Chandrayaan 2 landing live telecast: শুক্রবার সারাদিন গোটা দেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিল। বিজ্ঞানীরা জানতেন, শেষ পনেরো মিনিটের ঝক্কি পোহালেই, সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যাবে ভারতের মহাকাশবিজ্ঞান।
Chandrayaan 2 landing live telecast: শুক্রবার সারাদিন গোটা দেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিল। বিজ্ঞানীরা জানতেন, শেষ পনেরো মিনিটের ঝক্কি পোহালেই, সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যাবে ভারতের মহাকাশবিজ্ঞান।
Where to watch Chandrayaan-2 landing on moon live video: শেষ অবধি শেষের ১৩ মিনিটেই তীরে এসে তরী ডুবল? চন্দ্রযান-২ এর বিক্রম ল্যান্ডার যে সময় চাঁদের মাটিতে নামার কথা, সেই সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তার সঙ্গে। যেহেতু এই অবতরণ প্রক্রিয়া একেবারেই স্বয়ংক্রিয়, এখানে কোনোরকম হস্তক্ষেপের সুযোগও নেই।
Advertisment
শেষ পর্যন্ত জানা গেল, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার গতিবেগ কমাতে পারে নি বিক্রম। যার ফলে সফট ল্যান্ডিং হয় নি বলে মনে করা হচ্ছে। পাশপাশি জানা যাচ্ছে, ঘন্টায় প্রায় ৬ হাজার কিমি গতিবেগে চাঁদের ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার। যেখানে ৭ কিমি গতিবেগ থাকার প্রয়োজনীয়তা ছিল।
শুক্রবার সারাদিন গোটা দেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিল। বিজ্ঞানীরা জানতেন, শেষ পনেরো মিনিটের ঝক্কি পোহালেই, সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যাবে ভারতের মহাকাশবিজ্ঞান। ইতিমধ্যে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়ে দিয়েছিল শুভেচ্ছা বার্তা। ভারত থেকে মহাকাশে কম্যান্ড পৌঁছনো মাত্রই কাজ শুরু করে ল্যান্ডার। কিন্তু শেষ চারশো মিটার, যাকে বলা হয় 'ফাইন ব্রেকিং ফেজ', সেখানেই বাঁধল গোলমাল।
Advertisment
Chandrayaan 2 Landing live video streaming:
এর আগে বৃহস্পতিবার কলকাতার বিড়লা তারামণ্ডলের অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দুয়ারী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেছিলেন, “চন্দ্রযান ২ এর প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক হিসেব নিকেশ করার মাধ্যমেই এগিয়ে চলেছে চন্দ্রযান। মহাকাশ থেকে সে যা তথ্য পাঠাচ্ছে তা ইসরোর কম্পিউটারে রেজিস্টার হচ্ছে। তারপরই সেটিকে নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। সুতরাং প্রতিটা মুহূর্তেই আশঙ্কা থাকে, অভিযান সফল হচ্ছে কী হচ্ছে না।”
Chandrayaan 2 Moon Landing Live Updates: কী ভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে চন্দ্রযান? কী ঘটবে চাঁদের মাটিতে? সমস্ত খবরের লাইভ আপডেট থাকবে এখানে, Follow the Live Updates here:
Highlights
03:43 (IST)07 Sep 19
এখনও বোঝা যাচ্ছে না ল্যান্ডারের অবস্থান
বিজ্ঞানী দেবী প্রসাদ কার্নিক জানিয়েছেন, ল্যান্ডার ভেঙে পড়ার ডেটা এখনও পাইনি আমরা। আমরা চূড়ান্ত ফলাফল এখনই জানাতে পারছি না।
Deviprasad Karnik, scientist ISRO, on being asked if Vikram Lander has crashed: Data is being analysed. We don't have any result yet. It takes time. We are not sure. pic.twitter.com/fo3AZDwhek
কোনো সংকেত এখনো পাওয়া গেল না। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ভোরের আলো ফুটবে। প্রজ্ঞানের বেরোনোর সময় হয়ে আসবে। কিন্তু ল্যান্ডার কাজ না করলে প্রজ্ঞানও কাজ করবে না।
03:37 (IST)07 Sep 19
আশঙ্কা সত্যি হলো
শেষ মুহুর্তে সম্ভবত পারল না বিক্রম। যতটা গতিতে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার কথা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি গতিবেগ থাকার ফলে সফট ল্যান্ডিং হলো না চন্দ্রযান-2 এর এই ল্যান্ডারের। যে আশঙ্কার কথা গোড়া থেকেই বলছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘন্টায় 6,048 কিলোমিটার থেকে সাত কিলোমিটারে নিজের গতিবেগ কমিয়ে আনতে অক্ষম হয় ল্যান্ডারটি।
02:53 (IST)07 Sep 19
ল্যান্ডার বিক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হলে মিশন ইমপসিবল
আশার কথা হলো, অর্বিটার, অর্থাৎ মূল মহাকাশযান, এখনো অক্ষত। হয়তো অক্ষত আছে ল্যান্ডারের ভেতরে থাকা রোভার প্রজ্ঞানও। তবে সমস্যার কথা হলো, প্রজ্ঞান চাঁদের বুকে নামলেও তার একমাত্র যোগাযোগ সূত্র হলো বিক্রম, যে বার্তা পাঠাবে অর্বিটারকে, অর্বিটার সেই বার্তা চালান করবে পৃথিবীতে। অতএব ল্যান্ডার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তবে ভেঙে যাবে বার্তা শৃঙ্খল।
02:43 (IST)07 Sep 19
ইসরোর অন্দরমহল থেকে বেরিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
"জীবনে ওঠা পড়া আসেই। আপনারা কেন হতাশ হচ্ছেন? আপনারা গোটা দেশের গর্ব। মানবজাতির সেবায় নিয়োজিত। যোগাযোগ করা গেলেই কাজ শুরু করা যাবে। আশা রাখুন। পিছিয়ে যাবেন না।" এই বার্তা দিয়ে ইসরো ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী।
02:11 (IST)07 Sep 19
প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইছেন সমস্যার কথা
ইসরো চেয়ারম্যান শিভন প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন ল্যান্ডারের অবস্থান
চাঁদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ল্যান্ডার, কিন্তু কোনো সংকেত পাওয়া যাচ্ছে না
অতিক্রম করে গেছে ২০ মিনিট। চিন্তায় নিজেদের চেয়ার ছেড়েছেন বিজ্ঞানীরা। গভীর আলোচনায় মগ্ন হয়ে উঠেছেন তারা। পড়ুয়ারাও একে ওপরে দিকে চেয়ে বসে আছেন। ঘোষণা করা হল ল্যান্ডার ডেটা রিসিভ করেছে কিন্তু বিজ্ঞানীদের ডাকে কোনো সাড়া দিচ্ছে না।
01:56 (IST)07 Sep 19
১৬ মিনিট কেটে গেছে
মিশন কন্ট্রোল রুম থেকে এখনও অবতরণের সবুজ সংকেত এসে পৌঁছায়নি। চিন্তায় ছাপ স্পস্ট বিজ্ঞানীদের মুখে। সকল বিজ্ঞানীরা সংকেতের জন্য নিজের কম্পিউটারের দিকে নজর দিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখেও রয়েছে সেই চিন্তার ছাপ। কারণ দুশ্চিন্তার পনেরো মিনিট কেটে গিয়েছে। এখনও উত্তর এসে পৌঁছায়নি ল্যান্ডার থেকে।
01:53 (IST)07 Sep 19
৬০ কিলোমিটারে কমিয়ে আনা হয়েছে গতিবেগ
১৩ মিনিট অতিক্রম । চাঁদের একদম নিকটে এসে পৌছেছে চন্দ্রযান।ফাইন ব্রেকিং ফেজ সম্পূর্ণ, চাঁদের মাটি থেকে ৪০০ মিটারের দূরত্বে বিক্রম। অধীর আগ্রহে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে বিজ্ঞানীরা।
01:39 (IST)07 Sep 19
গতিবেগ কমানোর চেষ্টা করছে বিক্রম
চাঁদের ওপর যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে সে জন্য গতি কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হল। ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় রয়েছে বিক্রম।
ভারতীয় সময় রাত 1.38 মিনিটে বিক্রমের কাছে যাবে ল্যান্ড করার কম্যান্ড। ইতিমধ্যে ইসরো কন্ট্রোল রুমে বিশেষ দর্শকাসনে এসে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
01:28 (IST)07 Sep 19
ইসরো পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী
কাউন্টডাউন শুরু। ইতিমধ্যে ইসরোর ঘরে পৌঁছে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী।
Karnataka: Prime Minister Narendra Modi arrives at the #ISRO Centre in Bengaluru to watch the soft landing of Vikram lander on South Pole region of the moon. ISRO Chief K Sivan briefs him about the status of the mission. #Chandrayaan2pic.twitter.com/RhrXbXRuLK
ম্যানুভারিং করে ল্যান্ডারকে যখন অবতরণ করানো হবে, তখন সফট ল্যান্ডিংয়ের জন্য ভয় থাকে। ল্যান্ডার জোরে চাঁদের মাটি স্পর্শ করলে চলবে না। এতে বিক্রম সহ প্রজ্ঞানের ক্ষতি হতে পারে। রকেট যখন মহাকাশে উড়ে যায় তখন গতিমুখের উল্টোদিকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। কিন্তু ল্যান্ডার যখন চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে, তখন গতিবেগ কমিয়ে সফট ল্যান্ডিংয়ের জন্য একইদিকে চাপ সৃষ্টি করা হবে। এই ম্যানুভেরিংটা নিয়ে আপাতত চিন্তিত বিজ্ঞানীরা।
" id="lbcontentbody">
00:57 (IST)07 Sep 19
দেখুন, চন্দ্রযান ২ এর পাঠানো চাঁদের ছবি
00:47 (IST)07 Sep 19
"সফট ল্যান্ডিং" এর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বিক্রম তথা ল্যান্ডার
আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। চাঁদের একেবারে নিকটে পৌঁছে গেছে চন্দ্রযান। সফট ল্যান্ডিং এর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিক্রম। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে স্ক্যানিং পর্ব।
00:47 (IST)07 Sep 19
"সফট ল্যান্ডিং" এর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বিক্রম তথা ল্যান্ডার
আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। চাঁদের একেবারে নিকটে পৌঁছে গেছে চন্দ্রযান। সফট ল্যান্ডিং এর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিক্রম। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে স্ক্যানিং পর্ব।
00:36 (IST)07 Sep 19
১০০ মিটার উচ্চতা থেকেই শুরু হবে ল্যান্ডিংয়ের প্রস্তুতি
ল্যান্ডারের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি 800N লিকুইড থ্রাস্টার ইঞ্জিন, টাচ ডাউন সেন্সর এবং সোলার প্যানেল। ‘সফট ল্যান্ডিং’ এর জন্য ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকেই থামানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। রাতারাতি চতূর্ভুজ আকৃতির ল্যান্ডারের চার পাশে চারটি ইঞ্জিন চালু হবে। ন্যাভিগেশনের পর, KA Band Altimeter-1 লেজার এবং ল্যান্ডার পজিশন সনাক্তকরণ ক্যামেরাটি নিখুঁতভাবে সুনিশ্চিত করবে অবতরণের স্থান। বিশদে জানুন
00:33 (IST)07 Sep 19
তামিলনাড়ুর নামাক্কালের নাম কেন শিরোনামে
চাঁদের মাটির সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে তামিলনাড়ুর নামাক্কালের। প্রায় ৯০ শতাংশ মিল রয়েছে বলে দাবি ইসরোর বিজ্ঞানীদের। এই এলাকার পাথর ধরে চাপ দিলেই ভেঙে যায়।
nচাঁদের একেবার দক্ষিণভাগে অবতরণ করতে চলেছে ভারত। যেখানে এর আগে কোনো দেশ পৌঁছানোর সাহস করেনিn" id="lbcontentbody">
00:07 (IST)07 Sep 19
দেখে নিন চাঁদের ঠিক কোন অংশ অবতরণ করবে চন্দ্রযান
চাঁদের একেবার দক্ষিণভাগে অবতরণ করতে চলেছে ভারত। যেখানে এর আগে কোনো দেশ পৌঁছানোর সাহস করেনি
23:42 (IST)06 Sep 19
আর মাত্র তিন ঘণ্টা, তারপর সরাসরি দেখতে পারবেন বিক্রমের অবতরণ
চন্দ্রযান-২: বিক্রমের ল্যান্ডিংয়ের ছবি দেখতে পাবেন কি?
মূল মহাকাশযানে যে ক্যামেরা বসানো রয়েছে, যেটি চন্দ্রযানের সঙ্গেই চাঁদের চারপাশে ১০০ কিমির প্রায়-বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরছে, তা দিয়ে ল্যান্ডিংয়ের ছবি তোলা যাবে না। এবং ল্যান্ডার নিজের ক্যামেরা দিয়ে নিজের অবতরণের ছবি তুলতে অক্ষম।
এখন মোটামুটি সবাই জানেন, চাঁদে জলের খোঁজ করবে চন্দ্রযান-২, এবং ঠিক কতটা জল রয়েছে, তা পরিমাপ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু কী এমন যন্ত্রপাতি রয়েছে এই মহাকাশযানে, যার দ্বারা সম্ভব হবে এই কাজ? দেখে নিন, চাঁদের ভূপৃষ্ঠে মিশন চালু করে কী কী করতে চলেছে চন্দ্রযান। বিশদে জানতে ক্লিক করুন এখানে
23:35 (IST)06 Sep 19
কেন চাঁদের দক্ষিণভাগকে বেছে নিল ইসরো ?
চাঁদের দুই মেরুতে ছবিটা একেবারেই অন্য। অনেক অংশই চির অন্ধকারে ঢাকা, কারণ সূর্যের আলো পৌঁছয় না, এবং তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে শূন্যের ২৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত নীচে। সূর্যের আলোর অভাব এবং অসম্ভব ঠাণ্ডার কারণেই অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে যন্ত্রপাতি পরিচালনা। এছাড়াও যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ছোটবড় গহ্বর, আয়তনে কয়েক সেন্টিমিটার থেকে শুরু করে কয়েক হাজার কিমি পর্যন্ত।
এই কারণেই আজ পর্যন্ত অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছে চাঁদের মেরু অঞ্চল। কিন্তু এর আগের অনেক ক’টি অরবিটার মিশন এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে এই অঞ্চলগুলিতে অনুসন্ধান করতে পারলে নানা অজানা তথ্য পাওয়া যাবে। এখানকার গহ্বরে ব্যাপক পরিমাণে বরফের অণু বা মলেকিউলের উপস্থিতির ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হওয়ার ফলে এখানে মাটির নীচে যাই বন্দী থাকুক, মোটামুটি অপরিবর্তিত অবস্থাতেই থাকবে। অর্থাৎ এখান থেকে সংগ্রহ করা পাথর এবং মাটি পরীক্ষা করলে সৌরজগতের গোড়ার কথা কিছু জানা গেলেও যেতে পারে।v
23:28 (IST)06 Sep 19
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগতম জানালেন ইয়েদুরাপ্পা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীকে সংবর্ধনা দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা
বলাই চলে মুন কার্নিভাল। ইতিমধ্যে কলকাতার বিড়লা তারামন্ডলে ভীড় জমেছে শহরবাসীর। সরাসরি লাইভ স্ট্রিমিং দেখানো হবে সেখানে। আপনিও যদি দেখতে চান চন্দ্রযান -২ অবতরণের লাইভ তাহলে ইসরোর ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। ওয়েবসাইটটি হল isro.gov.in.। এছাড়া PIB India এর ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পারবেন লাইভ টেলিকাস্ট। পাশাপাশি দূরদর্শন ন্যাশেনালের ইউটিউব চ্যানেলেও দেখানো হবে বিক্রমের অবতরণ। স্যাটালাইট কন্ট্রোল রুম বেঙ্গালুরু থেকে চাঁদের পাহাড় সবটাই দেখতে পারবেন এই লাইভ টেলিকাস্টে। এছাড়া সমস্তটার আপডেট থাকবে ইসরোর টুইটারের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে। একইসঙ্গে গোটা ঘটনার লাইভ আপডেট পেয়ে যাবেন আপনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার পেজে।
22:42 (IST)06 Sep 19
"ভারতীয় বিজ্ঞানীদের জন্য আমাদের গর্ব করা উচিত" বললেন নির্মলা সীতারামন
ইতিহাস রচনা করতে চলেছে ভারত। কারণ এর আগে চাঁদের দক্ষিণভাগে কোনো দেশ পারি দেয়নি। প্রথম ভারত চাঁদের সেই স্থানে পৌঁছতে চলেছে। চন্দ্রযান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন সীতারামন। তিনি বলেছেন একজন ভারতীয় হিসাবে আমাদের গর্ব করা উচিত।
চন্দ্রযানের অবতরণ দেখছেন আপনি, সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে তা রিটুইট করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী।
স্বয়ং নিজেই এই প্রতিশ্রুতির কথা টুইট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার গভীর রাতে চন্দ্রযান ২ অবতরণের সাক্ষী থাকতে শ্রীহোরিকোটাতে উপস্থিত থাকবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকবে জনা কয়েক পড়ুয়া।
I urge you all to watch the special moments of Chandrayaan - 2 descending on to the Lunar South Pole! Do share your photos on social media. I will re-tweet some of them too.
ইসরো জানিয়েছে সব ঠিকঠাক থাকলে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১.৩০ থেকে ২.৩০ এর মধ্যে চাঁদের মাটি ছুয়ে ফেলবে ল্যান্ডার।
We have the same wishes for Vikram, Orbiter. Want to stay in touch with Vikram and Pragyan as they make their way to the untouched lunar South Pole and uncover its many mysteries? Then keep an eye out for the next edition of #CY2Chronicles! pic.twitter.com/2iA8W2lxtR
চন্দ্রযান ২ লাইভ আপডেটস: “সফট ল্যান্ডিং” করাতে হবে”, এই কম্যান্ডের উপরই কড়া নজর দিচ্ছে ইসরো। ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১.৩০ থেকে ২.৩০, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। সূর্যের আলো পেলেই ল্যান্ডার ‘বিক্রমের’ মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। মনে করা হচ্ছে, ভোর ৫.৩০ থেকে ৬.৩০ এর মধ্যেই কাজ শুরু করবে “প্রজ্ঞান”।
দেবীপ্রসাদ দুয়ারী বাবু বলেন, “এই অভিযানের সময়কাল মাত্র ১৪ দিন। তাই সময় নষ্ট না করে অবতরণের চার ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শুরু করবে প্রজ্ঞান। বিক্রম ও প্রজ্ঞান সৌরশক্তি দ্বারা চালিত। ১৪ দিন পর টানা ১৫ দিনের জন্য চাঁদের দক্ষিণ ভাগে অন্ধকার নেমে আসবে। যার ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যাবে প্রজ্ঞানের। অন্ধকারের সঙ্গে প্রচন্ড ঠান্ডাও হয়ে যাবে ওই এলাকা, তখন বিকল হয়ে পড়বে প্রজ্ঞানের যন্ত্রপাতি।” সবিস্তারে পড়ুন, এই প্রতিবেদনেChandrayaan-2: সবচেয়ে দুশ্চিন্তার মুহূর্ত, কেমন করে অবতরণ করবে চন্দ্রযান?
বিজ্ঞানী দেবী প্রসাদ কার্নিক জানিয়েছেন, ল্যান্ডার ভেঙে পড়ার ডেটা এখনও পাইনি আমরা। আমরা চূড়ান্ত ফলাফল এখনই জানাতে পারছি না।
কোনো সংকেত এখনো পাওয়া গেল না। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ভোরের আলো ফুটবে। প্রজ্ঞানের বেরোনোর সময় হয়ে আসবে। কিন্তু ল্যান্ডার কাজ না করলে প্রজ্ঞানও কাজ করবে না।
শেষ মুহুর্তে সম্ভবত পারল না বিক্রম। যতটা গতিতে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার কথা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি গতিবেগ থাকার ফলে সফট ল্যান্ডিং হলো না চন্দ্রযান-2 এর এই ল্যান্ডারের। যে আশঙ্কার কথা গোড়া থেকেই বলছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘন্টায় 6,048 কিলোমিটার থেকে সাত কিলোমিটারে নিজের গতিবেগ কমিয়ে আনতে অক্ষম হয় ল্যান্ডারটি।
আশার কথা হলো, অর্বিটার, অর্থাৎ মূল মহাকাশযান, এখনো অক্ষত। হয়তো অক্ষত আছে ল্যান্ডারের ভেতরে থাকা রোভার প্রজ্ঞানও। তবে সমস্যার কথা হলো, প্রজ্ঞান চাঁদের বুকে নামলেও তার একমাত্র যোগাযোগ সূত্র হলো বিক্রম, যে বার্তা পাঠাবে অর্বিটারকে, অর্বিটার সেই বার্তা চালান করবে পৃথিবীতে। অতএব ল্যান্ডার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তবে ভেঙে যাবে বার্তা শৃঙ্খল।
"জীবনে ওঠা পড়া আসেই। আপনারা কেন হতাশ হচ্ছেন? আপনারা গোটা দেশের গর্ব। মানবজাতির সেবায় নিয়োজিত। যোগাযোগ করা গেলেই কাজ শুরু করা যাবে। আশা রাখুন। পিছিয়ে যাবেন না।" এই বার্তা দিয়ে ইসরো ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী।
ইসরো চেয়ারম্যান শিভন প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন ল্যান্ডারের অবস্থান
অতিক্রম করে গেছে ২০ মিনিট। চিন্তায় নিজেদের চেয়ার ছেড়েছেন বিজ্ঞানীরা। গভীর আলোচনায় মগ্ন হয়ে উঠেছেন তারা। পড়ুয়ারাও একে ওপরে দিকে চেয়ে বসে আছেন। ঘোষণা করা হল ল্যান্ডার ডেটা রিসিভ করেছে কিন্তু বিজ্ঞানীদের ডাকে কোনো সাড়া দিচ্ছে না।
মিশন কন্ট্রোল রুম থেকে এখনও অবতরণের সবুজ সংকেত এসে পৌঁছায়নি। চিন্তায় ছাপ স্পস্ট বিজ্ঞানীদের মুখে। সকল বিজ্ঞানীরা সংকেতের জন্য নিজের কম্পিউটারের দিকে নজর দিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখেও রয়েছে সেই চিন্তার ছাপ। কারণ দুশ্চিন্তার পনেরো মিনিট কেটে গিয়েছে। এখনও উত্তর এসে পৌঁছায়নি ল্যান্ডার থেকে।
১৩ মিনিট অতিক্রম । চাঁদের একদম নিকটে এসে পৌছেছে চন্দ্রযান।ফাইন ব্রেকিং ফেজ সম্পূর্ণ, চাঁদের মাটি থেকে ৪০০ মিটারের দূরত্বে বিক্রম। অধীর আগ্রহে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে বিজ্ঞানীরা।
চাঁদের ওপর যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে সে জন্য গতি কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হল। ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় রয়েছে বিক্রম।
ভারতীয় সময় রাত 1.38 মিনিটে বিক্রমের কাছে যাবে ল্যান্ড করার কম্যান্ড। ইতিমধ্যে ইসরো কন্ট্রোল রুমে বিশেষ দর্শকাসনে এসে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কাউন্টডাউন শুরু। ইতিমধ্যে ইসরোর ঘরে পৌঁছে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী।
ম্যানুভারিং করে ল্যান্ডারকে যখন অবতরণ করানো হবে, তখন সফট ল্যান্ডিংয়ের জন্য ভয় থাকে। ল্যান্ডার জোরে চাঁদের মাটি স্পর্শ করলে চলবে না। এতে বিক্রম সহ প্রজ্ঞানের ক্ষতি হতে পারে। রকেট যখন মহাকাশে উড়ে যায় তখন গতিমুখের উল্টোদিকে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। কিন্তু ল্যান্ডার যখন চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে, তখন গতিবেগ কমিয়ে সফট ল্যান্ডিংয়ের জন্য একইদিকে চাপ সৃষ্টি করা হবে। এই ম্যানুভেরিংটা নিয়ে আপাতত চিন্তিত বিজ্ঞানীরা।
আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। চাঁদের একেবারে নিকটে পৌঁছে গেছে চন্দ্রযান। সফট ল্যান্ডিং এর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিক্রম। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে স্ক্যানিং পর্ব।
আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। চাঁদের একেবারে নিকটে পৌঁছে গেছে চন্দ্রযান। সফট ল্যান্ডিং এর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিক্রম। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে স্ক্যানিং পর্ব।
ল্যান্ডারের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি 800N লিকুইড থ্রাস্টার ইঞ্জিন, টাচ ডাউন সেন্সর এবং সোলার প্যানেল। ‘সফট ল্যান্ডিং’ এর জন্য ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকেই থামানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। রাতারাতি চতূর্ভুজ আকৃতির ল্যান্ডারের চার পাশে চারটি ইঞ্জিন চালু হবে। ন্যাভিগেশনের পর, KA Band Altimeter-1 লেজার এবং ল্যান্ডার পজিশন সনাক্তকরণ ক্যামেরাটি নিখুঁতভাবে সুনিশ্চিত করবে অবতরণের স্থান। বিশদে জানুন
চাঁদের মাটির সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে তামিলনাড়ুর নামাক্কালের। প্রায় ৯০ শতাংশ মিল রয়েছে বলে দাবি ইসরোর বিজ্ঞানীদের। এই এলাকার পাথর ধরে চাপ দিলেই ভেঙে যায়।
মূল মহাকাশযানে যে ক্যামেরা বসানো রয়েছে, যেটি চন্দ্রযানের সঙ্গেই চাঁদের চারপাশে ১০০ কিমির প্রায়-বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরছে, তা দিয়ে ল্যান্ডিংয়ের ছবি তোলা যাবে না। এবং ল্যান্ডার নিজের ক্যামেরা দিয়ে নিজের অবতরণের ছবি তুলতে অক্ষম।
এখন মোটামুটি সবাই জানেন, চাঁদে জলের খোঁজ করবে চন্দ্রযান-২, এবং ঠিক কতটা জল রয়েছে, তা পরিমাপ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু কী এমন যন্ত্রপাতি রয়েছে এই মহাকাশযানে, যার দ্বারা সম্ভব হবে এই কাজ? দেখে নিন, চাঁদের ভূপৃষ্ঠে মিশন চালু করে কী কী করতে চলেছে চন্দ্রযান। বিশদে জানতে ক্লিক করুন এখানে
চাঁদের দুই মেরুতে ছবিটা একেবারেই অন্য। অনেক অংশই চির অন্ধকারে ঢাকা, কারণ সূর্যের আলো পৌঁছয় না, এবং তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে শূন্যের ২৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত নীচে। সূর্যের আলোর অভাব এবং অসম্ভব ঠাণ্ডার কারণেই অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে যন্ত্রপাতি পরিচালনা। এছাড়াও যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ছোটবড় গহ্বর, আয়তনে কয়েক সেন্টিমিটার থেকে শুরু করে কয়েক হাজার কিমি পর্যন্ত।
এই কারণেই আজ পর্যন্ত অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেছে চাঁদের মেরু অঞ্চল। কিন্তু এর আগের অনেক ক’টি অরবিটার মিশন এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে এই অঞ্চলগুলিতে অনুসন্ধান করতে পারলে নানা অজানা তথ্য পাওয়া যাবে। এখানকার গহ্বরে ব্যাপক পরিমাণে বরফের অণু বা মলেকিউলের উপস্থিতির ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হওয়ার ফলে এখানে মাটির নীচে যাই বন্দী থাকুক, মোটামুটি অপরিবর্তিত অবস্থাতেই থাকবে। অর্থাৎ এখান থেকে সংগ্রহ করা পাথর এবং মাটি পরীক্ষা করলে সৌরজগতের গোড়ার কথা কিছু জানা গেলেও যেতে পারে।v
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীকে সংবর্ধনা দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা
বলাই চলে মুন কার্নিভাল। ইতিমধ্যে কলকাতার বিড়লা তারামন্ডলে ভীড় জমেছে শহরবাসীর। সরাসরি লাইভ স্ট্রিমিং দেখানো হবে সেখানে। আপনিও যদি দেখতে চান চন্দ্রযান -২ অবতরণের লাইভ তাহলে ইসরোর ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। ওয়েবসাইটটি হল isro.gov.in.। এছাড়া PIB India এর ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পারবেন লাইভ টেলিকাস্ট। পাশাপাশি দূরদর্শন ন্যাশেনালের ইউটিউব চ্যানেলেও দেখানো হবে বিক্রমের অবতরণ। স্যাটালাইট কন্ট্রোল রুম বেঙ্গালুরু থেকে চাঁদের পাহাড় সবটাই দেখতে পারবেন এই লাইভ টেলিকাস্টে। এছাড়া সমস্তটার আপডেট থাকবে ইসরোর টুইটারের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে। একইসঙ্গে গোটা ঘটনার লাইভ আপডেট পেয়ে যাবেন আপনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার পেজে।
ইতিহাস রচনা করতে চলেছে ভারত। কারণ এর আগে চাঁদের দক্ষিণভাগে কোনো দেশ পারি দেয়নি। প্রথম ভারত চাঁদের সেই স্থানে পৌঁছতে চলেছে। চন্দ্রযান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন সীতারামন। তিনি বলেছেন একজন ভারতীয় হিসাবে আমাদের গর্ব করা উচিত।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান নিয়ে এত মাতামাতি কেন? কারণ জানালেন মমতা
বেঙ্গালুরুতে এসে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী। মধ্যরাতের আগেই চন্দ্রযান ২ এর অবতরণ দেখতে পৌঁছে যাবেন ইসরোতে।
স্বয়ং নিজেই এই প্রতিশ্রুতির কথা টুইট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার গভীর রাতে চন্দ্রযান ২ অবতরণের সাক্ষী থাকতে শ্রীহোরিকোটাতে উপস্থিত থাকবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকবে জনা কয়েক পড়ুয়া।
ইসরো জানিয়েছে সব ঠিকঠাক থাকলে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১.৩০ থেকে ২.৩০ এর মধ্যে চাঁদের মাটি ছুয়ে ফেলবে ল্যান্ডার।