করোনা অতিমারীর আগের সময়ের তুলনায় বর্তমানে যে দশটি দেশে খুচরো বা রিটেইল ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ভারতও, বলছে গুগল মোবিলিটি রিপোর্টস।
খুচরো ব্যবসায় যেখানে অন্যান্য দেশে প্রাক-করোনা সময়ের তুলনায় লোকসানের গড় হার ২৫ শতাংশ, সেখানে ভারতে ২৫ মার্চ-এর লকডাউনের শুরুতে ৮৫ শতাংশ থেকে লোকসানের মাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ শতাংশ। তবে গুগল লোকেশন ডেটা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, ভারতে মুদিসদাই এবং ওষুধপত্রের কেনাকাটা প্রাক-অতিমারী স্তরেই ফিরে এসেছে।
শপিং মল এবং বাজার থেকে দূরে থাকলেও কর্মস্থান এবং সফরের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ।
আরও পড়ুন: দিনের সেরা প্রযুক্তির খবর: বিএসএনএল নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ব্যবহার করবে না চিনা পণ্য
যেসব রাজ্য বর্তমানে হটস্পট নয়, সেখানে খুচরো ব্যবসা স্বাভাবিকভাবে আরও দ্রুত ছন্দে ফিরছে হটস্পট রাজ্যগুলির তুলনায়, বলছে গুগল ডেটা। যেমন বিহার, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, ওড়িশা, বা কর্ণাটকে প্রাক-করোনা সময়ের তুলনায় অর্ধেকের বেশি খুচরো ব্যবসা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে, যেখানে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তেলঙ্গানা, এবং গুজরাটে এখনও আগের তুলনায় ৫৯ শতাংশ কম খুচরো ব্যবসায় আয়ের হার।
আনলক-এর পর থেকে খুচরো কারবারে সবচেয়ে বেশি গতি দেখা গেছে কেরালা, বিহার, পাঞ্জাব, ছত্তিসগড়, এবং উত্তরপ্রদেশে। এই সব রাজ্যেই ৩১ মে'র পর থেকে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে খুচরো ব্যবসার গতিবিধি। খুব সামান্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে উত্তরপূর্বাঞ্চলে, এবং মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে বৃদ্ধির হার স্রেফ ১০ শতাংশ।
তথ্য পর্যবেক্ষণ করে আরও দেখা গিয়েছে, আনলক চালু হওয়ার পর থেকে দেশে কর্মস্থানে কার্যকলাপ বেড়েছে ২০ শতাংশ, তবে তার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, এবং বিহারে।
কোনও রাজ্যেই প্রাক-অতিমারী অবস্থায় ফেরে নি কর্মস্থানের ব্যস্ততা, তবে কাছাকাছি এসেছে উত্তরপূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্য। ছত্তিসগড়, বিহার, এবং ওড়িশার মতো পূর্বভারতীয় রাজ্যে কর্মস্থানের ব্যস্ততা প্রাক-করোনা সময়ের তুলনায় মাত্র ২০ শতাংশ কম।
লকডাউনের প্রথম পর্ব চলেছিল ২৪ মার্চ থেকে ১৩ এপ্রিল, দ্বিতীয় পর্ব ৩ মে পর্যন্ত, তৃতীয় ১৭ মে পর্যন্ত, এবং চতুর্থ ৩১ মে পর্যন্ত। জুন মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু হয় আনলক, এবং ৮ জুন উল্লেখযোগ্য ভাবে শিথিল করা হয় লকডাউনের নিয়মকানুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন