Drone technology: সবচেয়ে বিপজ্জনক, ভয়ঙ্কর! শত্রুকে চুরমার করে দেবে! কোন দেশের হাতে উন্নত এই ড্রোন প্রযুক্তি?

Drone technology: আমেরিকার MQ-9 Reaper ড্রোনকে বলা হয় আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অস্ত্র। ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত টানা উড়তে সক্ষম এই ড্রোন প্রায় ১,৭০০ কেজি অস্ত্র বহন করতে পারে।

Drone technology: আমেরিকার MQ-9 Reaper ড্রোনকে বলা হয় আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অস্ত্র। ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত টানা উড়তে সক্ষম এই ড্রোন প্রায় ১,৭০০ কেজি অস্ত্র বহন করতে পারে।

author-image
IE Bangla Tech Desk
New Update
cats

সবচেয়ে বিপজ্জনক, ভয়ঙ্কর!

Drone technology: ড্রোন প্রযুক্তি আধুনিক যুদ্ধের চেহারা আমূল বদলে দিয়েছে। একসময় শুধু সীমিত নজরদারি বা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার হতো চালকবিহীন বিমানবাহী যান (UCAV)। কিন্তু এখন সেগুলো কেবল নজরদারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং নির্ভুল আক্রমণ, দূরপাল্লার আঘাত এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর সামরিক কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। মার্কিন  যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, চিন এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলি অত্যাধুনিক ড্রোন তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতের যুদ্ধে গেম চেঞ্জার প্রমাণিত হতে চলেছে।

Advertisment

আরও পড়ুন- Airtel-এর প্ল্যানে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে JioHotstar সাবস্ক্রিপশন, দীর্ঘ সময় ধরে দারুন সুবিধা পাবেন, দাম ২০০ টাকারও কম

আমেরিকার MQ-9 Reaper ড্রোনকে বলা হয় আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অস্ত্র। ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত টানা উড়তে সক্ষম এই ড্রোন প্রায় ১,৭০০ কেজি অস্ত্র বহন করতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা ও উন্নত সেন্সরে সজ্জিত এই ড্রোন নজরদারির পাশাপাশি নির্ভুল আক্রমণ চালাতেও পারদর্শী। ২০০৭ সাল থেকে আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার মতো যুদ্ধক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে আমেরিকা ছাড়াও আরও অন্তত ১০টি দেশের সেনাবাহিনী এই ড্রোন ব্যবহার করছে।

Advertisment

তুরস্কের Bayraktar TB2 কম খরচে উচ্চ কার্যকারিতার কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সহজে ব্যবহারযোগ্য এই ড্রোন ২০১৪ সাল থেকে পরিষেবায় রয়েছে। সিরিয়া, লিবিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে এটি কার্যত গেম চেঞ্জার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

Bayraktar-এর চেয়ে উন্নত ক্ষমতার ড্রোন হলো তুরস্কেরই TAI Anka। এটি ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় আকাশে থাকতে পারে এবং ভারী অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। বিশেষ করে Anka-S সংস্করণটি স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসহ উন্নত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। নজরদারি, হামলা থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ—সবক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বাড়ছে।

আরও পড়ুন-৭,০০০mAh ব্যাটারি সহ দুর্দান্ত এই ৫জি স্মার্টফোনে রয়েছে বিশেষ 'কুলিং ফ্যান', আর দাম..., মধ্যবিত্তের নাগালেই

চিনের Wing Loong II দেখতে অনেকটা আমেরিকার MQ-9 Reaper-এর মতো হলেও দামে তুলনামূলকভাবে সস্তা। এই ড্রোন একটানা ৩২ ঘণ্টা উড়তে পারে এবং একই সঙ্গে ১২টি পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। 

রাশিয়ার Orion ড্রোন ২০২০ সালে দেশটির বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়। ২৪ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রোন ২৫০ কেজি পর্যন্ত অস্ত্র বহন করতে পারে। যদিও এর পাল্লা মার্কিন বা চিনা ড্রোনের মতো বেশি নয়, তবুও এটি রাশিয়ার প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মাঝারি উচ্চতার যুদ্ধ ড্রোন। 

Drone Drone Attack