Patanjali electric scooter: ৪৫০ কিমির বিরাট মাইলেজ, সঙ্গে দুর্দান্ত ফিচার, মাত্র ১৪ হাজারে বাজার কাঁপাবে! আপনি কী পতঞ্জলি ই-স্কুটার লঞ্চের অপেক্ষা করছেন?
Patanjali electric scooter: ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক স্কুটারের চাহিদা আকাশছোঁয়া। আগামীদিনে ইলেকট্রিক সেগমেন্টে যাবাহনের চাহিদা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Patanjali electric scooter: ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক স্কুটারের চাহিদা আকাশছোঁয়া। আগামীদিনে ইলেকট্রিক সেগমেন্টে যাবাহনের চাহিদা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Patanjali electric scooter: বিরাট মাইলেজ, দুর্দান্ত ফিচার নিয়ে বাজারে লঞ্চ হচ্ছে পতঞ্জলি ইলেকট্রিক স্কুটার! হ্যাঁ এমন'ই এক দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হয়েছে। যার পর থেকেই বাজারে উন্মাদনা চরমে। কিছু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে মাত্র ১৪ হাজার টাকায় পতঞ্জলি এই ই-স্কুটার লঞ্চ করতে চলেছে।
Advertisment
ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক স্কুটারের চাহিদা আকাশছোঁয়া। আগামীদিনে ইলেকট্রিক সেগমেন্টে যাবাহনের চাহিদা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। একের পর এক সংস্থা বাজারে নজরকাড়া বৈদ্যুতিক স্কুটার এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে, ইন্টারনেটে পতঞ্জলির ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে আসার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
পতঞ্জলি ব্র্যান্ডের সকলের কাছেই একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। যার আলাদা করে কোন কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন নেই, তবে এমন একটি কোম্পানি যারা ওষুধ, সাবান, প্রসাধনী ইত্যাদির মতো তথাকথিত আয়ুর্বেদিক পণ্য তৈরি করে, তারা কি সত্যিই বাজারে আনছে বৈদ্যুতিক স্কুটার? এই মাসের শুরুতে, কয়েকটি ওয়েবসাইট পতঞ্জলির এই ই-স্কুটার সম্পর্কে কিছু তথ্য সামনে আনে। তার পর থেকে মানুষ এই স্কুটারের লঞ্চের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন।
কিছু অনলাইন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পতঞ্জলি একটি বৈদ্যুতিক স্কুটার তৈরি করেছে যার রেঞ্জ সিঙ্গেল চার্জে ৪৪০ কিমি। আরও বলা হয়েছে, স্কুটারটির ব্যাটারি হবে ডিট্যাচেবল, অর্থাৎ খুলে চার্জ করা যাবে। এই তথ্য শুনে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন কারণ বর্তমান বাজারে শীর্ষস্থানীয় স্কুটার ব্র্যান্ড যেমন Simple One বা Ultraviolette তাদের উন্নত ব্যাটারির মাধ্যমে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ২৫০–২৬০ কিমি রেঞ্জ প্রদান করে, তাও ৫–৬ কিলোওয়াট ব্যাটারিতে। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে এই স্কুটারটি মাত্র ১৪ হাজার টাকায় লঞ্চ হতে চলেছে। অথচ, পতঞ্জলির স্কুটার সম্পর্কে এই বিপুল রেঞ্জের দাবি করা হয়েছে কিন্তু কোনো ব্যাটারি স্পেসিফিকেশন না জানিয়েই এমন দাবি করা হয়েছে।
যাচাই করে দেখা গেছে, এই স্কুটার লঞ্চের বিষয়ে পতঞ্জলি বা Baba Ramdev-এর পক্ষ থেকে কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা করা হয়নি। পতঞ্জলি Ayurved-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেও এই বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই।একাধিক স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যমও এই "ই-স্কুটার" বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
বর্তমানে ভারতের কোনো ইলেকট্রিক স্কুটারই এই বিপূল রেঞ্জ প্রদান করে না। সাধারণ স্কুটারগুলিতে যেখানে ২–৩ কিলোওয়াট ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়, সেখানে ৪৪০ কিমি রেঞ্জ পেতে হলে কমপক্ষে ৮–১০ কিলোওয়াট ঘন্টার ব্যাটারি প্রয়োজন। মাত্র ১৪,০০০ টাকায় এত উন্নত প্রযুক্তির স্কুটার বাজারে আনা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে প্রায় অসম্ভব। বিশ্বজুড়ে তাবড় গাড়ি নির্মাতা সংস্থা যা করতে পারেনি তা পতঞ্জলির পক্ষে কার্যত অসম্ভব। আসলে পতঞ্জলির ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে আনার জল্পনা পুরোটাই ভুয়ো।