বিক্রম কোথায়? আদৌ কি অক্ষত রয়েছে সে? বিক্রমের খোঁজে ‘হতাশ’ মুখে পর্যালোচনা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শেষ মুহূর্তেযেন এক লহমায় স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আগেই হারিয়ে গেল চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রম। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ২.১ কিমি আগে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিজ্ঞানীদের। কী হল? বিশদে এখনও জানায়নি ইসরো। সব দিক পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, বিক্রমের খোঁজ না মেলায় প্রজ্ঞানও কার্যত ‘অকেজো’ হয়ে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, চাঁদের মাটি ছোঁয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গতিবেগ কমাতে পারেনি বিক্রম। যার জেরে চাঁদের মাটিতে ‘সফট ল্যান্ডিং’ হয়নি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাহলে কি চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়েছে বিক্রম? এ আশঙ্কাই গ্রাস করেছিল বিজ্ঞানীদের মনে। যদিও বিজ্ঞানী দেবী প্রসাদ কার্নিক জানিয়েছেন, ল্যান্ডার ভেঙে পড়ার ডেটা এখনও পাননি তাঁরা। তাই এখনই এ বিষয়ে চূড়ান্ত করে কিছু জানানো সম্ভব নয়। বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জেরে চন্দ্রযান ২ মিশন ঘিরে কার্যত ‘ভেঙে পড়েন’ ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এই পরিস্থিতিতে ইসরোর পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা দেশ।
আরও পড়ুন: তীরে এসে তরী ডুবল? হারিয়ে গেল বিক্রম
আরও পড়ুন: ‘ভেঙে পড়ার কিছু নেই, বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যান’, বিজ্ঞানীদের ফের আশ্বাস মোদীর
আরও পড়ুন: Chandrayaan 2: কেন চাঁদে যাওয়ার এত আগ্রহ সকলের?
চাঁদের মাটিতে বিক্রমের ছোঁয়ার সেই মাহিন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে ইসরোয় পৌঁছে গিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনেক চেষ্টার পরও যখন বিক্রমের হদিশ মিলল না, তখন কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবনকে। তাঁকে সামলাতে উঠে দাঁড়ালেন মোদী। শিবনকে বুকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। ‘‘জীবনে ওঠা -পড়া থাকেই। আপনারা কেন হতাশ হচ্ছেন? আপনারা গোটা দেশের গর্ব। আশা রাখুন। পিছিয়ে যাবেন না’’, এই বার্তা দিয়ে ইসরো ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী।
চন্দ্রযান ২ মিশনের এই খবরে যখন গোটা দেশের মুখে হাসি মিলিয়ে গিয়েছে, ঠিক তখনই শনিবার সাতসকালে ফের ইসরোয় গিয়ে বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়ালেন মোদী। জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘‘সকল বিজ্ঞানীর পাশে আছি। এই ব্যর্থতায় আমরা পিছিয়ে পড়িনি। ভেঙে পড়ার কিছু নেই। বিশ্বাস রাখুন নিজেদের উপর, এগিয়ে যান। দেশ আপনাদের জন্য গর্বিত। খুব শীঘ্রই নতুন সূর্যোদয় ঘটবে’’। মোদী আরও আশ্বাস দেন, ‘‘আপনাদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ আমি উপলব্ধি করতে পারছি…কিন্তু গোটা দেশ আপনাদের পাশে রয়েছে। বিজ্ঞানে ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না, সবটাই একেকটা একেকটা অভিজ্ঞতা। আজকের শিক্ষা আগামীদিনের পাথেয় হয়ে থাকবে’’।
Read the full story in English