Advertisment

১৮ বছর পর আইটিউনসকে বিদায় জানাল অ্যাপল

একুশ শতকের গোড়ার দিকে আইটিউনসের হাত ধরেই ডিজিট্যাল মিউজিকের জগতে প্রথম বিপ্লব আসে। কিন্তু সেই পথচলা এবার থামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
বন্ধ হচ্ছে অ্যাপেল আইটিউনস

বন্ধ হচ্ছে অ্যাপেল আইটিউনস

সান ফ্রান্সিসকোতে ২০০১ সালের ৯ জানুয়ারী ম্যাকওয়ার্ল্ড এক্সপোতে অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে আইটিউনস। একুশ শতকের গোড়ার দিকে আইটিউনসের হাত ধরেই ডিজিট্যাল মিউজিকের জগতে প্রথম বিপ্লব আসে। কিন্তু সেই পথচলা এবার থামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল। সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, দু'দশক ধরে রাজত্ব করা আইফোন, ম্যাকবুক, আইপ্যাড প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাপল অবশেষে বন্ধ করতে চলেছে আইটিউনসের ঝাঁপি।

Advertisment

কী এই আইটিউনস?

অ্যাপলের একটি মিউজিক সফটওয়্যারের নাম আইটিউনস। ২০০১ সালে আমেরিকায় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি যে ভয়ঙ্কর রকমের পাইরেসির সম্মুখীন হয়েছিল, তার সমাধান সূত্র এনে দিয়েছিল আইটিউনস। এই অ্যাপটির মাধ্যমে এক ছাদের তলায় চলে এসেছিল গান-সিনেমা-টিভি। যার যেমন ইচ্ছে, সেইমতো সাবস্ক্রাইব করলেই পছন্দসই বিষয়টি চলে আসত মুঠোফোনে। আইটিউনস একমাত্র অ্যাপ যা সেই সময় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিকে পাইরেসির হাত থেকে শুধু রক্ষাই করেনি, ইন্ডাস্ট্রির বিকাশেও সাহায্য করেছিল। রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা ২০১৮ সালে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয়, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির আয় ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপের দৌলতে।

আরও পড়ুন: জিওকে টেক্কা! কলকাতায় আপনার কেবল অপারেটরের সঙ্গে জোটে বিএসএনএল 

কেন বন্ধ হচ্ছে অ্যাপটি?

মনে করা হচ্ছে, টেক দুনিয়ায় বাকি মিউজিক অ্যাপের সঙ্গে টেক্কা দিতে না পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল সংস্থা। কয়েক বছর ধরেই ডিজিট্যাল বাজারে আইটিউনসের মতো অনেক 'মিউজিক' অ্যাপ এসেছে, এমনকি অ্যাপলের নিজস্ব 'অ্যাপল মিউজিক' এর কারণেও বাজারে ধীরে ধীরে নিজের অস্তিত্ব হারাচ্ছিল আইটিউনস। কিন্তু এত বছর ধরে লাভের মুখ দেখা এই অ্যাপটিকে কেন বন্ধ করে দিচ্ছেন অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ? তার একটাই কারণ। এবার থেকে এক ছাদের তোলায় নয়, আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবে বিনোদন।

যেমন গানের সম্ভার থাকবে অ্যাপল মিউজিক অ্যাপে, টিভি দেখতে পাওয়া যাবে অ্যাপল টিভিতে, এবং থাকছে অ্যাপেল পডকাস্ট। ইতিমধ্যেই অ্যাপলের আইফোন এবং আইপ্যাডে এই পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে, যেখানে এই তিনটি ভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। ভবিষ্যতে ম্যাকবুকেও এই সুবিধা আনার ভাবনা রেখেছে সংস্থা। তবে বদলাচ্ছে না আইটিউনসের 'কী ফিচার'। অর্থাৎ আইটিউনসে কেনা সমস্ত প্রোডাক্ট সিঙ্ক্রোনাইজ হয়ে চলে আসবে নতুন তিনটি অ্যাপে। তবে কথাই আছে, 'পুরনো চাল ভাতে বাড়ে', তাই সব সুবিধা পেলেও যেটা পাবেন না, তা হল আইটিউনসের নস্ট্যালজিয়া।

অ্যাপলের কর্ণধার স্টিভ জোবস একবার বলেছিলেন, "অ্যাপল সেটাই করেছে যেটায় অ্যাপল সেরা - জটিল অ্যাপ্লিকেশনকে সহজ করে আরও কার্যকর করে তুলেছে। আইটিউনস অন্যসব অ্যাপের চেয়ে অনেক মাইল দূরে এগিয়ে। এটির সহজ ইন্টারফেস ব্যবহারকারীদের আরও আকৃষ্ট করবে এবং ডিজিট্যাল মিউজিকে বিপ্লব নিয়ে আসবে।"

আইটিউনসের জমানা শেষ হওয়া মানে একটি যুগের অবসান। তবে অ্যাপল কীভাবে আইটিউনসের ফিচারকে কাজে লাগিয়ে তাদের বাকি অ্যাপের উন্নতি করতে পারে, সেদিকে তাকিয়ে বিশ্বের অ্যাপল প্রেমিরা।

Read the full story in English

apple
Advertisment