ঘরের শত্রু বিভীষণ করছে ক্ষতি ভীষণ। অ্যামাজনের সম্প্রতি ঠিক এই দশা। তাদের তদন্তকারী দল জানিয়েছে, তাদের কর্মচারীই গোপনে ডেটা ফাঁস করে চলেছে দিনের পর দিন। Wall Street Journal প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই তথ্য চুরির মূল গোষ্ঠি রয়েছে চিনে। অ্যামাজন তাদের আঁচ পেয়েছিল চলতি বছরের মে মাসেই।
বর্তমানে অ্যামাজনের কাছে এই সমস্যা বড় আকার নিয়েছে। কারণ তাদের অধিকাংশ প্রোডাক্ট পাওয়া যায় তৃতীয় পক্ষের অর্থাৎ থার্ড পার্টি বিক্রেতাদের থেকে। WSJ-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বাধীন বিক্রেতারা দালালের মাধ্যমে অ্যামাজন কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন। টেনসেন্ট-মালিকানাধীন মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম WeChat-এর মাধ্যমে এরা যোগাযোগ করত, এবং বিক্রেতাদের তাদের পণ্যের তালিকা সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস করত।
আরও পড়ুন:সবার আগে ভাঁজ করা স্ক্রিনের ফোন আনতে চলেছে হুয়াওয়ে
এই তথ্যের মাধ্যমে যে সব নেতিবাচক রিভিউ থাকত প্রোডাক্ট সম্পর্কে, সেগুলো মুছে দিতে সক্ষম হত। তদন্ত করে জানা গিয়েছে, মুছে দেওয়ার পিছনের কারণ তাদের কাছে মজুত নিম্নমানের জিনিস বাজারে বিক্রি করে দেওয়া।
একটি উদাহরণ, প্রায় ২১,৭৪৯ টাকার বিনিময়ে এরা মুছে ফেলে বা বদলে দেয় প্রোডাক্টের বাজে রিভিউ। যার ফলে গুগল বা অ্যামাজনের সার্চে ভালো রেকর্ড গড়ে তোলে এই ছোটো ছোটো বিক্রেতারা। কাজেই প্রোডাক্ট কেনার সময় প্রথম অর্ডার এদের কাছেই আসে।
প্রতিক্রিয়ায় অ্যামাজন বলছে, তাদের প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করা হয়েছে, এই অপরাধীদের প্রতি কোনো রকম সহনশীলতা দেখানো হবে না। উপরন্তু পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অ্যামাজন।
আরও পড়ুন:এই কটা ফিচারই থাকবে আপকামিং আইফোনে?
অ্যামাজনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে এই ঘটনার ফলে নানা বিকল্প বিবেচনা করছে তারা, প্রথমত ওই বিক্রেতাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা, দ্বিতীয়ত, এতদিনের আয় আটকে দেওয়া, তৃতীয়ত, তারা যে ধরণের রিভিউ বাজারে প্রকাশ করেছে তা মুছে ফেলা, এবং সর্বশেষ কড়া আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মুখপাত্র আরও বলেন, যে সব নিজস্ব কর্মী এই জঘন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের এমপ্লয়ি কোড কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করা হবে। সম্ভাব্য জরিমানা সহ আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে।