মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিসগড়, তেলেঙ্গানা, মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও উত্তাল টুইটার সহ সোশ্যাল মিডিয়া। চলতি বছরের ১ থেকে ১২ ডিসেম্বরের তথ্য থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৭০ লাখ টুইট হয়েছে #IndiaElections2018 শীর্ষক। যা রেকর্ড তালিকায় নাম লিখিয়েছে। একইসঙ্গে রেকর্ড টুইট করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজেই। অবশ্য এত টুইটের মাঝে রয়েছে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনের প্রচার, ভোটিং পর্ব প্রভৃতি।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। ফলাফল ঘোষণার পর মঙ্গলবার ফের টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, “হার-জিত জীবনেরই অঙ্গ। রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিসগড়ে বিজেপি অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের সেবা করে গিয়েছে। আজকের ফলাফল আগামী দিনে আমাদের আরও পরিশ্রম করতে বদ্ধপরিকর করে তুলবে।”
রাজ্য নির্বাচনের জন্য যে কটি বিষয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে তা হল - গ্রামীণ অর্থনীতি, ধর্ম, জাতি, ইভিএম এবং ভোট সংক্রান্ত নানা তথ্য। এছাড়াও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি এবং দুর্নীতি নিয়ে বেশি কথোপকথন হয় টুইটার প্ল্যাটফর্মে। পাশাপাশি, দলের ঘোষণা, নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি এবং সামাজিক সমস্যাগুলি নিয়েও টুইটারে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২৮ নভেম্বর থেকে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়ে কথা হয় তা হল ১) রাজস্থানে বিজেপি ৫০ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়, ২) ৭ ডিসেম্বর পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি ও তাতে আঞ্চলিক নেতাদের মতামত। ফলাফলের দিন টুইট হয়েছে প্রায় ৪ লাখ।
আরও পড়ুন: ‘হার-জিত জীবনের অঙ্গ’, গেরুয়া শিবিরে ধস নামার পর মোদীর টুইট
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তারপরেই রয়েছেন কংগ্রস প্রধান রাহুল গান্ধী। অন্যান্যদের মধ্যে আছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, এবং সমাজবাদী দলের নেতা অখিলেশ যাদব। টুইটারের প্রকাশিত অন্যান্য পরিসংখ্যানের মধ্যে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে তাক করে রয়েছে একাধিক টুইট।
টুইটারে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়
নির্বাচনের তথ্য সম্পর্কে টুইটার ভারত, পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্টের প্রধান মহিমা কুল বলেছেন, "টুইটারে রাজনৈতিক কথোপকথন ঘটে থাকে এবং জনসাধারণ উচ্চমহলের কথোপকথনের সাক্ষী থাকেন। রাজ্য নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত ৭০ লাখেরও বেশি টুইট করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রাজনৈতিক কথোপকথন আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।" হ্যাশট্যাগের সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে ভোটের ইমোজিও।
Read the full story in English