নিত্যনতুন লোভনীয় অফার নিয়ে হাজির হয় রিলায়েন্স জিও। আর এখানেই কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প। জানেন কি, রিলায়েন্স জিওর থেকে 4G ডাটা স্পীডে অনেকটাই এগিয়ে এয়ারটেল? টেলিকম রেগুলেটরি অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) তাদের ইন্টারনেট স্পীড টেস্টের রিপোর্টে জানিয়েছে দিল্লিতে এয়ারটেলের পরে স্থান পেয়েছে জিও। গাজিয়াবাদ, নয়ডা, গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদ সহ ২৩ টি জায়গায় সমীক্ষা করে মিলেছে এই তথ্য।
এয়ারটেল ভারতীর 4G স্পীডে ডাউনলোডের গতি ৮.৯ Mbps। জিওর ৭.৩ Mbps। তিন নম্বরে স্থান হয়েছে ভোডাফোনের। তার 4G স্পীড ৪.৯ Mbps। আপনি ভাবছেন এতদিন জানতেন ভোডাফোনে খরচ বেশি হলেও ইন্টারনেট স্পীড বেশ তরতাজা। তাহলে পিছিয়ে কী করে গেল! অবাক হবেন না, আপনার জানা তথ্য একেবারেই ভুল নয়। আপলোডের ক্ষেত্রে এক নম্বর ভোডাফোন। সেই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় জিও, তৃতীয় এয়ারটেল, যাদের আপলোড স্পীড ২.১ Mbps এবং ২.০ Mbps। কোন বিভাগেই প্রথম স্থান নিতে পারেনি রিলায়েন্স জিও পরিষেবা।
কিন্ত কোনো ওয়েবসাইট লোড হতে ৬.৭ সেকেন্ড সময় লাগে এয়ারটেলের। অন্যদিকে জিওতে একটি ওয়েবসাইট লোড হতে সময় লাগে গড়ে ৭.২ সেকেন্ড। ভোডাফোন অবশ্য এ ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে, সময় নেয় ৯ সেকেন্ড। ভিডিও স্ট্রীমিং হওয়ার প্রতিযোগিতাতেও জিও, ভোডাফোনকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান দখল করেছে এয়ারটেল ভারতী। শুধু 4G-তে নিজের জায়গা করে নি, 2G-তেও দিল্লিতে রমরমিয়ে চলছে এয়ারটেল। যদিও উল্লেখযোগ্য, কল ড্রপ এবং ক্রস কানেকশনের ক্ষেত্রে এয়ারটেল ব্যবহারকারীদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।
আরও পড়ুন: এবার সেরা রিচার্জ প্ল্যান বাছতে আপনাকে সাহায্য করবে এই ওয়েবসাইটটি
প্রসঙ্গত, সেরা হবার লোভে এখন ভারতে টেলিকম পরিষেবা সংস্থাগুলি নিজেদের মধ্যে ইঁদুর দৌড়ে নেমেছে। আরও বেশী গ্রাহক টানতে প্রতিদিনই তারা ঘোষণা করছে নিত্যনতুন প্ল্যান। এতে আখেরে ক্রেতাদের লাভ হলেও সেরা লাভজনক প্ল্যানটি বেছে নিতে অনেকেই হিমশিম খেয়ে যান। অবশেষে মুশকিল আসান নিয়ে এল Telecom Regulatory Authority of India। ক্রেতাদের সুবিধার জন্য ট্রাই নিয়ে এসেছে একটি নতুন ওয়েবসাইট, যা আপনাকে বাতলে দেবে কোন রিচার্জটি আপনার জন্য সেরা।