Bill Gates: প্রযুক্তি জগতের কিংবদন্তি ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস অ্যাসপারগার সিনড্রোমে ভুগছেন—সম্প্রতি এক পডকাস্টে এমন বিস্ময়কর তথ্য জানিয়েছেন মেয়ে ফোবি গেটস। বহুদিন ধরে এই নিউরোলজিক্যাল সমস্যা নিয়ে সংগ্রাম করছেন তিনি এমনটাই জানিয়েছেন ফোবি। বিশেষজ্ঞরা লক্ষণগুলি দেখে একে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD) এর অংশ বলে মনে করেন।
ফোবি জানান, ছোটবেলা থেকেই বিল গেটসের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারা, মুখের অভিব্যক্তি পাল্টে যাওয়া এবং শারীরিক ভাষা পাল্টে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। অন্যের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারা এবং একই বিষয়ে ঘুরেফিরে ভাবার প্রবণতা ছিল তাঁর। এমনকি নিজের বইতেও বিল গেটস উল্লেখ করেছেন, তিনি অন্যদের অনুভূতি বুঝতে এবং নানান সামাজিক পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে কঠিন সময় পার করেছেন।
অ্যাসপারগার সিনড্রোম কী?
অ্যাসপারগার সিনড্রোম একটি অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD) এর অংশ, যা ব্যক্তির চিন্তাভাবনা, আচরণ এবং যোগাযোগ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
অ্যাসপারগার সিনড্রোমের সাধারণ লক্ষণ
- চোখে চোখ রেখে কথা বলায় সমস্যা
- একাকীত্ব পছন্দ করা
- একই কাজ বারবার করা
- দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তনে অস্বস্তি
- অদ্ভুত শারীরিক অঙ্গভঙ্গি ও স্বর
- নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি চরম আগ্রহ
এই নিউরোলজিক্যাল সমস্যার সম্ভাব্য কারণ
চিকিৎসা গবেষণায় জানা গেছে, জিনগত কারণ এবং গর্ভাবস্থার সংক্রমণ, এমনকি জন্মের সময় অক্সিজেনের অভাব থেকেও এই স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে এখনও এর নির্দিষ্ট কোনও কারণ পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
অ্যাসপারগার সিনড্রোমের চিকিৎসা
এই রোগের কোনও স্থায়ী প্রতিকার না থাকলেও, আচরণগত থেরাপি, সামাজিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, এবং বিশেষ ওষুধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সঠিক চিকিৎসা ও সচেতনতা থাকলে রোগী একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন।
বিল গেটসের মতো সফল ব্যক্তিও অ্যাসপারগার সিনড্রোমে আক্রান্ত। এটি প্রমাণ করে আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো চ্যালেঞ্জকে জয় করা সম্ভব।