/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/25/si6oYDLqDv7qYZ1ENqXc.jpg)
AC Remote: গরমের দিনে এসির বিকল্প নেই। (প্রতীকী ছবি)
AC remote tips: গরমের দিনে এসির বিকল্প নেই। কিন্তু আপনি জানেন কি, আপনার এসির রিমোটেই এমন কিছু বোতাম আছে যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনি আরও ভালো ঠান্ডা পাবেন এবং বিদ্যুৎ খরচও কম হবে? দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রায় ৯৯% ব্যবহারকারী এসি রিমোটের সব ফিচার জানেন না। চলুন এসির ৫টি গুরুত্বপূর্ণ রিমোট বোতাম সম্পর্কে জানা যাক, এগুলো গরমের দিনে আপনার জীবন বদলে দিতে পারে।
১. মোড (Mode) বোতাম – এসির আসল চালক
'Mode' বোতামটি সবচেয়ে বেশি অবহেলিত, অথচ এটিই সবচেয়ে কার্যকর। সাধারণত চারটি মোড থাকে:
Cool Mode: গ্রীষ্মে বেশি কার্যকর, দ্রুত ঠান্ডা করে।
Dry Mode: বর্ষাকালে আর্দ্রতা কমায়।
Fan Mode: শুধু ফ্যানের মতো বাতাস দেয়, বিদ্যুৎ কম খরচ হয়।
Auto Mode: ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোড বদলায়।
সঠিক ঋতুতে সঠিক মোড ব্যবহার করলে এসির স্বাস্থ্যও ভালো থাকে এবং বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।
২. ফ্যান স্পিড বোতাম – তাৎক্ষণিক কুলিংয়ের চাবিকাঠি
ফ্যান স্পিড বোতামের সাহায্যে আপনি এসির বাতাসের গতি নির্ধারণ করতে পারেন। যদি খুব গরম লাগে, তাহলে 'High Fan Speed' ব্যবহার করুন। তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে এলে 'Medium' বা 'Low' করে দিন। এতে কুলিংও হয়, বিদ্যুৎও সাশ্রয় হয়।
আরও পড়ুন- নতুন এসি কিনেছেন? জানেন এসির গড় আয়ু কতদিন, কখন বদলাবেন, বুঝবেন কীভাবে?
৩. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ বোতাম
বেশিরভাগ মানুষই গরমে এসি ১৬–২২ ডিগ্রিতে চালান। অথচ ২৫-২৬°C এ এসি চালালে আপনি একই কুলিং পাবেন এবং বিদ্যুৎ বিল ৩০% পর্যন্ত কমবে। কম তাপমাত্রায় এসি চালালে যন্ত্রের ওপর বেশি চাপ পড়ে এবং এর আয়ু কমে যায়।
আরও পড়ুন- লাগবে না কোনও লাইসেন্স! পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ও নেই, সেরা ৫ ই স্কুটার দাপট দেখাচ্ছে
৪. স্লিপ ও টাইমার মোড– আরামে ঘুম এবং সাশ্রয় একসঙ্গে
Sleep Mode: প্রতি ঘণ্টায় ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে ঘুমে বিঘ্ন ঘটে না এবং এসিও বেশি চাপে পড়ে না।
Timer: আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারেন কখন এসি বন্ধ হবে। এতে আপনি ঘুমানোর পর এসি চালু রেখে বিদ্যুৎ নষ্ট করবেন না, এটা নিশ্চিত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- টিফিন খরচের পয়সায় সারা মাস অফিস- বাড়ি! অবিশ্বাস্য রেঞ্জে কাঁড়ি কাঁড়ি সাশ্রয়
৫. সুইং এবং এয়ারফ্লো– পুরো ঘরজুড়ে ঠান্ডা
'Swing' বোতামের মাধ্যমে এসির বাতাস পুরো ঘরে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ডাইরেক্ট এয়ারফ্লো এড়িয়ে চললে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি শরীরে না এসে গোটা ঘরে ঘুরে বেড়ায়। তার ফলে, আরামে ঘুমানো সম্ভব হয়।