ফের রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্বে জিনেদিন জিদান। এই খবরটাতেই আপামর রিয়ালের ফ্যানেরা আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। স্যান্টিয়াগো সোলারিকে ছেঁটে ফেলে স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যুর ঘরের ছেলেকেই ঘরে ফিরিয়ে এনেছে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো প্যারেজ।
গত মে মাসে রিয়ালের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জিজু। ক্লাব ছেড়ে বেরিয়ে যান তাঁর প্রিয় শিষ্য এবং ক্লাবের সর্বাকালের অন্যতম সেরা ফুটবলরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও। জিদান-রোনাল্ডো বেরিয়ে যাওয়ার জোড়া ধাক্কায় রিয়াল একেবারে রাজপথ থেকে ফুটপাতে নেমে এসেছিল। সের্জিও র্যামোসদের দায়িত্ব নিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ হন জুলেন লোপেতেগুই ও সোলারি।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: রিয়ালের বিদায়ঘণ্টা বাজতেই উল্লাস বার্সার তারকাদের
গত তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ ট্রফির মালিক রিয়াল এবার টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছে। গত মঙ্গলবার নেদরাল্য়ান্ডসের ক্লাব আজাক্সের কাছে শেষ ষোলোর লড়াইতে কলকে পায়নি রিয়াল। আজাক্সের মতো একটা টিমের কাছে রিয়াল হেরে যেতে পারে, সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এমনকি রিয়ালের পক্ষে এই মরসুমে কোপা দেল রে'তেও টিকে থাকা সম্ভব হয়নি। লা লিগা জয়েরও আর কোনও সম্ভাবনা নেই তাঁদের। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রিয়াল তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে জোড়া ম্যাচে হেরেছে কয়েক দিনের ব্যবধানে।
![]()
আপাতত তিন বছরের জন্য জিদানের সঙ্গে চুক্তি করেছে রিয়াল। ২০২২-এর ৩০ জুন পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ। দায়িত্ব নিয়েই প্রাক্তন বিশ্বকাপ ও ইউরো কাপ জয়ী ফুটবলার বললেন, তিনি এই রিয়ালকেই বদলে দেবেন। সাংবাদিক বৈঠকে জিজু বললেন," আগামী কয়েক বছরে সব দিক থেকেই বদলে যাবে রিয়াল। আমি ফিরে এসেছি। কথা বলতে বুঝতে হবে কী কী পরিবর্তন আনা দরকার। আমাকে যখন প্রেসিডেন্ট ফোন করে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বলেছিলেন, আমি না বলতে পারিনি। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। রিয়ালের ইতিহাস বদলে যাবে না। সবাই জানে এটা বিশ্বের সেরা ক্লাব। আপাতত আমি শনিবারের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে চাই। আমাদের হাতে এখনও ১১টা ম্যাচ রয়েছে।" প্রাক্তন কোচেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জিদান বলেছেন, তাঁরাও সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনওভাবে সেটা হয়নি। কিন্তু অতীত নিয়ে তিনি আর ভাবতে চান না। সামনের দিকেই তাকাতে চান।
দেখে নেওয়া যাক রিয়ালকে কী কী ট্রফি দিয়েছেন জিজু:
লা-লিগা: ২০১৬-১৮
সুপারকোপা দা এসপানা: ২০১৭
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮
উয়েফা সুপার কাপ: ২০১৬, ২০১৭
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ: ২০১৬, ২০১৭