেক ক্রিকেটার খেলা ছেড়ে দেওয়ার বার্তাও দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, ২০২০-র জানুয়ারিতে যুব বিশ্বকাপ এবং কয়েকমাস পরে আইসিসি সুপার লিগে জিম্বাবোয়ের অংশগ্রহণ নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে সদস্য়পদ পুনরায় প্রাপ্তির পরে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং আইসিসি সুপার লিগে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনও বাধা রইল না। আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর জানিয়েছেন, জিম্বাবোয়েতে ক্রিকেটের জন্য আইসিসি অর্থ বরাদ্দ করবে।
প্রসঙ্গত, তিন মাস আগে প্রেস বিবৃতিতে আইসিসি-র তরফে জানানো হয়েছিল, জিম্বাবোয়েকে ফের একবার ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফেরানো সম্ভব। তবে তার আগে জিম্বাবোয়ের নির্বাচিত ক্রিকেট সংস্থার কাছে ক্রিকেটের দায়িত্বে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসে আইসিসি-র বৈঠকে জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের এই অগ্রগতি ফের একবার পর্যালোচনা করা হবে। তারপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেই ফিরিয়ে দেওয়া হল সদস্যপদ।
একইভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক অনুপ্রবেশের কারণে নেপাল ক্রিকেট বোর্ডকেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল। নেপালই আইসিসি-র নিয়ম নীতি মেনে চলতে রাজি হয়েছে। ক্রিকেট প্রশাসনে স্বচ্ছ নির্বাচনের ইঙ্গিতও দিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ নেপালে ১৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়েছে।
Read the full article in ENGLISH