কলকাতায় চীনের কনসাল জেনারেল বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, তাঁর দেশ থেকে বুলেট ট্রেন পরিষেবা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে, যা চীনের কুমিং থেকে কলকাতা যাত্রা করবে। এবং এই যাত্রা পথের মাঝে পড়বে মায়ানমার এবং বাংলাদেশ। ভারত ও চীনের এই যৌথ প্রচেষ্টায় দুটি শহর একটি উচ্চ গতির রেল সংযোগ দ্বারা যুক্ত হবে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটির কথা ২০১৫ সালে কুমিং-এই এক সামিটে প্রথম বলা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, "রেল সংযোগটি যখন বাস্তবায়িত হবে, তখন কুমিং থেকে কলকাতায় যাওয়ার জন্য মাত্র কয়েক ঘন্টা সময় লাগবে"। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকৃত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, "২৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পে জড়িত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা।"
আরও পড়ুন : Bullet train start in India, 2022: বাইশের বুলেট; বাধা ও অগ্রগতি
রেললাইনটি বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মায়ানমারের বাণিজ্য মহলের বিকাশ করবে বলে আশা। কিন্তু কবে থেকে শুরু হবে কাজ সে বিষয়ে কিছু জানা যায় নি। যাত্রাপথের নকশা সম্পর্কেও তথ্য মেলেনি। এদিকে ভারতের অন্যপ্রান্তেও তৈরি হচ্ছে বুলেট ট্রেনের ট্র্যাক। ২০২২ সালে সুরাট থেকে বিলিমোরা অবধি ঝড়ের গতিতে ছুটে যাবে বুলেট ট্রেন। ২০২৩ সালের মধ্যে বুলেট ছুটে যাওয়ার জন্য বানিয়ে ফেলা হবে ৫০৮ কিলোমিটারের যাত্রা পথ। ট্রেনটি ১৫ মিনিটে অতিক্রম করবে ৪৮ কিমি। সিংহাসনে বসার দিন কয়েকের মধ্যেই এই পরিকল্পনা সেরে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইতিমধ্যে উদ্বোধনের দামামা বাজিয়েছে NDA সরকার। দিনটি হবে ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট। ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন সূত্রে খবর, যে লাইন বানানো হবে তা সোজা এবং সমান হবে। তারপর আস্তে আস্তে বাড়ানো হবে লাইন।
কিন্তু জাপানের মত প্রযুক্তি কি থাকবে ভারতের বুলেট ট্রেনে? আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জাপানিদের আনা হবে ভারতীয় রেল চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য।
তৈরি করা হচ্ছে হাই স্পিড ট্রেনিং শিক্ষা সংস্থা। ইতিমধ্যে বুলেট ট্রেনের কাজ শুরু হয়ে গেছে বদোদরায়। প্রকল্পের জন্য আপাতত প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।