/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/24/5DMPX9171QRmWg6VVFkv.jpg)
বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ ও বিলাসবহুল বিমান—‘এয়ার ফোর্স-১’
Donald Trump Air Force One: সম্প্রতি উপসাগরীয় দেশগুলিতে সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিশাহীর মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশ সফরের সময় তার সঙ্গী ছিল বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ ও বিলাসবহুল বিমান—‘এয়ার ফোর্স-১’ (Air Force One)।
এই বিমানটি শুধু একটি 'পরিবহন মাধ্যম'ই নয়, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের 'মোবাইল কম্যান্ড সেন্টার' বা চলমান কার্যালয়ও বটে। কিন্তু খুব কম লোকই জানেন এই বিমানের ভিতরের গোপন ও অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে।
এয়ার ফোর্স-১’ কোনো নির্দিষ্ট বিমানের নাম নয়। এটি একটি রেডিও কল সাইন, তখনই ব্যবহৃত হয় যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনো মার্কিন বায়ুসেনার বিমানে ভ্রমণ করেন। সাধারণত এটি একটি Boeing 747-200B সিরিজের বিমান, যেটি ১৯৯০ সাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভ্রমণের জন্য এমন দুটি বিমান রয়েছে, যেগুলি যে কোনো সময় বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছে দিতে সক্ষম।
চার দশক পর মহাকাশে ফের ভারতের দাপট! ইতিহাস গড়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা!
- ভেতরে কী কী সুবিধা রয়েছে ‘এয়ার ফোর্স-১’-এ?
এটিকে নিঃসন্দেহে "উড়ন্ত পাঁচ তারা হোটেল" বলা যেতে পারে। কারণ এই বিমানের ভিতর এমন সব সুবিধা রয়েছে যা অনেক বিলাসবহুল হোটেলেও থাকেনা
বিমানের ভিতর মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য বিশেষ স্যুট ও অফিস কেবিন - জরুরি চিকিৎসার জন্য মেডিকেল রুম ও অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম
- ডাইনিং ও কনফারেন্স রুম
- ব্যক্তিগত জিম
- মিডিয়া কেবিন, যেখানে সাংবাদিকদের জন্য আলাদা আসন
- মোট ২৬ জন ক্রু মেম্বার সহ ৭০ জন যাত্রী বহনের ক্ষমতা
এই বিমানে দুটি আলাদা এন্ট্রি পয়েন্ট রয়েছে—একটি শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট ও সিক্রেট সার্ভিসের জন্য, অন্যটি সাংবাদিক ও কর্মকর্তাদের জন্য। বিমানটিকে মিসাইল ও অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র হানা থেকে বাঁচানোর জন্য বিশেষ শিল্ড দেওয়া হয়েছে এবং এর যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই উন্নত যে প্রেসিডেন্ট যেকোনো জরুরি সিদ্ধান্ত এখান থেকেই নিতে পারেন।