এখন মোটামুটি সবাই জানেন, চাঁদে জলের খোঁজ করবে চন্দ্রযান-২, এবং ঠিক কতটা জল রয়েছে, তা পরিমাপ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু কী এমন যন্ত্রপাতি রয়েছে এই মহাকাশযানে, যার দ্বারা সম্ভব হবে এই কাজ? দেখে নিন, চাঁদের ভূপৃষ্ঠে মিশন চালু করে কী কী করতে চলেছে চন্দ্রযান:
ম্যাপিং: যথাসম্ভব বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানচিত্র তৈরি করার চেষ্টা করবে চন্দ্রযান-২। অরবিটারের ভেতরে রয়েছে দুটি ক্যামেরা। একটি টেরেইন ম্যাপিং ক্যামেরা, যা চাঁদের ভূপৃষ্ঠের থ্রি-ডি ছবি তুলবে। অন্যটি অরবিটার হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা, যা দিয়ে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ হবে। সঙ্গে রয়েছে ডুয়েল ফ্রিকুয়েন্সি সিনথেটিক অ্যাপারচার রেডার, যা থেকে সৃষ্টি হবে হাই-রেজোলিউশন ম্যাপ, বিশেষ করে মেরু অঞ্চলের।
আরও পড়ুন: Chandrayaan-2: চাঁদের মাটিতে, জলের খোঁজে
খনিবিজ্ঞান এবং আধিভৌতিক বিশ্লেষণ: বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নানারকম পরীক্ষা এবং সমীক্ষা করবে, পাশাপাশি সংগ্রহ করবে নানা প্রকারের নমুনা, যাতে চাঁদে উপস্থিত বিভিন্ন খনিজ পদার্থ এবং উপাদান সম্পর্কে ধারণা করা যায়।
সূর্য থেকে উৎপন্ন এক্স-রে বর্ণমালা: সূর্য যে এক্স-রে (রঁজনরশ্মি) বিকিরণ করে, তা পরীক্ষা করবে একটি যন্ত্র
জল এবং তার পরিমানের খোঁজ: একাধিক যন্ত্র ব্যবহৃত হবে এই কাজে।
চাঁদের বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা: বিক্রম ল্যান্ডারে বাহিত দুটি যন্ত্রের সাহায্যে করা হবে চাঁদের বায়ুমণ্ডলের পরীক্ষা, এবং বিভিন্ন উচ্চতায় মাপা হবে তাপমাত্রা।
ভূকম্পন-সংক্রান্ত গতবিধির সনাক্তকরণ
সব মিলিয়ে চন্দ্রযান-২ এ রয়েছে ১৪ টি যন্ত্রপাতি, যার মধ্যে আটটি রয়েছে অরবিটারে, চারটি বিক্রম ল্যান্ডারে, দুটি প্রজ্ঞান রোভারে। চন্দ্রযান-১ এ ছিল ১৩ টি যন্ত্রপাতি।