/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/01/tvs-new-schooter-1-2025-09-01-12-25-46.jpg)
TVS New Schooter: টিভিএসের নতুন স্কুটার।
Scooter braking system: বাইক বা স্কুটার কেনার সময় শুধু মাইলেজ বা ডিজাইনই নয়, ব্রেকিং সিস্টেমও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাজারে এখন দুই ধরনের প্রধান ব্রেক দেখা যায়—ড্রাম ব্রেক এবং ডিস্ক ব্রেক। কোনটি বেশি নিরাপদ, কোনটি বেশি টেকসই, আর কোনটি আপনার টু-হুইলারের জন্য উপযুক্ত, তা নিয়েই আজকের বিশ্লেষণ।
ড্রাম ব্রেক কীভাবে কাজ করে?
ড্রাম ব্রেক পুরনো এবং তুলনামূলক সস্তা প্রযুক্তি। চাকার সঙ্গে যুক্ত একটি ড্রাম ঘোরে, যার ভেতরে থাকে ব্রেক শু। ব্রেক চাপলে শু ড্রামের দেওয়ালে ঘর্ষণ সৃষ্টি করে এবং চাকা থেমে যায়। এটি সহজ, কম খরচের এবং ছোট বাইক বা স্কুটারের জন্য উপযুক্ত। তবে এর স্টপিং পাওয়ার ডিস্ক ব্রেকের তুলনায় কম।
ডিস্ক ব্রেক আধুনিক প্রযুক্তির উদাহরণ। এতে থাকে একটি রোটর (ডিস্ক) ও ক্যালিপার। যার ভেতরে ব্রেক প্যাড থাকে। ব্রেক চাপলে হাইড্রলিক প্রেশারে প্যাড ডিস্ককে চেপে ধরে, ফলে চাকা দ্রুত থেমে যায়। ডিস্ক ব্রেকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল – উচ্চ গতিতেও নির্ভরযোগ্য স্টপিং পাওয়ার।
ডিস্ক ব্রেকের ব্রেকিং ক্ষমতা ড্রাম ব্রেকের থেকে অনেক বেশি। তাই হাই-স্পিড বাইক ও স্পোর্টস টু-হুইলারে সর্বদা ডিস্ক ব্রেক ব্যবহৃত হয়। ড্রাম ব্রেক দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট হলেও, জরুরি অবস্থায় ডিস্ক ব্রেক আপনাকে বেশি সুরক্ষা দিতে পারে।
ড্রাম ব্রেকের সার্ভিসিং সহজ এবং সস্তা। যে কোনও স্থানীয় মেকানিক এটি খুলে মেরামত করতে পারে। অন্যদিকে, ডিস্ক ব্রেকের সার্ভিসিং তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল এবং নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি। তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি কম ঝুঁকিপূর্ণ ও বেশি কার্যকর। এর মধ্যে CBS (Combined Braking System) একসঙ্গে সামনের ও পেছনের ব্রেক ব্যালান্স করে, নতুন রাইডারদের জন্য নিরাপদ। ABS (Anti-lock Braking System): আকস্মিক ব্রেকিংয়ে চাকা লক হতে দেয় না। ফলে বাইক স্কিড করে না। সরকার ২০২৬ সাল থেকে নতুন বাইক ও স্কুটারে ABS বাধ্যতামূলক করেছে। ভবিষ্যতে তাই Disc প্লাস ABS কম্বিনেশন হবে নতুন মান।
অনেকে মনে করেন ডিস্ক ব্রেক বেশি পিছলায়। কিন্তু, আসল কারণ হল রাস্তার অবস্থা, টায়ারের গ্রিপ ও আপনার ব্রেকিং টেকনিক। ABS থাকলে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ড্রাম থেকে ডিস্কে আপগ্রেড করা যায়। কিন্তু, সেটা সহজ কাজ নয়। একাধিক পার্ট পরিবর্তন করতে হয়। তাই নতুন বাইক কেনার সময় ফ্যাক্টরি-ফিটেড ডিস্ক ও ABS ভ্যারিয়েন্ট নেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত।
এই সব কারণে বাইক বা স্কুটার কেনার সময় মনে রাখবেন যে, অন্তত ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক থাকা জরুরি। সম্ভব হলে ABS যুক্ত মডেল বেছে নিন। ভালো গ্রিপওয়ালা টায়ার লাগানো আছে কি না দেখুন। নিয়মিত সার্ভিসিং করুন, বিশেষত ডিস্ক ব্রেকের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন- স্মার্টফোনের বাজারে আলোড়ণ, ফের ঝড় তুলতে প্রস্তুত OnePlus