Advertisment

অ্যাপল মিউজিক, প্রথম তিন মাস বিনামূল্যে

আগামী সপ্তাহ থেকেই অ্যাপেল মিউজিক ব্যবহার করা যাবে ভারতে। একইসঙ্গে যাত্রা শুরু করতে চলেছে ইউটিউব মিউজিক। যে কোনও স্ট্রিমিংয়ের ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারতে অ্যাপল মিউজিক ব্যবসা শুরু করতে সময় নিল চার বছর। পাশাপাশি কমানো হয়েছে সাবস্ক্রিপশন রেট, সাদা বাংলায় চাঁদা। গোটা বিশ্বের তুলনায় সবচেয়ে কম দামে ‌অ্যাপল মিউজিক ব্যবহার করা যাবে ভারতে। জানা গেছে, মাথা পিছু মাসিক খরচ হবে ৯৯ টাকা। এ ক্ষেত্রে পরিবারের জন্য আলাদা মাসিক প্যাকেজ ব্যবস্থা করেছে সংস্থা। যার জন্য খরচ ১৪৯ টাকা। ছাত্রছাত্রীদের জন্যও প্যাকেজ রেখেছে অ্যাপেল, যার দাম ৪৯ টাকা।

Advertisment

আগামী সপ্তাহ থেকেই অ্যাপল মিউজিক ব্যবহার করা যাবে ভারতে। একইসঙ্গে যাত্রা শুরু করতে চলেছে ইউটিউব মিউজিক। শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাপল মিউজিকের প্রথম সাবস্ক্রিপশনের দাম প্রতি মাসে ৬০ টাকা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঠিক তার দ্বিগুণ, অর্থাৎ ১২০ টাকা। সেখানে ইউটিউব প্রিমিয়ামের দাম একটু বেশি, প্রতি মাসে মাথাপিছু ১২৯ টাকা। পরিবারের ব্যবহারের জন্য অ্যাপল প্যাকে প্রতি মাসে খরচ হবে ১৯০ টাকা।

আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের বাজেটে ভারতীয় ফোন

যে কোনও স্ট্রিমিংয়ের ব্যবসা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ডেটা পরিষেবা রয়েছে ভারতে। সমীক্ষা বলছে, এদেশের ব্যবহারকারীরা গত কয়েক বছরে ভিডিও এবং গানের জন্য অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের দিকে একটু বেশি ঝুঁকেছেন। দেখা যাচ্ছে, দিন যত এগিয়েছে, কোম্পানিরাও তালে তাল মিলিয়ে তাদের অনলাইন স্ট্রিমিংয়ে একাধিক সামগ্রী সহ, অফলাইন সুবিধা নিয়ে এসেছে। সেই অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের ময়দানেই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে অ্যাপল মিউজিক।

ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী ৫৬ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক রয়েছে অ্যাপল মিউজিকের এবং আইওএস স্ট্রিমিংয়ের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েডের সমস্ত ডিভাইসেই এই সুবিধা রয়েছে। যে কারণে সাফল্যের শিরোনামে নাম লেখাতে পেরেছে অ্যাপল মিউজিক। উল্লেখ্য, ভারতে তুলনামূলকভাবে অ্যাপলের ব্যবহার কিন্তু এখনও কম।

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে আসা ভুয়ো খবর ধরবেন কীভাবে?

নতুন মিউজিক সেকশনে ব্রাউজ ট্যাবের সঙ্গে অ্যাপল নিউজ সংযুক্ত করা যাবে। এছাড়া সাবসক্রাইবারদের জন্য সেখানে থাকছে 'Pre-adds' সেকশন। এই মূহুর্তে 'Pre-adds' রয়েছে 'Coming Soon' সেকশনের মধ্যে।

নিজের ইচ্ছামত প্লে-লিস্ট তৈরি করে রাখতে পারেন। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার গান থাকবে অ্যাপল মিউজিক অ্যাপে। এছাড়া প্রায় ১৪টি স্থানীয় রেডিও স্টেশন রয়েছে। ইতিমধ্যে অ্যাপল মিউজিক তাদের গানের ভান্ডার বাড়াতে সারেগামাপা, টি-সিরিজ, জি-মিউজিক, ওয়াইআরএফ ইউনিভার্সাল, এবং সোনি মিউজিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে।

Read the story in English

apple
Advertisment