প্রেমিক প্রেমিকার ঝগড়ার মাঝে হোক বা অফিসের বসের সঙ্গে দরকারি কথোপকথন, এই সব কিছুর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ভিলেন হয়ে ওঠে কল ড্রপ। ফোন করতে করতেই ওপাশের ব্যক্তিটিকে উধাও করে দেয় সে। ব্যাস, সমস্যা আরও কঠিন হয়ে ওঠে। এই কারণে নালিশ পৌঁছেছে টেলিযোগাযোগ বিভাগে। ডেকে পাঠানো হয়েছিল সমস্ত টেলিকম পরিষেবা সংস্থার প্রতিনিধিদের। ট্রাইয়ের এক সমীক্ষা বলছে, এই মোকাবিলায় উতরে যাবে রিলায়েন্স জিও। বাকিরা কিন্তু নজরবন্দী হতে পারে টেলিযোগাযোগ বিভাগের।
কল ড্রপের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের টেলিকম সচিব অরুণা সুন্দররাজন বলেন, "পরিষেবার গুণগত মান বড় উদ্বেগজনক বিষয়। আমরা এই মাসে অপারেটরদের ডেকে পাঠিয়েছি। পাশাপাশি অপটিক্যাল ফাইবার, ডিজিটাল প্রস্তুতি, অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হবে।"
আরও পড়ুন: বাজার খারাপ হতে চলেছে নিউজ অ্যাঙ্কারদের
এই বছরের জানুয়ারিতেও সুন্দররাজন কল ড্রপ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য ভারতী এয়ারটেল, রিলায়েন্স জিও, ভোডাফোন ইন্ডিয়া এবং আইডিয়া সেলুলার সহ অন্যান্য অপারেটরদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তারপরে তিনি বলেন যে অপারেটররা সরকারকে জানিয়েছে, যে মান বাড়ানোর জন্য ৭৪,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে।
বিশ্লেষকরা চিহ্নিত করেছেন যে কল ড্রপের মুল কারণ কোর ইউজারদের অত্যধিক ডেটার চাহিদা। উদাহরণস্বরূপ, প্রায় ৪০০ জন মানুষ ব্যবহার করেন BTS, যা অন্য দেশে ২০০ থেকে ৩০০ জন ব্যবহার করেন। এছাড়াও ডেটা ব্যবহার ছ'গুণ বেড়েছে গত ১২-১৮ মাসে। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে ২০ লাখেরও বেশি বিটিএস এবং প্রায় ৫ লক্ষ টাওয়ার রয়েছে, যা গ্রাহকদের চাহিদাকে পূরণ করছে না।
Read the full story in English